যোগাযোগ উপগ্রহ
satellite communication / From Wikipedia, the free encyclopedia
যোগাযোগ উপগ্রহ এক ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ যা একটি গ্রাহক-পুনঃপ্রেরক (Transponder) যন্ত্রাংশের মাধ্যমে বেতার টেলিযোগাযোগ সংকেতসমূহের শক্তিবর্ধন করে অনুপ্রচার করে। উপগ্রহটি বিশ্বের দুইটি ভিন্ন অবস্থানে অবস্থিত একটি বেতার তরঙ্গ উৎস-প্রেরক এবং একটি বেতার তরঙ্গ গ্রাহকের মধ্যে যোগাযোগ প্রণালী সৃষ্টি করে। যোগাযোগ উপগ্রহগুলিকে টেলিভিশন, টেলিফোন, বেতার, ইন্টারনেট এবং ব্যবহারিক সামরিক কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানের পৃথিবীকে ঘিরে রাখা কক্ষপথে সরকারী ও বেসরকারী মালিকানাধীন ২ হাজারেরও বেশি যোগাযোগ উপগ্রহ আছে।[1]
তারহীন যোগাযোগে তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে সংকেত বহন করা হয়। এই তরঙ্গগুলির সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য দৃষ্টি-রেখার উপরে থাকা প্রয়োজন। পৃথিবীর বক্রতার কারণে তারা সঠিকভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। যোগাযোগ উপগ্রহগুলির উদ্দেশ্য হল কোন বেতার সংকেতকে পৃথিবীর বক্রতাকে অতিক্রম করে অনুপ্রচার করা যাতে পৃথিবীপৃষ্ঠে বহু দূরে অবস্থিত দুই বিন্দুর মধ্যে যোগাযোগ সম্ভব হয়।[2] যোগাযোগ উপগ্রহগুলি ব্যাপক পরিসরের বেতার ও অণুতরঙ্গ কম্পাঙ্ক ব্যবহার করে থাকে। সংকেত ব্যতিচার এড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি কোন্ কম্পাঙ্ক সীমা বা পট্টি ব্যবহার করবে সে ব্যাপারে নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। কম্পাঙ্ক-পরিসর বা পট্টির বিতরণ সংকেত ব্যতিচারের ঝুঁকি কমায়।[3]