Loading AI tools
ইউরোপীয়দের দ্বারা ভারতে শাসন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ঔপনিবেশিক ভারত বলতে আবিষ্কারের যুগের সময় ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের দ্বারা ভারতীয় উপমহাদেশে শাসনকে বোঝায়। এলাকা দখল ও বাণিজ্য, বিশেষ করে মশলা বাণিজ্যের মাধ্যমে ইউরোপীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছিল।[1][2] ভারতের ধনসম্পত্তির অনুসন্ধানের জন্য ১৪৯২ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন এবং এরপর আমেরিকার উপনিবেশায়ন হয়েছিল। মাত্র কয়েক বছর পর পঞ্চদশ শতাব্দীতে পর্তুগিজ নাবিক ভাস্কো দা গামা জলপথে আফ্রিকা প্রদক্ষিণ করে ভারতের সঙ্গে পুনরায় প্রত্যক্ষ বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করেছিলেন (আনু. ১৪৯৭–১৪৯৯)। তিনি মালাবার উপকূলের কালিকট শহরে পৌঁছেছিলেন, যা তখন প্রাচ্যের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক বন্দর ছিল।[3] সেখানে তিনি জামোরিম রাজার কাছ থেকে কালিকট শহরে বাণিজ্য করার অনুমতি পেয়েছিলেন। এরপর এল ওলন্দাজ, যারা সিংহলে প্রধান ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। কিন্তু ত্রিবাঙ্কুর–ওলন্দাজ যুদ্ধে ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের কাছ থেকে পরাজিত হওয়ার ফলে ভারতে তাদের বিস্তার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ওলন্দাজ ভারত | ১৬০৫–১৮২৫ |
---|---|
দিনেমার ভারত | ১৬২০–১৮৬৯ |
ফরাসি ভারত | ১৭৬৯-১৯৫৪ |
কাসা দা ইন্দিয়া | ১৪৩৪–১৮৩৩ |
পর্তুগিজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি | ১৬২৮–১৬৩৩ |
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি | ১৬১২–১৭৫৭ |
কোম্পানি রাজ | ১৭৫৭–১৮৫৮ |
ব্রিটিশ রাজ | ১৮৫৮–১৯৪৭ |
বার্মায় ব্রিটিশ শাসন | ১৮২৪–১৯৪৮ |
দেশীয় রাজ্য | ১৭২১–১৯৪৯ |
ভারত বিভাজন | ১৯৪৭ |
দক্ষিণ এশিয়া | |||||
---|---|---|---|---|---|
• প্রস্তর যুগ | ৭০,০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• মেহেরগড় | ৭০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা | ৩৩০০-১৭০০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• হরপ্পা সংস্কৃতি | ১৭০০-১৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
বৈদিক যুগ | ১৫০০-৫০০ খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
লৌহ যুগ | ১২০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• ষোড়শ মহাজনপদ | ৭০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• মগধ সাম্রাজ্য | ৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• মৌর্য সাম্রাজ্য | ৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ | ২৫০ খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• চোল সাম্রাজ্য | • ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• সাতবাহন সাম্রাজ্য | • ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব | ||||
• কুষাণ সাম্রাজ্য | ৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ | ||||
• বাকাটক সাম্রাজ্য | ২৫০-৫০০ খ্রীষ্টাব্দ | ||||
• গুপ্ত সাম্রাজ্য | ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ | ||||
• পাল সাম্রাজ্য | ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ | ||||
• রাষ্ট্রকুট | ৭৫৩-৯৮২ | ||||
• ইসলামের ভারত বিজয় | ৭১২ | ||||
• সুলতানী আমল | ১২০৬-১৫৯৬ | ||||
• দিল্লি সালতানাত | ১২০৬-১৫২৬ | ||||
• দক্ষিণাত্য সালতানাত | ১৪৯০-১৫৯৬ | ||||
• হৈসল সাম্রাজ্য | ১০৪০-১৩৪৬ | ||||
• কাকতীয় সাম্রাজ্য | ১০৮৩-১৩২৩ | ||||
• আহমন সাম্রাজ্য | ১২২৮-১৮২৬ | ||||
বিজয়নগর সাম্রাজ্য | ১৩৩৬-১৬৪৬ | ||||
মুঘল সাম্রাজ্য | ১৫২৬-১৮৫৮ | ||||
মারাঠা সাম্রাজ্য | ১৬৭৪-১৮১৮ | ||||
শিখ রাষ্ট্র | ১৭১৬-১৮৪৯ | ||||
শিখ সাম্রাজ্য | ১৭৯৯-১৮৪৯ | ||||
ব্রিটিশ ভারত | ১৮৫৮–১৯৪৭ | ||||
ভারত ভাগ | ১৯৪৭ | ||||
স্বাধীন ভারত | ১৯৪৭–বর্তমান | ||||
জাতীয় ইতিহাস বাংলাদেশ • ভুটান • ভারত মালদ্বীপ • নেপাল • পাকিস্তান • শ্রীলঙ্কা | |||||
আঞ্চলিক ইতিহাস আসাম • বেলুচিস্তান • বঙ্গ হিমাচল প্রদেশ • উড়িষ্যা • পাকিস্তানের অঞ্চল সমূহ পাঞ্জাব • দক্ষিণ ভারত • তিব্বত | |||||
বিশেষায়িত ইতিহাস টঙ্কন • রাজবংশ • অর্থনীতি ভারততত্ত্ব • ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস • সাহিত্য • নৌসেনা • সেনা • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি • সময়রেখা | |||||
সামুদ্রিক ইউরোপীয় ক্ষমতাদের মধ্যে বাণিজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে অন্যান্য উপকূলীয় ক্ষমতাদের ইউরোপের সাম্রাজ্য থেকে ভারতে এনেছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে ওলন্দাজ প্রজাতন্ত্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ডেনমার্ক–নরওয়ে সবাই ভারতে বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে মুঘল সাম্রাজ্য চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের পর মারাঠা সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এর ফলে ভারতে অনেক দুর্বল ও অস্থায়ী রাজ্যের জন্ম হয়েছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সরাসরি ও মিত্র দেশীয় রাজাদের মাধ্যমে ভারতে তাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করছিল। ১৭৯৯ সালে মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানের পরাজয়ের ফলে ভারতে ফ্রান্সের প্রভাব কমে এসেছিল। এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটেন দ্রুতগতিতে তার ক্ষমতা ভারতীয় উপমহাদেশের এক বড় অংশ জুড়ে বিস্তৃত করেছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝে ব্রিটিশরা ভারতের প্রায় সমস্ত অংশ জুড়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ক্ষমতা লাভ করেছিল। ব্রিটিশ ভারত, যা প্রত্যক্ষভাবে শাসিত ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশ দ্বারা গঠিত, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে জনবহুল ও মূল্যবান অংশ ছিল এবং তাই এটি "ব্রিটিশ মুকুটে রত্ন" বলে পরিচিত।
ঔপনিবেশিক আমলে ভারত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ১৯০০, ১৯২০, ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র এবং ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[4] ১৯৪৭ সালে ভারত তার স্বাধীনতা লাভ করেছিল এবং ধর্মের ভিত্তিতে তাকে ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যে ভাগ করা হয়েছিল।[5][6][7]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.