কিশানগঞ্জ জেলা
বিহারের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিহারের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কিশানগঞ্জ জেলা হল ভারতের বিহার রাজ্যের ৩৯টি জেলার অন্যতম। এই জেলার সদর শহর হল কিশানগঞ্জ। কিশানগঞ্জ জেলা বিহারের পূর্ণিয়া বিভাগের অন্তর্গত।
কিশানগঞ্জ জেলা কিষাণগঞ্জ ضلع کشن گنج | |
---|---|
বিহারের জেলা | |
বিহারে কিশানগঞ্জের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | বিহার |
প্রশাসনিক বিভাগ | পূর্ণিয়া |
সদরদপ্তর | কিশানগঞ্জ |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | কিশানগঞ্জ |
• বিধানসভা আসন | বাহাদুরগঞ্জ, ঠাকুরগঞ্জ, কিশানগঞ্জ, কোচাধামান, অমৌর, বইসি |
আয়তন | |
• মোট | ১,৮৮৪ বর্গকিমি (৭২৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৬,৯০,৯৪৮ |
• জনঘনত্ব | ৯০০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৫৭.০৪% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৪৬ |
প্রধান মহাসড়ক | ৩১ নং জাতীয় সড়ক |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
মুঘল শাসনকালে কিশানগঞ্জ নেপালের অংশ ছিল। সেই সময় এই অঞ্চলটির নাম ছিল নেপালগড়। মুঘল সেনাপতি মহম্মদ রেজা এই অঞ্চল দখল করে এই অঞ্চলের নাম বদলে রাখা হয় আলমগঞ্জ। পরে এখানকার নাম বদলে রাখা হয় কিশানগঞ্জ।
কিশানগঞ্জ অবিভক্ত পূর্ণিয়া জেলার একটি প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা ছিল। স্থানীয় সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের দীর্ঘ সতের বছরের আন্দোলনের পর ১৯৯০ সালের ১৪ জানুয়ারি কিশানগঞ্জ জেলা গঠিত হয়।[1]
কিশানগঞ্জ জেলার আয়তন ১,৮৮৪ বর্গকিলোমিটার (৭২৭ মা২)।[2] কিশানগঞ্জ জেলার পশ্চিম দিকে অররিয়া জেলা, দক্ষিণপশ্চিম দিকে পূর্ণিয়া জেলা, পূর্ব দিকেপশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলা এবং উত্তর দিকে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা ও নেপাল রাষ্ট্র অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সংকীর্ণ ভূখণ্ড কিশানগঞ্জ জেলাটিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।[3]
এই জেলার প্রধান নদনদীগুলি হল মহানন্দা, কাঁকই, মেচি, ডঙ্ক, রতুয়া ও রমজান সুধানি।[1]
২০০৬ সালে ভারত সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রক দেশের ২৫০টি সর্বাধিক অনগ্রসর জেলার তালিকায় কিশানগঞ্জ জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।[4] বিহারের যে ৩৬টি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে অনুদান পেয়ে থাকে, এই জেলা তার মধ্যে অন্যতম।[4]
কিশানগঞ্জ জেলা একটি মাত্র মহকুমা নিয়ে গঠিত। সেটি হল কিশানগঞ্জ মহকুমা। এই মহকুমাটি আবার সাতটি ব্লকে বিভক্ত। যথা: বাহাদুরগঞ্জ, দিঘলবাঁক, কিশানগঞ্জ, কোচাধামান, পোথিয়া, তেরহাগাছা ও ঠাকুরগঞ্জ।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি সনিয়া গান্ধী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিশানগঞ্জ শিক্ষাপ্রাঙ্গনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[5]
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কিশানগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা ১,৬৯০,৯৪৮।[6] এই জেলার জনসংখ্যা গিনি-বিসসাউ রাষ্ট্র[7] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইডাহো রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[8] জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ২৯৩তম।[6] এই জেলার জনঘনত্ব ৮৯৮ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৩৩০ জন/বর্গমাইল)।[6] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩০.৪৪%।[6] কিশানগঞ্জের লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৪৬ জন মহিলা[6] এবং সাক্ষরতার হার ৫৭.০৪%।[6]
কিশানগঞ্জ জেলার অধিবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামবাসী। এই জেলার জনসংখ্যার প্রায় ৭০% ইসলাম ধর্মাবলম্বী।[6] কিছু হিন্দুও এখানে বাস করেন যাঁরা সুরজপুরি সম্প্রদায়ভুক্ত। এছাড়া কয়েকটি ছোটো ছোটো সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলও আছে।[9][10]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.