গুমানমর্দন ইউনিয়ন
চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গুমানমর্দন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।
গুমানমর্দন | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৪নং গুমানমর্দন ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে গুমানমর্দন ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৪′৮″ উত্তর ৯১°৪৮′৪৬″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
উপজেলা | হাটহাজারী উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মো মুজিবুর রহমান |
আয়তন | |
• মোট | ১১.৮৭ বর্গকিমি (৪.৫৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১২,৭১৭ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৩.৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৩৩৩ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
গুমানমর্দন ইউনিয়নের আয়তন ২,৯৩২ একর (১১.৮৭ বর্গ কিলোমিটার)।[1]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী গুমানমর্দন ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ১২,৭১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,৭৪৫ জন এবং মহিলা ৬,৯৭২ জন। মোট পরিবার ২,৫৭৩টি।[1]
হাটহাজারী উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে গুমানমর্দন ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের উত্তরে ধলই ইউনিয়ন, পশ্চিমে মির্জাপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণে ছিপাতলী ইউনিয়ন এবং পূর্বে নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন, হালদা নদী ও ফটিকছড়ি উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়ন অবস্থিত।
গুমানমর্দন ইউনিয়ন হাটহাজারী উপজেলার আওতাধীন ৪নং ইউনিয়ন পরিষদ। এটি জাতীয় সংসদের ২৮২নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৫ এর অংশ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম হাটহাজারী মডেল থানার আওতাধীন। এটি গুমানমর্দন মৌজা নিয়ে গঠিত। এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:[2]
১৫০৫ সালে সুলতান নশরত শাহ শঙ্খ নদীর তীর পর্যন্ত স্বীয় রাজ্য শাসনে আনেন এবং ৩নং ফতেয়াবাদে রাজধানী স্থাপন করেন। এ বিজয়ের ফলে স্থানীয় জনগণ সুলতান নশরত শাহকে পেপীড় মর্দন উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তী কালে সুলতানের বিজয়ের স্মারক স্বরূপ উক্ত এলাকার নাম হয় 'গৌড় মর্দন'। বর্তমানে তথায় গৌড় সুলতানের বাড়ী নামে একটি বাড়ী আছে। গৌড় মর্দন পরবর্তীকালে সুলতানের শিবির এলাকাটির নাম 'গুমানমর্দন' লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে গুমানমর্দন, ছিপাতলী ও নাঙ্গলমোড়া মৌজা নিয়ে গুমানমর্দন ইউনিয়ন গঠিত ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর পরই এ ইউনিয়নকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়।[3]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী গুমানমর্দন ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৬৩.৯%।[1] এ ইউনিয়নে ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা ও ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[2]
গুমানমর্দন ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান প্রধান সড়কগুলো হল হাটহাজারী-গুমানমর্দন সড়ক এবং মির্জাপুর-গুমানমর্দন সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা।
গুমানমর্দন ইউনিয়নে ১০টি মসজিদ, ২টি ঈদগাহ, ১টি মন্দির ও ৩টি বিহার রয়েছে।[5]
গুমানমর্দন ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে হালদা নদী। এছাড়া এ ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বোয়ালিয়া খাল, কুমারী খাল, তুলাতলী খাল, বিপুলা খাল, বালুখালী খাল এবং মরা বিপুলা খাল।[6]
== হাট-বাজার ==
গুমানমর্দন ইউনিয়নের প্রধান ৩টি হাট/বাজার হল পেসকার হাট, কানাইয়া হাট, এবং জিলানী হাট।[7]
ক্রম নং | চেয়ারম্যানের নাম | মেয়াদকাল |
---|---|---|
০১ | এডভোকেট শফিউল আলম | |
০২ | এটিএম আব্দুল হাই | |
০৩ | মুহাম্মদ ফজলুল করিম | |
০৪ | মুহাম্মদ ইছহাক | |
০৫ | মুহাম্মদ আলী | |
০৬ | এম এ হাসেম | |
০৭ | মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন চৌধুরী | |
০৮ | মুজিবুর রহমান | বর্তমান |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.