শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জন্ম: ২০ ডিসেম্বর ১৯৪৭) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তিনি চট্টগ্রাম-৪ ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এরশাদের মন্ত্রিসভা, শেখ হাসিনার তৃতীয় ও চতুর্থ মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা ছিলেন।[১][২]
Remove ads
প্রাথমিক জীবন
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ২০ ডিসেম্বর ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর গুমানমর্দনের সাদেক নগরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ, মা সাজেদা বেগম চৌধুরী।[১][৩][৪]
তার দাদা ছিলেন খান আব্দুল হালিম চৌধুরী এবং নানা ছিলেন ড. মো. সানাউল্লাহ, বার-এট্-ল, পিএইচডি।[১][৪]
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইসলামাবাদ কায়েদে আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসসি করেন।[১][৪]
তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কমনওয়েলথ বৃত্তি অর্জন করেন এবং ১৯৭২ সালে সেখান থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][৪]
১৯৭৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের (লন্ডন) লিংকনস্ ইন, বার-এট্-ল থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][৪]
Remove ads
কর্মজীবন
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত হাটফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে একজন লেকচারার ছিলেন।[১][৪]
১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়ায় অর্থনীতি বিভাগে সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ছিলেন।[১][৪]
১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][৪]
তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি ছিলেন।[১][৪]
তিনি শাশা ডেনিমসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক।[৫]
Remove ads
রাজনৈতিক জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।[৬]
সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৭]
১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগদিয়ে তিনি তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৮]
১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৯]
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি।[১০]
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে অংশগ্রহণ করলেও পরাজিত হন।[১০]
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের হয়ে চট্টগ্রাম-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১১] নবম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১০]
তিনি চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের হয়ে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।
২০১৮ সালের সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের হয়ে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[১২][১৩][১৪]
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে মহাজোটের হয়ে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[১৫] দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা ছিলেন।[২] ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[১৬][১৭][১৮]
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯ ডিসেম্বর ১৯৮৪ থেকে ১৯ জুলাই ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯ জুলাই ১৯৮৫ থেকে ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ পর্যন্ত সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
২৪ জানুয়ারি ১৯৮৮ থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮৮ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২৭ মার্চ ১৯৮৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ সাল থেকে ৩ জানুয়ারি ২০১৮ সাল পর্যন্ত এবং তিনি বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১০]
৭ জানুয়ারি ২০১৮ সাল থেকে তিনি ৬ জানুয়ারি ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][৬]
Remove ads
হত্যা মামলা
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরুদ্ধে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা হয়। ১৬ জুলাই ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত হয় এবং গত ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় । আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছিলো। সেদিন অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিদের অনেকেই হামলায় যোগ দেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।[১৯][২০]
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ তাকে ওয়ান ইলেভেনের হোতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[২১]
Remove ads
পারিবারিক জীবন
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads