মুহম্মদ আল-মাহদী
দ্বাদশী শিয়া মুসলমানদের মতে তাদের সর্বশেষ ইমাম / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহ়ম্মদ ʾইবনে হ়াসান আল-মাহদী (আরবি: مُحَمَّد ٱبْن ٱلْحَسَن ٱلْمَهْدِي, প্রতিবর্ণীকৃত: Muḥammad ibn al-Ḥasan al-Mahdiy; জন্ম আনু. ২৯ জুলাই ৮৬৯), যিনি হুজ্জতুল্লাহ (حُجَّة ٱللَّٰه), আল-ইমাম আল-মাহদী (ٱلْإِمَام ٱلْمَهْدِي), ইমাম আজ়-জ়মান (إِمَام ٱلزَّمَان), হুজ্জত ʾইবনে আল-হ়াসান (حُجَّة ٱبْن ٱلْحَسَن), মুহ়ম্মদ ʾইবনে আল-হ়াসান (مُحَمَّد ٱبْن ٱلْحَسَن) নামেও পরিচিত, হলেন দ্বাদশী শিয়া মুসলমানদের মতে তাদের সর্বশেষ ইমাম এবং প্রতীক্ষিত মাহদী, ইসলামি পরকালবিদ্যা অনুসারে যিনি ঈসা মসীহের সঙ্গে শেষ জমানায় আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবীতে ন্যায়বিচার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। দ্বাদশি শিয়ারা বিশ্বাস করে যে মুহ়ম্মদ আল-মাহদী ৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই (১৫ শাবান ২৫৫ হিজরি) জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর পিতা হাসান আল-আসকারীর হত্যাকাণ্ডের পর মাত্র ৫ বছর বয়সে ইমামত গ্রহণ করেন। তাঁর ইমামতের শুরুর দিকে তিনি তাঁর চারজন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন বলে ধারণা করা হয়। এই সময়কাল গৌণ অন্তর্ধান (ٱلْغَيْبَة ٱلصُّغْرَىٰ) হিসেবে পরিচিত যা ৮৭৩ থেকে ৯৪১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।[11][12] ৯৪১ সালে তাঁর চতুর্থ প্রতিনিধি আবুল হাসান আলী ইবনে মুহম্মদ আল-সামাররীর মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে তিনি তাঁর অনুসারীদের একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। আল-সামাররী মারফত পাঠানো সেই চিঠিতে তিনি তাঁর মুখ্য অন্তর্ধানের (ٱلْغَيْبَة ٱلْكُبْرَىٰ) আরম্ভ ঘোষণা করেন যে সময়টিতে মাহদী তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযো গ করবেন না, তবে তিনি তাদের বিশেষ কিছু গুণাবলি সম্পন্ন ধার্মিক যাজকদের অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।
মুহ়ম্মদ আল-মাহদী مُحَمَّد ٱلْمَهْدِيّ | |||||
---|---|---|---|---|---|
আল-ʾইমাম[1] আল-মাহদী আল-ক়াʾইম আল-গ়াʾইব আল-মুন্তজ়র দিলাওর ʾইমাম আল-ʿআসর স়াহিব আজ়-জ়মান স়াহিব আল-ʾআমর আল-হ়ুজ্জত ʾআল মুহ়ম্মদ[2] | |||||
১২শ ইমাম (শিয়া ইসলাম) | |||||
ইমামত | ৮৭৪ খ্রি. – বর্তমান | ||||
পূর্বসূরি | হাসান আল-আসকারী | ||||
জন্ম | মুহ়ম্মদ ʾইবনে হ়াসান আনু. (৮৬৯-০৭-২৯)২৯ জুলাই ৮৬৯ (১৫ শাবান ২৫৫ হিজরি)[3] সামাররা, আব্বাসীয় খিলাফত | ||||
ভাইবোন | |||||
| |||||
স্থানীয় নাম | مُحَمَّد ٱبْن ٱلْحَسَن ٱلْمَهْدِيّ | ||||
বংশ | আহল আল-বাইত | ||||
বংশ | বনু হাশিম | ||||
রাজবংশ | কুরাইশ | ||||
পিতা | হাসান আল-আসকারী | ||||
মাতা | নার্জিস[8][9] | ||||
ধর্ম | ইসলাম | ||||
অন্তর্ধান | গৌণ অন্তর্ধান আনু. ৫ জানুয়ারি ৮৭৪(৮৭৪-০১-০৫) (৪ বছর) মুখ্য অন্তর্ধান আনু. ৯৪১ সামাররা, ইরাক | ||||
অবস্থা | ইসনা আশারিয়া বিশ্বাসমতে অন্তর্হিত থাকার ফলে অদৃশ্য | ||||
স্মৃতিস্তম্ভ | আস-সাহলা মসজিদ, ইরাক মকাম-এ-গয়বত, ইরাক জমকরান মসজিদ, ইরান | ||||
অন্যান্য নাম | হ়ুজ্জতুল্লাহ আল-মাহদী حُجَّة ٱللَّٰه ٱلْمَهْدِيّ | ||||
প্রতিনিধি | চার প্রতিনিধি
| ||||
পরিচিতির কারণ | দ্বাদশ ইমাম | ||||
আন্দোলন | দ্বাদশী শিয়া ইসলাম | ||||
প্রতিদ্বন্দ্বী | শয়তান, সুফিয়ানি, দজ্জাল, খ্রীষ্টারি | ||||
অধিকাংশ সুন্নি মুসলমানেরা তাঁকে মাহদী হিসেবে অস্বীকার করে এবং বিশ্বাস করে যে মাহদী এখনও জন্মগ্রহণ করেননি। তারা বিশ্বাস করে যে মাহদী নবী মুহাম্মদের একজন বংশধর হবেন, তবে তাঁর প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে কেবল আল্লাহই ওয়াকিবহাল আছেন। মাহদীর সুস্পষ্ট বংশপরম্পরা ছাড়া সুন্নিরা মাহদীর উত্থান, কর্মকাণ্ড ও সর্বজনীন খিলাফত সংক্রান্ত অসংখ্য হাদিস গ্রহণ করে থাকে যা শিয়াদের নিকটও গ্রহণযোগ্য।
সুন্নিদের মাহদী বিষয়ক বহু হাদীস কুতুব আল-সিত্তাহতে সংকলিত রয়েছে।