মুহাম্মাদ মুরসি
মিশরের ৫ম রাষ্ট্রপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মাদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত (আরবি: محمد مرسى عيسى العياط, মিশরীয় আরবি: mæˈħammæd ˈmʊɾsi ˈʕiːsæ l.ʕɑjˈjɑːtˤ, জন্ম: ৮ আগস্ট ১৯৫১ মৃত্যু: ১৭ জুন, ২০১৯) ছিলেন একজন মিশরীয় রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী ও পঞ্চম রাষ্ট্রপতি।[1]
মহামান্য মুহাম্মাদ মুরসি محمد مرسي العياط | |
---|---|
৫ম মিশরের রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ৩০ জুন ২০১২ – ৩ জুলাই ২০১৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | কামাল গানজুরি হেশাম কানদিল |
উপরাষ্ট্রপতি | মাহমুদ মেক্কি |
পূর্বসূরী | মুহাম্মেদ হুসেইন তানতায়ি (অন্তর্বর্তীকালীন) |
উত্তরসূরী | আদলি মনসুর (অন্তর্বর্তীকালীন) |
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন এর মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ৩০ জুন ২০১২ – ৩০ আগস্ট ২০১৩ | |
পূর্বসূরী | মুহাম্মেদ হুসেইন তানতায়ি |
উত্তরসূরী | মাহমুদ আহমেদিনেজাদ |
ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল ২০১১ – ২৪ জুন ২০১২ | |
পূর্বসূরী | পদ স্থাপিত |
উত্তরসূরী | সাদ এল-কাতাতনি |
পিপলস অ্যাসেম্বলির সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১ ডিসেম্বর ২০০০ – ১২ ডিসেম্বর ২০০৫ | |
পূর্বসূরী | নোমান গুমা |
উত্তরসূরী | মাহমুদ আবাজা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুহাম্মাদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত (১৯৫১-০৮-০৮)৮ আগস্ট ১৯৫১ এল আদওয়াহ, শারকিয়া গভর্নরেইট, মিশর রাজ্য |
মৃত্যু | ১৭ জুন ২০১৯(2019-06-17) (বয়স ৬৭) কায়রো, মিশর |
রাজনৈতিক দল | ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | মুসলিম ব্রাদারহুড |
দাম্পত্য সঙ্গী | নাজলা মাহমুদ (বি. ১৯৭৯) |
সন্তান | ৫ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
স্বাক্ষর |
মুরসি ২০০০ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত মিশরের সংসদে বহাল ছিলেন। এ সময়ে তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। ২০১১ সালে মুসলিম ব্রাদারহুড ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে মুরসী তার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। মিশরের দুই পর্বের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, যেটি ২০১২ সালের মে ও জুনে অনুষ্ঠিত হয়, সে নির্বাচনে মুরসী এফজেপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন এবং উভয় পর্বেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
২৪ জুন, ২০১২ তারিখে মিশরের নির্বাচন কমিশন মুহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারাকের সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিকের বিপরীতে দ্বিতীয় পর্বের ভোটে, যেটি প্রথম পর্বের শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, জয়ী ঘোষণা করে। কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী মুরসী ৫১.৭ শতাংশ এবং আহমেদ শফিক ৪৮.৩ শতাংশ ভোট লাভ করেন।[2]
নির্বাচন কমিশন এই ফলাফল ঘোষণা করার পর মুহুর্তেই মুসলিম ব্রাদারহুড ও এফজেপি আনুষ্ঠানিক ভাবে মুহাম্মাদ মুরসিকে তাদের সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেয় এবং তাকে ‘মিশরের সর্বস্তরের মানুষের রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[3]