ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি (মিসর)
মিশরীয় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল / From Wikipedia, the free encyclopedia
ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টির (এফজেপি) ( আরবি: حزب الحرية والعدالة, প্রতিবর্ণীকৃত: হিজবুল হুররিইয়াহ ওয়াল 'আদালাহ) হল একটি মিশরীয় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। এই দলের হয়ে মিসরের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুরসি ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জিতেছিলেন,[7] এবং ২০১১ সালের সংসদ নির্বাচনে এই দল অন্য দলের চেয়ে সবচেয়ে বেশি আসন জিতে। এটি নামমাত্র একটি স্বতন্ত্র দল, তবে মিশরের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে এর শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। [8] ২০১৪ সালে দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল; তবে এটি এখনও গোপনে কাজ করে চলেছে।
ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি حزب الحرية و العدالة | |
---|---|
চেয়ারম্যান | সা'দ আল-কাতাদনি[1] |
ভাইস চেয়ারম্যান | ইসাম আল-আরিয়ান |
সেক্রেটারী জেনারেল | হুসাইন ইব্রাহিম[2] |
প্রতিষ্ঠা | ৩০ এপ্রিল ২০১১ (2011-04-30) |
সদর দপ্তর | ২০ কিং আল-সালেম হামিদ সড়ক, রোদা আইল্যান্ড, কায়রো |
সংবাদপত্র | ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস |
সদস্যপদ (২০১১) | ৮৮২১[3] |
ভাবাদর্শ | ইসলামপন্থা[4][5] সামাজিক রক্ষণশীল ধর্মীয় রক্ষণশীল মিশ্র অর্থনীতি[6] |
রাজনৈতিক অবস্থান | ডান-পন্থা |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | মুসলিম ব্রাদারহুড |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Green, blue |
স্লোগান | আমরা মিসরের ভালো রাখি (আরবি: نحمل الخير لمصر) |
হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভ (মিসর) | ০ / ৫৬৮ |
ওয়েবসাইট | |
www |
২০১১-১২ সালের মিশরীয় সংসদ নির্বাচনের ফলে এফজেপি দেশটির সংসদীয় নিম্নকক্ষের সমস্ত আসনের ৪৭.২ শতাংশ সিট জিতে, আর অন্যান্য ইসলামী দল আল নূর ও আল ওয়াসাত যথাক্রমে ২.৭ এবং ২ শতাংশ জিতে। [9][10][11] এফজেপি এবং সালাফি আল নূর পার্টি উভয়ই কথিত রাজনৈতিক ঐক্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। [12][13]
প্রথমে এফজেপি মূলত বলেছিল যে তারা ২০১২ সালের মিশরীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেবে না,[14][15] তবে বাস্তবে পরে তারা প্রার্থী দিয়েছিল। প্রথমে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা খাইরাত আল-শাতিরকে প্রার্থী করে তারা, কিন্তু তাকে নির্বাচন করার অযোগ্য ঘোষণা করার পরে তারা মুরসিকে প্রার্থী করে। [16] অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে ঘোষণা করে, কিন্তু এফজেপির অবস্থান তারা অস্পষ্ট রাখে। [17] ১৫ ই এপ্রিল ২০১৪, আলেকজান্দ্রিয়া কোর্ট ফর আর্জেন্ট ম্যাটার্স মুসলিম ব্রাদারহুডের বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্যদের সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। [18] ৯ ই আগস্ট, ২০১৪-এ সুপ্রিম প্রশাসনিক আদালত মুসলিম ব্রাদারহুডের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি ভেঙে দেওয়ার এবং এর সম্পদের বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। [19]