![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d7/%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF_%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6_3.jpg/640px-%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF_%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6_3.jpg&w=640&q=50)
সোনারগাঁও
বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন এলাকা / From Wikipedia, the free encyclopedia
সোনারগাঁও ছিল বাংলার মুসলিম শাসকদের অধীনে পূর্ববঙ্গের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। এর অবস্থান ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। মধ্যযুগীয় নগরটির যথার্থ অবস্থান নির্দেশ করা কঠিন। বিক্ষিপ্ত নিদর্শনাদি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এটি পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, দক্ষিণে ধলেশ্বরী ও উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত একটি বিস্তৃত জনপদ ছিল।
উপর থেকে : গোয়ালদি মসজিদ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর, পানাম নগর, পানাম নগর স্থাপত্য, নীল কুঠি, তাজমহল বাংলাদেশ | |
বিকল্প নাম | সোনারগাঁ |
---|---|
অবস্থান | নারায়ণগঞ্জ জেলা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৩৮′৫১″ উত্তর ৯০°৩৫′৫২″ পূর্ব |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | প্রাচীন |
পরিত্যক্ত | ঊনবিংশ শতাব্দী |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/05/%E0%A6%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6.jpg/640px-%E0%A6%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6.jpg)
সোনারগাঁও বাংলার ঐতিহাসিক অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন রাজধানী এবং পূর্ব বাংলার একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। এটি একটি নদী বন্দরও ছিল। তাঁতি ও কারিগরদের বিশাল জনসংখ্যার সাথে বাংলার মসলিন বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সোনারগাঁও। প্রাচীন গ্রীক ও রোমান বিবরণ অনুসারে, এই পশ্চাদভূমিতে এম্পোরিয়াম বা বাণিজ্যিক কেন্দ্র অবস্থিত ছিল, যা প্রত্নতাত্ত্বিকরা ওয়ারী-বটেশ্বর ধ্বংসাবশেষের সাথে সনাক্ত করেছেন। অঞ্চলটি বঙ্গ, সমতট, সেন এবং দেব রাজবংশের একটি ঘাঁটি ছিল।
দিল্লি সালতানাতের সময় সোনারগাঁও গুরুত্ব লাভ করে। এটি ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ এবং তার পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহ দ্বারা শাসিত সালতানাতের রাজধানী ছিল। এখানে রাজদরবার এবং বাংলা সালতানাতের টাকশাল এবং গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে বঙ্গীয় সালতানাতের রাজধানীও ছিল। এসময় সোনারগাঁও বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদে পরিণত হয়। অনেক অভিবাসী ওই এলাকায় বসতি স্থাপন করে। সুলতানরা মসজিদ ও সমাধি নির্মাণ করেন। পরে এটি বারো-ভূঁইয়ার ঈসা খান এবং তার পুত্র মুসা খানের নেতৃত্বে মুঘল সম্প্রসারণকে প্রতিহত করেছিল। বারো ভূইয়াদের পরাজয়ের পর সোনারগাঁও মুঘল সুবাহ বাংলার একটি জেলায় পরিণত হয়।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে, বণিকরা পানাম পাড়ায় অনেকগুল ইন্দো-সারাসেনিক টাউনহাউস তৈরি করেছিল। ১৮৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মাধ্যমে এর গুরুত্ব শেষ হয়ে যায়।