২০০০০ বরুণ
গ্রহাণু / From Wikipedia, the free encyclopedia
২০০০০ বরুণ হল একটি বৃহদাকার নেপচুনোত্তর বস্তু এবং কাইপার বেষ্টনীতে অবস্থিত একটি সম্ভাব্য বামন গ্রহ। এটিকে সাময়িকভাবে ২০০০ ডব্লিউআর১০৬ (ইংরেজি: 2000 WR106) নামে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট ম্যাকমিলান কিট পিক ন্যাশানাল অবজার্ভেটরিতে একটি স্পেসওয়াচ সমীক্ষা চালানোর সময় এই বস্তুটি আবিষ্কার করেন। বৈদিক সাহিত্যে উল্লিখিত প্রাচীনতম হিন্দু দেবতাদের অন্যতম বরুণের নামানুসারে এই বস্তুটির নামকরণ করা হয়। এই লম্বাটে আকারের কারণ বস্তুটির দ্রুত আবর্তন।
আবিষ্কার [1] | |
---|---|
আবিষ্কারক | স্পেসওয়াচ (রবার্ট ম্যাকমিলান) |
আবিষ্কারের তারিখ | ২৮ নভেম্বর, ২০০০ |
বিবরণ | |
উচ্চারণ | /ˈværənə/ VARR-ə-nə[2] |
নামকরণের উৎস | বরুণ |
বিকল্প নামসমূহ | ২০০০ ডব্লিউআর১০৬ |
ক্ষুদ্র গ্রহসমূহের শ্রেণী | নেপচুন-উত্তর বস্তু • কিউবওয়ানো [3] স্ক্যাট-এক্সট[4] |
বিশেষণ | বরুণীয় (ইংরেজি: Varunian, বরুনিয়ান; /vəˈruːniən/[5] |
কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য [1] | |
যুগ ৩১ মে, ২০২০ (জুলিয়ান দিন ২৪৫৯০০০.৫) | |
অপসূর | ৪৫.১১৭ AU (৬.৭৪৯৪ টেমি) |
অনুসূর | ৪০.৩১৯ AU (৬.০৩১৬ টেমি) |
অর্ধ-মুখ্য অক্ষ | ৪২.৭১৮ AU (৬.৩৯০৫ টেমি) |
উৎকেন্দ্রিকতা | ০.০৫৬১৭ |
কক্ষীয় পর্যায়কাল | ২৭৯.২১ বছর (১০১,৯৮০ দিন) |
গড় কক্ষীয় দ্রুতি | ৪.৫৩ কিলোমিটার/সেকেন্ড |
গড় ব্যত্যয় | ১১৯.১২১° |
নতি | ১৭.২২১° |
উদ্বিন্দুর দ্রাঘিমা | ৯৭.৩৭২° |
অনুসূরের উপপত্তি | ২৬২.২২০° |
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ | |
ভর | ≈ ১.৫৫×১০২০ কিg[lower-alpha 1] |
গড় ঘনত্ব | ০.৯৯২+০.০৮৬ −০.০১৫ গ্রাম/বর্গ সেমি[7] |
ঘূর্ণনকাল | ৬.৩৪৩৫৭২±০.০০০০০৬ h[8] |
জ্যামিতিক অ্যালবেডো | ০.১২৭+০.০৪ −০.০৪২[6] |
বর্ণালীর ধরন | আইআর (মাঝারি লাল) বি−ভি=০.৮৮±০.০২[9] ভি−আর=০.৬২±০.০১ ভি−আই=১.২৪±০.০১ |
আপাত মান | ২০.৩ (বিরোধিতা)[10][11] |
পরম মান (H) | ৩.৭৬০±০.০৩৫,[6] 3.6[1] |
বরুণের আলোক বক্ররেখার গণনা ইঙ্গিত করে যে, এটি একটি জেকবি উপগোলক এবং এটির লম্বাটের গড়নের কারণ হল দ্রুত আবর্তন। পৃষ্ঠভাগে জটিল জৈব যৌগের উপস্থিতির কারণে বরুণের পৃষ্ঠভাগ মাঝারি রকমের লাল। পৃষ্ঠভাগে জলীয় বরফও বিদ্যমান। মনে কথা হয় যে, অতীতের সংঘর্ষের ঘটনাগুলির ফলে এই জলীয় বরফ অনাবৃত হয়ে পড়েছে। এই সংঘর্ষগুলির ফলেই সম্ভবত বরুণের আবর্তনের গতি দ্রুত হয়েছে। বরুণের চারপাশে কোনও প্রাকৃতিক উপগ্রহ পাওয়া না গেলেও অথবা সরাসরি আলোকচিত্রে ধৃত না হলেও ২০১৯ সালে এটির আলোক বক্ররেখায় ভিন্নতার মাত্রা খুব কাছ থেকে বরুণকে প্রদক্ষিণকারী একটি উপগ্রহের উপস্থিতির সম্ভাবনাই ইঙ্গিত করে।