নেপচুনোত্তর বস্তু
From Wikipedia, the free encyclopedia
নেপচুনোত্তর বস্তু বা নেপচুন-উত্তর বস্তু (ইংরেজি: trans-Neptunian object বা transneptunian object সংক্ষেপে TNO, বা বাংলায় নেউব) বলতে সৌর জগতের সে সকল গৌণ গ্রহরাশি বোঝায় যা সূর্যকে নেপচুন অপেক্ষা বেশি গড় দূরত্বে (অর্ধ-মুখ্য অক্ষ), অর্থাৎ ৩০ মহাকাশীয় এককের (AU) বেশি দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ AU এর বেশি অর্ধ-মুখ্য অক্ষ এবং ৩০ AU এর বেশি অনুসূর বিশিষ্ট ১২ টি গৌণ গ্রহ[nb 1] এর অস্তিত্ব এ পর্যন্ত জানা গেছে, এদের চরম নেপচুনোত্তর বস্তু (ইংরেজি: extreme trans-Neptunian object সংক্ষেপে ETNO) বলা হয়।[1] ১৯৩০ সালে প্রথম নেপচুনোত্তর বস্তু প্লুটো আবিষ্কৃত হয়। ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় নেপচুনোত্তর বস্তুর খোঁজ পাওয়া যায়, যার নাম (১৫৭৬০) ১৯৯২ কিউবি১। জুলাই ২০১৫ পর্যন্ত গৌণ গ্রহ কেন্দ্রের নেপচুনোত্তর বস্তুর তালিকা-য় ১,৬৫০ এর অধিক নেপচুনোত্তর বস্তু তালিকাভুক্ত হয়েছে।[2][3] এই বস্তুগুলোর মাঝে ১,৪৭১ টির অনুসূর দূরত্ব নেপচুনের (৩০.১ AU) চেয়ে বেশি।[4] নভেম্বর ২০০৯ পর্যন্ত এদের মাঝে যাদের কক্ষপথ যথেষ্ট ভালভাবে নির্ণিত হয়েছে এমন ২০০ টি বস্তুকে গৌণ গ্রহ আখ্যাপ্রদান করা হয়েছে।[2][5] নেপচুনোত্তর বস্তুর মাঝে বৃহত্তম হল প্লুটো, এরপর যথাক্রমে এরিস, মাকেমাকে, ২০০৭ ওআর১০, এবং হাউমেয়া। নেপচুনোত্তর বস্তুগুলোর ব্যাপ্তি সচরাচর কাইপার বেষ্টনী, বিক্ষিপ্ত চাকতি ও উর্ট মেঘ - এই তিন অঞ্চলে ভাগ করা হয়;[6] তবে অনেক ক্ষেত্রে অন্যভাবেও শ্রেণিবিভাগ করা হয়, এবং কিছু কিছু বস্তু যেমন সেডনা কে সহজে শ্রেণীভুক্ত করা যায়নি।[nb 2]