শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
উড়োজাহাজ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
উড়োজাহাজ বাতাসের চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এক ধরনের আকাশযান। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন এবং যুদ্ধে এটি ব্যবহৃত হয়। উড়োজাহাজ নামটি এসেছে উড় বা ওড়া এবং জাহাজ বা পোত শব্দদুটি একত্রিত করে। উড়োজাহাজকে আমেরিকা, কানাডাসহ অনেক স্থানে এয়ারপ্লেন ("airplane") বলে। আবার ব্রিটেনসহ কিছু এলাকায় অ্যারোপ্লেন নামে ডাকা হয়। ইংরেজিতে এই নামদুটি এসেছে গ্রিক αέρας (aéras-) ("air" বা "বাতাস") এবং গণিতের plane (তল) শব্দদুটি থেকে।[১]
Remove ads
আকাশে উড্ডয়ন সূত্র
এর উর্দ্ধগতি এর ডানার সম্মুখগতির কারণে। এই ধরনের আকাশযানের উর্দ্ধগতি ঘূর্ণায়মান ডানা সংবলিত আকাশযানের মত ডানায় বা উপরে অবস্থিত পাখার ঘূর্ণনের কারণে সৃষ্ট হয় না যেমনটি হেলিকপ্টারে হয়। যদিও রকেট বা মিসাইল আকাশে উড়ে তথাপি তাদের উড়োজাহাজ বলা হয়না কারণ এগুলো ডানার সম্মুখগতি ব্যবহার না করে রকেট থার্স্ট এর সাহায্যে উর্দ্ধগতি অর্জন করে। অনেক উড়োজাহাজ প্রপেলার বা জেট ইঞ্জিন দ্বারা সৃষ্ট ঘাতের প্রভাবে সম্মুখে চালিত হয়।
Remove ads
আবিস্কার
সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রথম নিয়ন্ত্রিত, শক্তিসম্পন্ন এবং বাতাসের চেয়ে ভারী সুস্থিত মানুষ-বহনযোগ্য উড়োজাহাজ তৈরি করা হয়। রাইট ব্রাদার্স উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইট প্রথম উড়োজাহাজ আবিষ্কার করেন। [২] তাঁরা বারবার উড়োজাহাজ তৈরি করার চেষ্টা করেন এবং বারবারই ব্যর্থ হন, কিন্তু চেষ্টা থামান নি। ১৮৯৯ সালের জুলাই মাসে উইলবার রাইট পাঁচ ফুট উচ্চতার একটি বাক্স ঘুরিতে বেধেঁ ওড়ার চেষ্টা করে। ঠিক তারপরের বছরই তাঁরা গ্লাইডার তৈরি করতে সক্ষম হন। আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার কিটিহকে নিয়ে আসেন এটিকে ওড়ানোর জন্য। গ্লাইডারটি আকাশে ভেসে ছিল মাত্র ১২ সেকেন্ড। এরপর ১৯০১ ও ১৯০২ সালে পরপর দুটি পরীক্ষা করেন। এবার তাঁরা তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রটি ব্যবহার করে কিছুটা সাফল্য লাভ করেন। এটিকে তাঁরা প্রায় এক হাজার বার ওড়ান। এর নাম দেন 'Flyer-1'। ১৯০৩ সালের ২৩ মার্চ রাইট ব্রাদার্স তাঁদের উড্ডয়নকৃত গ্লাইডার এর পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন। এরপর তাদের কঠোর অধ্যবসায়ের পর ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে 'Flyer-111' তৈরি করেন এবং এটিকে তাঁরা ১০৫ বার উড্ডয়ন করেন।
তাঁরা ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিমানকে আরও নিরাপদ উড্ডয়নের জন্য ব্যাপক গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। ফ্রান্সের একটি কোম্পানি এবং আমেরিকার সেনা সদস্যের সাথে তাঁদের একটি সহযোগিতা চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক বড় ভাই উইলবার রাইট ফ্রান্সে এবং ছোট ভাই অরভিল রাইট ওয়াশিংটন ডিসিতে কাজ করেন। উইলবার রাইট ১৯০৮ সালের ৮ই আগস্ট বিমান নিয়ে সফলভাবে আকাশে ওড়েন। ওই বছরই ১৪মে ডেটনের ফারসান নামের একজন সহকারী প্রথম যাত্রী হিসেবে উইলবারের সাথে ফিক্সড উইং এয়ারক্রাফেট ভ্রমণ করেন। ৮ অক্টোবর এডিথ বার্ঘ নামক এক মহিলা প্রথম আমেরিকান নারী হিসেবে উইলবারের সাথে আকাশে ওড়েন।[৩]
Remove ads
চালনা
বেশিরভাগ উড়োজাহাজই উড়োজাহাজে অবস্থানকারী চালক বা পাইলট উড়িয়ে নিয়ে যান, তবে কিছু উড়োজাহাজ দূর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাহায্যে বা রোবট দিয়ে ওড়ানো হয়।
গ্যালারি
- টুপোলেভ টিইউ-১৬০, একটি শব্দাতিক বোমারূ বিমান
- পি-৩৮ লাইটনিং, দ্বি ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান
- রাশান নাইটস অ্যাক্রোব্যাট দলের সুকোহি এসইউ-২৭ইউবি
- এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর বিমান
- মেক্সিকোর মনুষ্য বিহীন উড়োজাহাজ এস৪ এহিক্যাটল (S4 Ehécatl) উড়তে যাচ্ছে
- অ্যাকুইলা এটি০১
- হেলিওস
- বেল এক্স-১
- লকহীড এসআর-৭১ ব্ল্যাকবার্ড
- বোয়িং এক্স-৪৩ এ, বুস্টার ইঞ্জিন চালু করার পরে
- লে ব্রিস এবং তার গ্লাইডার অ্যালবাট্রস II, চিত্রগ্রাহক নাদার, ১৮৬৮
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads