শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

আলীম দার

পাকিস্তানী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আলীম দার
Remove ads

আলীম সারওয়ার দার (উর্দু: علیم ڈار; জন্ম ৬ জুন ১৯৬৮) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝং এলাকায় জন্মগ্রহকারী একজন ক্রিকেট আম্পায়ার ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকার অন্যতম সদস্য। ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং লেগ-ব্রেক বোলার হিসেবে তিনি এলাইড ব্যাংক লিমিটেড, গুজরানওয়ালা ক্রিকেট এসোসিয়েশন, লাহোর ক্রিকেট দল এবং পাকিস্তান রেলওয়েজ ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। অবসরগ্রহণের পর থেকে অদ্যাবধি তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে শীর্ষস্থানীয় আম্পায়াররূপে পরিচিত হয়ে আসছেন। লাহোরের সিভিল লাইন্স এলাকায় অবস্থিত ইসলামিয়া কলেজ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
Remove ads

কর্মজীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাগুলোয় আম্পায়ার হিসেবেই মূলত আলীম দার ক্রিকেটাঙ্গনে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে গুজরানওয়ালার জিন্নাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের মধ্যেকার একদিবসীয় ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ঘটান। ২০০২ সালে তিনি আইসিসি'র আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক প্যানেলে সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদর্শন করে আইসিসি কর্তৃপক্ষকে আশ্চর্যান্বিত করেন। ২০০৩ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও আম্পায়ারিংয়ে তিনি অন্যান্য সেরা আম্পায়ারদের সহযোগী ছিলেন। অক্টোবর, ২০০৩ সালে তিনি সেরা আম্পায়ারিত্ব করেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে; সেখানে তিনি বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলার মাধ্যমে টেস্টে আম্পায়ারের অভিষেক ঘটান। কিন্তু এ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের কোন টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিত্ব করেননি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক তালিকা প্রবর্তনের পর সকল টেস্ট ম্যাচ নিরপেক্ষ আম্পায়ার দ্বারা পরিচালিত হয়।

এপ্রিল, ২০০৪ সালে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।[] এরপর থেকেই তিনি নিজেকে শীর্ষস্থানীয় আম্পায়াররূপে মেলে ধরতে থাকেন।

১৭ অক্টোবর, ২০০৭ সালে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার খেলায় আলীম দার ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বের দশম আম্পায়ার হিসেবে শততম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিত্ব করেন।

Remove ads

কৃতিত্ব

দার ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তার নির্ভরযোগ্যতা প্রদর্শন করেন। ১৫টি আম্পায়ার ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে তার বিরুদ্ধে আনীত সিদ্ধান্তের সবগুলো পুণঃবিবেচনাই বাতিল হয়ে যায়।

২০০৫ এবং ২০০৬ সালে দুইবার আইসিসি’র বর্ষসেরা আম্পায়ারের জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন দার। অতঃপর ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বার্ষিকভিত্তিতে প্রদেয় পুরস্কার জয় করেন।[] অক্টোবর, ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার জিতেন।[] এরপর সেপ্টেম্বর, ২০১১ সালে ধারাবাহিকভাবে পরপর তিনবার এ পুরস্কার লাভ করেন।[] উল্লেখ্য যে, ২০০৪ সালে আইসিসি'র বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার প্রবর্তনের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার সাইমন টাওফেল এবং তিনি - এ দু'জন উক্ত পুরস্কার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন যা ২০১২ সালে কুমার ধর্মসেনার উত্থানজনিত কারণে ছেদ ঘটে।

১৪ আগস্ট, ২০১০ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে প্রাইড অব পারফরমেন্স পদকে ভূষিত করে সবিশেষ সম্মানিত করে।[] এছাড়াও, ১৫০টি ওডিআই পরিচালনা করায়ও আইসিসি তাকে সম্মানিত করে।[][]

Remove ads

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads