শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ইকবাল কাশিম
পাকিস্তানী ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মোহাম্মদ ইকবাল কাশিম (উর্দু: محمد اقبال قاسم; জন্ম: ৬ আগস্ট, ১৯৫৩) সিন্ধু প্রদেশের করাচি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক ও সিন্ধু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন ইকবাল কাশিম।
Remove ads
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত ইকবাল কাশিমের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পঞ্চাশটি টেস্ট ও পনেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ইকবাল কাশিম। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ অক্টোবর, ১৯৮৮ তারিখে লাহোরে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮৭ সালে ভারত গমন করেন। ব্যাঙ্গালোরে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে দূর্দান্ত খেলে দলকে স্মরণীয় জয় এনে দেন। এরফলে ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের প্রথম সিরিজ বিজয় নিশ্চিত হয়। খেলায় তিনি ১২১ রান খরচায় নয় উইকেট পান। তন্মধ্যে, ৯৬ রান সংগ্রহকারী সুনীল গাভাস্কারের উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবন শেষে অংশগ্রহণকৃত ৫০ টেস্টে ১৭১ উইকেট লাভ করেছেন। খেলা প্রতি উইকেট সংগ্রহের হার প্রায় ৩.৫। নিখুঁতভাবে বোলিং করতেন। ফলশ্রুতিতে প্রতি ওভারে ২.২১ গড়ে রান দিয়েছিলেন তিনি।
Remove ads
খেলার ধরন
ধীর স্বভাব ও কৌণিক ভঙ্গীমায় আম্পায়ার ও স্ট্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকা পাড়ি দিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন ইকবাল কাশিম। বলকে তিনি দ্রুতলয় থেকে সাধারণের দিকে নিয়ে যেতেন। বিরাটভাবে বাঁক খাওয়াতে না পারলেও ব্যাটসম্যানকে বলে পেস আনয়ণের মাধ্যমে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিতেন। ধীরগতিসম্পন্ন পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে আবদুল কাদিরই কেবল তার তুলনায় অধিক টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন। দলীয় সঙ্গী আবদুল কাদিরের সাফল্যে প্রায়শঃই তার সফলতা ম্লান হয়ে পড়তো। তবে, গড় ও স্ট্রাইক রেটে তার তুলনায় এগিয়ে ছিলেন তিনি।
ছোটখাটো গড়নের অধিকারী ছিলেন তিনি। বলে ফ্লাইট আনয়ণের চেয়ে নিখুঁততার দিকে অধিক মনোনিবেশ ঘটাতেন। ওভারে দুইয়ের অধিক বলে ফ্লাইট দিতেন না। এক দশকের অধিক সময়ে পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। তবে, কাছাকাছি এলাকায় ফিল্ডিং করে মাঝে-মধ্যেই দর্শনীয় ভাব সৃষ্টি করতেন।
Remove ads
অবসর
ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২০১২ সালে পাকিস্তান দল নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান হিসেবে মনোনীত হন।[১]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads