শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম (EI) একটি তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ, যা ইসলামের একাডেমিক গবেষণায় সহায়তা করে। এটি ব্রিল কর্তৃক প্রকাশিত হয় এবং ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্য প্রদান করে। ইসলামিক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি মানক তথ্যভিত্তিক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়।[১] এর প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯১৩–১৯৩৮ সালে, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৫৪–২০০৫ সালে, এবং তৃতীয় সংস্করণের কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে।
Remove ads
বিষয়বস্তু
ব্রিল প্রকাশনার মতে, এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম-এ "প্রতিটি যুগ ও দেশের বিশিষ্ট মুসলমানদের সম্পর্কে প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; এছাড়াও উপজাতি ও রাজবংশ, শিল্প ও বিজ্ঞান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন দেশের ভূগোল, নৃতত্ত্ব, উদ্ভিদ ও প্রাণিজগত এবং প্রধান শহর ও নগরের ইতিহাস, ভূপ্রকৃতি ও স্মৃতিসৌধ সম্পর্কেও প্রবন্ধ রয়েছে। এর ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক পরিসর জুড়ে রয়েছে প্রাচীন আরব-ইসলামী সাম্রাজ্য, ইসলামি দেশসমূহ যেমন ইরান, মধ্য এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া, উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং অন্যান্য সমস্ত ইসলামি দেশ।"[২]
Remove ads
গ্রহণযোগ্যতা
সারাংশ
প্রসঙ্গ
এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম ইসলামিক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে একটি মানক তথ্যসূত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।[১] প্রতিটি প্রবন্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ কর্তৃক রচিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইংরেজি ভাষায় ইসলাম ও ইসলাম বিষয়ক অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রামাণ্য তথ্যসূত্র। এতে দীর্ঘ, স্বাক্ষরিত প্রবন্ধ এবং গ্রন্থপঞ্জি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই (EI2) সংস্করণে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তবে এটি এখনো ইংরেজি ভাষায় ইসলামের ওপর মানক বিশ্বকোষ হিসেবে বিবেচিত।
ইসলামিক অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তৃত তথ্যসূত্র হলো এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম। এটি ইসলামী সভ্যতার প্রতিটি দিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করার এক বিশাল প্রচেষ্টা—এর উৎপত্তি থেকে শুরু করে আধুনিক সময় পর্যন্ত। EI কোনো বেনামি সারসংক্ষেপ নয়। অধিকাংশ প্রবন্ধ স্বাক্ষরিত, এবং কিছু প্রবন্ধ অভিধান-ভিত্তিক হলেও, অনেক প্রবন্ধ গবেষণামূলক এবং প্রায়শই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেরা উপলব্ধ রচনা।
ভূগোল, নৃতত্ত্ব এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবনীবিষয়ক আলোচনার ক্ষেত্রে এই তথ্যসূত্র অত্যন্ত মৌলিক গুরুত্ব বহন করে।
তবে ইতিহাসবিদ রিচার্ড এম. ইটন India's Islamic Traditions, 711–1750 (২০০৩) গ্রন্থে এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম-এর সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ইসলামকে বর্ণনা ও সংজ্ঞায়িত করার প্রচেষ্টায় এই প্রকল্পটি এক ধরনের ওরিয়েন্টালিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, যেখানে ইসলামকে একটি "সীমাবদ্ধ, স্বনির্ভর সত্তা" হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।[৬]
Remove ads
সংস্করণসমূহ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
প্রথম সংস্করণ (ইআই১) রচিত হয়েছিল পাউলি-ভিসোভা রিয়ালএনসাইক্লোপেডি অফ ক্ল্যাসিক্যাল অ্যালটারটুমসভিসেনশ্যাফ্ট (Pauly-Wissowa Realencyclopädie der classischen Altertumswissenschaft)-এর আদলে। এটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ অ্যাকাডেমিস (International Union of Academies)-এর তত্ত্বাবধানে এবং লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয় (Leiden University)-এর সমন্বয়ে প্রস্তুত হয়। এটি ব্রিল প্রকাশনী (Brill) থেকে ১৯১৩ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে চারটি খণ্ড ও একটি পরিশিষ্টসহ ইংরেজি, জার্মান এবং ফরাসি ভাষায় প্রকাশিত হয়।
১৯৫৩ সালে একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ শর্টার এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম (এসইআই) নামে প্রকাশিত হয়, যা মূলত ইসলামি আইন ও ধর্মীয় বিষয়ে কেন্দ্রীভূত। এসইআই-এর নির্বাচিত অংশ তুর্কি, আরবি ও উর্দু ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে।
এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম-এর দ্বিতীয় সংস্করণ (ইআই২) ১৯৫৪ সালে শুরু হয় এবং ২০০৫ সালে সম্পন্ন হয় (এর ইনডেক্সগুলো ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়)। এটি ডাচ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ব্রিল কর্তৃক প্রকাশিত হয় এবং ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় পাওয়া যায়। ১৯৯৯ সাল থেকে ইআই২ ইলেকট্রনিক রূপেও (সিডি-রম ও ওয়েব অ্যাক্সেসযোগ্য সংস্করণে) উপলব্ধ। বিষয়বস্তুর বিস্তৃতির পাশাপাশি, দ্বিতীয় সংস্করণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—এতে শত শত লেখকের মধ্যে মুসলিম ও মধ্যপ্রাচ্যীয় পটভূমির গবেষকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:
''ইআই১ ও এসইআই প্রায় পুরোপুরি ইউরোপীয় পণ্ডিতদের দ্বারা রচিত হয়েছিল এবং এগুলো ইসলামী সভ্যতার একটি বিশেষ ইউরোপীয় ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে। এই ব্যাখ্যা "ভুল"—এমন নয়, তবে এই খণ্ডগুলিতে যে প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী মুসলিম চিন্তাভাবনার প্রশ্নাবলির থেকে ভিন্ন। ইআই২ কিছুটা আলাদা। এটি পূর্বসূরির মতো করেই শুরু হয়েছিল, তবে পরবর্তী সময়ে অনেক প্রবন্ধ মুসলিম পটভূমির গবেষকদের দ্বারা লেখা হয়েছে। এরা অবশ্য কোম বা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়-এর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষায় শিক্ষিত নন; তারা মূলত পাশ্চাত্য ধাঁচের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষিত এবং পদ্ধতিগত দিক থেকে তারা পশ্চিমা সহকর্মীদের সঙ্গে মিল রাখলেও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতায় প্রায়শই পার্থক্য থাকে। তারপরও, লেখার ভঙ্গির যে পরিবর্তন ঘটেছে, তা লক্ষ্যযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ।
— আর. স্টিফেন হামফ্রিস[৪]
এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম-এর তৃতীয় সংস্করণ (ইআই৩) ২০০৭ সালে শুরু হয়। এটি অনলাইনে উপলব্ধ এবং প্রতি বছর চারবার মুদ্রিত "পার্টস" আকারে প্রকাশিত হয়। সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়েছেন ২০ জন শাখা সম্পাদক এবং ৫ জন প্রধান সম্পাদক (এক্সিকিউটিভ এডিটর): কেট ফ্লিট, গুডরুন ক্র্যামার (ফ্রি ইউনিভার্সিটি, বার্লিন), এভারেট রোসন (নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি), জন নাওয়াস (ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অফ লুভ্যাঁ) এবং ডেনিস মাত্রিঞ্জ (EHESS, CNRS)।
ইআই৩-এর ক্ষেত্র ও কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে:
- ২০শ শতকের ইসলাম বিষয়ে বিস্তৃত কভারেজ,
- এমন সব অঞ্চল যেখানে ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ বা প্রভাবশালী ছিল বা রয়েছে সেগুলোর প্রতি অধিক মনোযোগ,
- বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দিকেও দৃষ্টি,
- মানবিক ও সমাজবিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিকোণকে পূর্ণ গুরুত্ব প্রদান।
Remove ads
অনুবাদ
উর্দু
এটি উর্দু ভাষায় ২৩ খণ্ডে অনূদিত হয় উর্দু দায়েরা মাআরিফ ইসলামিয়া নামে। এটি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় (University of the Punjab) কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads