শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশের ১৭তম সেনাপ্রধান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
শেখ মোহাম্মদ শফিউদ্দিন আহমেদ (জন্ম: ১ ডিসেম্বর ১৯৬৩)[১] বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে ২৪ জুন ২০২১ থেকে ২৩ জুন ২০২৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৪][৫] বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৪০ বছরের সামরিক জীবনে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মহাপরিচালক, সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালক (ডিএমটি)[৬] ছাড়াও একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং একটি পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭][৮]
Remove ads
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
শেখ মোহাম্মদ শফিউদ্দিন আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার করফা গ্রামে সম্ভ্রান্ত শেখদের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২][৯] তার পিতা মরহুম শেখ মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক ও সমাজসেবক।
শফিউদ্দিন আহমেদ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির সাবেক ছাত্র।[১০] শফিউদ্দীন আহমদ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সামরিক কোর্সে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক করেন। তিনি পিএলএ জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম কোর্স এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত অধ্যয়ন কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনইএসএ স্নাতক করেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে তিনটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে ডেভেলপমেন্ট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস) বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন যেখানে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে ডেভেলপমেন্ট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[১১]
Remove ads
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
শফিউদ্দিন আহমেদ ১৯৮৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৯ম তম বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নে কমিশন লাভ করেন।[৩][৭][১২] কমিশন লাভের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশন এলাকায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সামরিক জীবন শুরু করেন।[৬] তিনি বাংলাদেশ ব্যাটালিয়নের (বিএমএ) ১ম ব্যাটালিয়নে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার এবং একটি পদাতিক ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সেনা সদর দপ্তরের জেনারেল স্টাফ শাখার মিলিটারি ট্রেনিং ডিরেক্টরেটের মিলিটারি ট্রেনিং ডিরেক্টরেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১২ সালে ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও ঘাটাইল এরিয়ার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১৩][১৪] তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[১৩]
তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কোলে সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ (এসডিএস) এবং লজিস্টিক এরিয়ার জিওসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিলো এবং আর্টডকের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) করা হয়েছিলো।[১২] ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর তিনি কর্পস অফ মিলিটারি পুলিশের ষষ্ঠ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য সেনা সদরে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এস এম মতিউর রহমান লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে অ্যার্টডক জিওসি হিসাবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।[৮]
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন
শফিউদ্দিন আহমেদ ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে এমআইএনইউএসসিএর ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য এসআরএসজি কর্তৃক প্রশংসাপত্র গ্রহণ করেন।[১৫] মোজাম্বিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এর অধীনে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মোজাম্বিকে জাতিসংঘের অভিযানে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সেনাপ্রধান হিসেবে
২০২১ সালের ১০ জুন শফিউদ্দিন আহমেদ ১৮তম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হন। ২০২১ সালের ২৪ জুন তার নতুন ভূমিকার প্রথম দিন তাকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণভবনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান তার নতুন র্যাঙ্কিংয়ের প্রতীকচিহ্ন পেশ করেন।[৪][৫]

শফিউদ্দিন আহমেদের অন্যান্য বর্তমান দায়িত্ব পালনের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে।[১৬] তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক সংস্থা ও বাংলাদেশ গল্ফ ফেডারেশনের সভাপতি। তিনি কুর্মিটোলা গল্ফ ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কাউন্সিলের গভর্নিং বডির ভাইস চেয়ারম্যান।[২]
Remove ads
ব্যক্তিগত জীবন
সফিউদ্দিন আহমেদ নূরজাহান আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।[২]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads