শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ওয়াকার-উজ-জামান
বাংলাদেশের ১৮তম সেনাপ্রধান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ওয়াকার-উজ-জামান (জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ও বর্তমান সেনাপ্রধান। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৮তম সেনাপ্রধান হিসেবে ২৩ জুন ২০২৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[১][২] ইতিপূর্বে তিনি লেফট্যানেন্ট জেনারেল হিসেবে চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) এর দায়িত্ব পালন করছেন।[৩] তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ১৫তম প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) ছিলেন এবং এর পূর্বে তিনি সেনা সদর দপ্তরের সামরিক সচিব ছিলেন।[৪][৫][৬]
Remove ads
প্রাথমিক জীবন
ওয়াকার-উজ-জামান ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস শেরপুর জেলায়। তিনি মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে লেখাপড়া করে লন্ডনের কিংস কলেজে মাস্টার্স করেন।[৪][৫][৭]
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালে সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। তিনি ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে সেনা সদর দপ্তরের সামরিক সচিবের দায়িত্ব পান। তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এবং সেনা সদরদপ্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনা সদরদপ্তরের সামরিক সচিবের শাখাতেও তিনি বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করেছেন।[৫][৭] তিনি ৫ নভেম্বর ২০২৩ আর্মি সার্ভিস কোরের সপ্তম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট‘ হিসেবে অভিষিক্ত হন।[৮] ২৩ জুন ২০২৪ সালে তিনি সেনা প্রধান হন।[৯]
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন
ওয়াকার-উজ-জামান অ্যাঙ্গোলা ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫][৬][৭]
শেখ হাসিনার সরকারের পতন
৫ আগস্ট ২০২৪-এ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ তিনি ঘোষণা করেন,[১০][১১] ওয়াকার আরও বলেন যে রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র-জনতার সমর্থনে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে।[১২] শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পঞ্চম হাসিনা মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ার তিন দিন পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট রাতে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যরা শপথ নেন।[১৩][১৪]
সমালোচনা
২০২৫ এর মার্চে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ওয়াকারুজ্জামানের বিরূদ্ধে ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর মোহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব প্রদানের বিরোধিতা করা ও ২০২৫ এর মার্চে হাসনাতসহ আরও ২জন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার সাথে গোপনে আওয়ামী লীগকে বিচার না করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনরায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব নিয়ে বাকবিতণ্ডা করার অভিযোগ করেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।[১৫][১৬][১৭]
২০২৫ সালের ১৬ জুলাই বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি রাজনৈতিক সমাবেশে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়।[১৮][১৯] এর আগে একটি আল জাজিরা ডকুমেন্টারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান মন্তব্য করেছিলেন, “আমরা সাধারণ নাগরিকদের ওপর গুলি করি না।”[২০] এই মন্তব্যটি ঘটনার পর ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
Remove ads
ব্যক্তিগত জীবন

ওয়াকার-উজ-জামানের স্ত্রী বেগম সারাহনাজ কমলিকা। তিনি [[শেখ হাসিনা]র ফুফাতো বোন। এই দম্পতির দুই মেয়ে, রাইসা জামান এবং শায়রা ইবনাত জামান। ওয়াকার-উজ-জামান প্রয়াত জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমানের জামাতা, যিনি ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৭ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ২০০০ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২১]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads