শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
কাঞ্চীপুরম জেলা
তামিলনাডুর জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
কাঞ্চীপুরম জেলা (তামিল: காஞ்சிபுரம் மாவட்டம்) হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলার পশ্চিম দিকে ভেলোর জেলা ও তিরুবন্নামালাই জেলা, উত্তর দিকে তিরুভেলুর জেলা ও চেন্নাই জেলা, দক্ষিণ দিকে ভিল্লুপুরম জেলা ও পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগর। এই জেলার আয়তন ৪,৪৩২ কিমি২ (১,৭১১ মা২)। জেলার উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৫৭ কিমি (৩৫ মা)। জেলার সদর শহর কাঞ্চীপুরম। চেন্নাই ও কোয়েম্বাটোরের পরে এই জেলা তামিলনাড়ুর তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল জেলা।[২] চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাঞ্চীপুরম জেলার ত্রিশূলমে অবস্থিত।
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ

খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত পতঞ্জলির মহাভাষ্য গ্রন্থে "কাঞ্চীপুরম" নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে লেখা তামিল ধ্রুপদি মহাকাব্য মণিমেকালাই গ্রন্থেও কাঞ্চীপুরমের বর্ণনা পাওয়া যায়। সংগম সাহিত্যের অন্তর্গত পতুপট্টু গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ২৫০০ বছর আগে রাজা তোন্ডাইমন ইলান্ডিরায়ান এই শহর শাসন করতেন।
স্বাধীনতার আগে কাঞ্চীপুরম পর্যায়ক্রমে পল্লব, চোল, বিজয়নগর ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এটি প্রাচীন তামিল দেশের অন্যতম বিভাগ তোন্ডাইমণ্ডলমের (অধুনা কাঞ্চীপুরম, চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, ভেলোর ও তিরুবন্নামালাই জেলার ভূখণ্ড) অন্তর্গত ছিল। তোন্ডাইমণ্ডলমের রাজধানী ছিল কাঞ্চীপুরম শহর। খ্রিস্টীয় তৃতীয় থেকে নবম শতাব্দী পর্যন্ত কাঞ্চী ছিল পল্লবদের রাজধানী। পল্লবরা উত্তরে কৃষ্ণা নদী থেকে দক্ষিণে কাবেরী নদী পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেছিল। পল্লবরা প্রাচীর, পরিখা ইত্যাদি দিয়ে ঘিরে শহরটিকে দুর্গে পরিণত করেছিল। শহরে প্রশস্ত রাজপথ ও সুদৃশ্য মন্দিরও নির্মাণ করেছিল। পল্লবদের নৌবাহিনী শক্তিশালী ছিল। তারা চীন, থাইল্যান্ড, ফিজি প্রভৃতি দেশের সঙ্গে সমুদ্র বাণিজ্যে লিপ্ত থাকত। তাদের প্রধান বন্দরটি ছিল কাঞ্চীপুরম জেলার মামল্লপুরম বা মহাবলীপুরমে। খ্রিস্টীয় দশম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল শাসন করে চোল রাজারা। চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধিভুক্ত থাকে।
কাঞ্চী ছিল একটি অন্যতম প্রধান তামিল শিক্ষাকেন্দ্র। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। কালিদাসের রচনায় "নগরেষু কাঞ্চী" কথাটি থেকে অনুমিত হয়, এই শহর সেই সময় শ্রেষ্ঠ নগরগুলির মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হল। কাঞ্চীর রাজা প্রথম মহেন্দ্র বর্মণ ছিলেন বিশিষ্ট পণ্ডিত, নাট্যকার ও সংগীতজ্ঞ। সপ্তম শতাব্দীতে চীনা পর্যটক ইউয়ান চোয়াং কাঞ্চীতে এসেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, শহরটির পরিধি ছয় মাইল এবং এই শহরের বাসিন্দারা বীরত্ব ও পবিত্র জীবনযাপনের জন্য বিখ্যাত। শুধু তাই নয় ন্যায়বিচার ও বিদ্যাচর্চার ব্যাপারেও তাদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে। গৌতম বুদ্ধ এই শহরে এসেছিলেন বলে জানা যায়। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অধীনস্থ থাকার পর এই শহর প্রথমে মুঘল সাম্রাজ্য ও পরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।

ব্রিটিশরা "কাঞ্চীপুরম" শব্দটির ইংরেজি রূপ দিয়েছিল "কাঞ্জিভরম" (Conjeevaram)। ব্রিটিশ শাসনে ১৭৮৮ সালে কাঞ্চীপুরম কালেক্টর-শাসিত জেলায় পরিণত হয়। পরে জেলাটিকে দুই জন কালেক্টরের অধীনে উত্তর ও দক্ষিণে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই জেলার সদর শহর হয় করুণগুজি। শুধু ১৮২৫ থেকে ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত কাঞ্চীপুরম ছিল এই জেলার সদর। ১৮৫৯ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত জেলা সদর ছিল সেইদাপেট্টাই-তে।
১৯৬৮ সালের ১ জুলাই ছিল কাঞ্চীপুরম চেঙ্গলপট্টু জেলার সদর শহর হয়। ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই উক্ত জেলাটি ভেঙে কাঞ্চীপুরম ও তিরুভাল্লুর জেলা গঠিত হয়। এই সময় কাঞ্চীপুরম, শ্রীপেরামবুদুর, উতিয়ারামেরুর,চেঙ্গলপট্টু, তাম্বারাম, তিরুকালুকুন্ড্রা, মাদ্রান্ডাকাম ও চেয়ুর পঞ্চায়েত সমিতিগুলি কাঞ্চীপুরম জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।[৩]
Remove ads
ভূগোল
সারাংশ
প্রসঙ্গ
কাঞ্চীপুরম জেলাটি তামিলনাড়ুর উত্তর-পূর্ব উপকূলরেখা বরাবর অবস্থিত। এই জেলার পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিম দিকে ভেলোর ও তিরুভান্নামালাই জেলা, উত্তর দিকে তিরুভাল্লুর ও চেন্নাই জেলা এবং দক্ষিণ দিকে ভিল্লুপ্পুরম জেলা। জেলার মোট উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৫৭ কিলোমিটার। নিচে জেলার গ্রীষ্ম ও শীতকালীন গড় তাপমাত্রা দেওয়া হল:
প্রাক-বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জেলায় সর্বত্র সমান। তবে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হয়। জেলাটি প্রধানত বর্ষাকালীন বৃষ্টির উপরই নির্ভরশীল। উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এই জেলার বৃষ্টিপাতের প্রধান কারণ। উভয় বায়ুর প্রভাবে বার্ষিক যথাক্রমে ৫৪% ও ৩৬% বৃষ্টিপাত হয়। সাধারণ বর্ষায় জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২০০ মিলিমিটার।
পালার নদী এই জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশে এই নদীর উপর কয়েকটি বাঁধ তৈরির জন্য এটি প্রায় সারা বছরই শুকনো থাকে। এই জেলায় কয়েকটি পাহাড় রয়েছে। মাদুরান্তাকম পঞ্চায়েত সমিতিতে কয়েকটি ছোটো পাহাড় রয়েছে। জেলায় মোট বনাঞ্চলের পরিমাণ ২৩,৫৮৬ হেক্টর।
জলবায়ু
Remove ads
প্রশাসন
মন্দির-নগরী কাঞ্চীপুরম এই জেলার সদর শহর। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য এই জেলাকে তিনটি রাজস্ব বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই তিনটি বিভাগের অধীনে ৮টি পঞ্চায়েত সমিতি ও মোট ১,২১৪টি রাজস্ব গ্রাম রয়েছে। উন্নয়নের সুবিধার জন্য জেলাটিকে মোট ১৩টি ব্লক ও ৬৪৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভক্ত করা হয়েছে।[৬]
কাঞ্চীপুরম জেলার আটটি পঞ্চায়েত সমিতি হল:
- চেঙ্গলপট্টু পঞ্চায়েত সমিতি
- চেয়ুর পঞ্চায়েত সমিতি
- কাঞ্চীপুরম পঞ্চায়েত সমিতি
- মাদুরান্তকম পঞ্চায়েত সমিতি
- শ্রীপেরমবুদুর পঞ্চায়েত সমিতি
- তাম্বারাম পঞ্চায়েত সমিতি
- তিরুকালুকুন্ড্রাম পঞ্চায়েত সমিতি
- উতিয়ারামেরুর পঞ্চায়েত সমিতি
- আলান্দুর পঞ্চায়েত সমিতি
- শোলিঙ্গানাল্লুর পঞ্চায়েত সমিতি
আলান্দুর, চেঙ্গলপট্টু, কাঞ্চীপুরম, শোলিঙ্গানাল্লুর, শ্রীপেরমবুদুর ও তাম্বারাম পঞ্চায়েত সমিতিগুলি চেন্নাই মহানগরীয় অঞ্চলের অন্তর্গত।
জনপরিসংখ্যান
২০১১ সালের ভারতের জনগণা অনুসারে, কাঞ্চীপুরম জেলার জনসংখ্যা ৩,৯৯০,৮৯৭।[২] এই জনসংখ্যা লাইবেরিয়া রাষ্ট্রের[৭] বা মার্কিন অঙ্গরাজ্য ওরেগনের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৮] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ৫৯তম।[২] জেলার জনঘনত্ব ৯২৭ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৪০০ জন/বর্গমাইল)।[২] জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ২০০১-২০১১ দশকে ছিল ৩৮.৬৯%।[২] কাঞ্চীপুরমের লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৮৫ জন নারী।[২] সাক্ষরতার হার ৮৫.২৯%।[২]
Remove ads
অর্থনীতি
সারাংশ
প্রসঙ্গ
কাঞ্চীপুরম জেলা একটি কৃষিজীবী-প্রধান জেলা। জেলার ৪৭% বাসিন্দা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। ধান এই জেলার প্রধান ফসল। অন্যান্য ফসলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চীনাবাদাম, আখ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এই জেলায় ৭৬.৫০ মেট্রিক টন জ্বালানি কাঠ ও ৮.০৩৯ টন কাজুবাদাম উৎপাদন করা হয়। এই জেলার সেচের উৎস হল পালার নদী, জলাশয় ও কুয়োগুলি।
কাঞ্চীপুরমকে ‘রেশম নগরী’ ও ‘মন্দিরনগরী’ বলা হয়। এই শহরের অধিবাসীদের অনেকে রেশমের শাড়ি উৎপাদন করে। প্রায় ৪০০ বছর আগে এখানকার রেশম শিল্পীরা এই শহরে বসতি স্থাপন করে। এই শহরের রেশমি শাড়ির চাহিদা সারা দেশে রয়েছে।
তামিলনাড়ু রাজ্যের ১৬৬টি নোটিফায়েড অঞ্চলের ৭০% এই জেলায় অবস্থিত। এর মধ্যে কুনরাতুর, এরুমাইয়ুর, নন্দমপক্কম, সিরুকালাতুর, সিকারায়াপুরম, কদপেরি, তিরুনীরমালাই, আয়ানচেরি, কিলমবক্কম ও ননমঙ্গলমের নাম উল্লেখযোগ্য।[৯]
রাজ্য রাজধানী চেন্নাই-এর কাছে অবস্থিত বলে কাঞ্চীপুরম দেশের শিল্পোন্নত জেলাগুলির একটি। শ্রীপেরামবুদুর-সংলগ্ন অঞ্চলটিকে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পাঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। হ্যুন্ডাই, ফোর্ড, মিৎসুবিশি, নোকিয়া, স্যামসাং, ডেল, সেন্ট গোবেইন ইত্যাদি সংস্থার কারখানা আছে এই জেলায়। এই জেলায় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্রও আছে। টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস, ইনফোসিস, উইপ্রো টেকনোলজিস, কগনিজ্যান্ট টেকনোলজি সলিউশনস ইত্যাদি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অফিস আছে এই জেলায়।
Remove ads
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থান
এই শহরে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারত সরকারের মানব সম্পদ বিভাগের অন্তর্গত রাজ্যের প্রথম ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থান, কাঞ্চিপুরম অবস্থিত।
দর্শনীয় স্থান
সারাংশ
প্রসঙ্গ
কাঞ্চীপুরম

কাঞ্চীপুরম শহরটিকে বলা হয় সহস্র মন্দিরের নগরী। একাম্ববরনধর মদনিরের ১৯২ ফুট উঁচু স্তম্ভটি এবং বরদারাজ পেরুমল মন্দিরের ১০০-স্তম্ভবিশিষ্ট মণ্ডপমটি বিখ্যাত। এদুটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন। ব্রিটিশ গভর্নর-জেনারেল রবার্ট ক্লাইভ বরদারাজ পেরুমল মন্দিরের স্থাপত্যে মুগ্ধ হয়ে মন্দিরে কিছু মূল্যবান গয়না উপহার দিয়েছিলেন। এখন মন্দির ছাড়াও কাঞ্চীপুরম বস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছে। কাঞ্চীপুরমের কাছে ওয়াজালাপেট রেশমি শাড়ি উৎপাদনের একটি বড়ো কেন্দ্র।
বেদান্তঙ্গল

বেদান্তঙ্গল হল ভারতের প্রধান জলচর পাখির অভয়ারণ্য। এটি কাঞ্চীপুরম থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে। এখানে সারস, বক, করমরান্ট, ডার্টারস, ফ্লেমিংগো, পেলিক্যান, মুরহেন, হেরন, মাছরাঙা, স্যান্ডপাইপার, সাদা ইবিস, স্পুনবিল, রাজহাঁস ও গ্রে ওয়াগটেইল প্রভৃতি পাখি মরসুম-ভেদে আসে। অক্টোবর-মার্চ মাসে পরিযায়ী পাখিরা আসে। নদীর তীর থেকে বা ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাখি দেখার ব্যবস্থা আছে।
মুট্টুকাড়ু
মুট্টুকাড়ু একটি বিরাট হ্রদ। এটি বঙ্গোপসাগরের একটি কয়াল। এখানে বোটিং ও সার্ফিং করার ব্যবস্থা আছে। এটি কাঞ্চীপুরম থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তামিলনাড়ু পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন এটিকে একটি চড়ুইভাতির জায়গা ও জলক্রীড়াস্থল হিসেবে গড়ে তুলেছে। এখানে প্রশিক্ষণ ও ডেমনস্ট্রেশন প্রোগ্রামেরও আয়োজন করা হয়।
মামল্লপুরম
পল্লব রাজত্বকালে মামল্লপুরম ছিল একটি প্রধান বন্দর নগরী। এটি কাঞ্চীপুরমের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলির একটি। মামল্লপুরমের মন্দির ও স্মারক স্থাপত্যগুলি দ্রাবিড় মন্দির স্থাপত্য ও পল্লব শিল্পের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এখানকার একগুচ্ছ স্থাপত্যকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কোভলং
কোভলং চেন্নাই থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে মহাবলীপুরম রোডে অবস্থিত একটি মৎস্যজীবী-অধ্যুষিত গ্রাম। এখন এটি একটি বিলাসবহুল সৈকত রিসর্ট। এখানে উইন্ডসার্ফিং ও সাঁতার কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে একটি দরগা ও পুরনো গির্জাও আছে।
দক্ষিণচিত্র
দক্ষিণচিত্রে অষ্টাদশ, ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের গৃহনির্মাণ শৈলী অনুসারে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে এবং গ্রাম্য রাস্তা এবং তামিল, কেরেলীয়, অন্ধ্রীয় ও কন্নড় স্থাপত্য ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে অবহিত করানোর কর্মশালা স্থাপন করা হয়েছে।
ক্রোকোডাইল ব্যাংক

মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাংক মামল্লপুরম থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি কুমির প্রজনন কেন্দ্র। এখানে ৬টি প্রজাতির ৫০০০ কুমির, অ্যালিগেটর ও অন্যান্য সরীসৃপের বন্দী অবস্থায় প্রজনন করানো হয়। এগুলিকে খোলামেলা জলাভূমি এলাকায় রাখা হয়। এখানে একটি সর্পখামার আছে। এখানে বিষপ্রতিশেধক উৎপাদন করা হয়। এছাড়া এখানে নিয়মিত বিষ নিষ্কাষণ প্রদর্শনীও হয়।[১০]
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads