শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
গুই সাপ
সরীসৃপের গণ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
গুই সাপ বা গোসাপ বা গুইল (ইংরেজি: Monitor Lizard) প্রকৃতপক্ষে কোনো সাপ নয়, এটি টিকটিকি গোত্রীয় প্রাণী। এরা বড়সড় টিকটিকির মতো দেখতে কিন্তু সাপের মতো দ্বিখণ্ডিত জিভসম্পন্ন সরীসৃপ প্রাণী। এরা ভ্যারানিডি (Varanidae) গোত্রের সরীসৃপ প্রাণী। "গুই"/"গো" নামটি এসেছে "গোধিকা" থেকে। এ পর্যন্ত প্রায় ৮০টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।[১] এরা আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া অঞ্চলের স্থানীয় প্রাণী।
![]() | এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। মূল সমস্যা হলো: অবিশ্বকোষীয় লেখা। (অক্টোবর ২০২২) |
![]() | এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। (অক্টোবর ২০২২) |
![]() | এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটিতে মৌলিক গবেষণাযুক্ত উপাদান রয়েছে অথবা যাচাইবিহীনভাবে দাবি করা হয়েছে। দয়া করে উপযুক্ত তথ্যসূত্র এবং উৎস প্রদান করে নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। আরও বিস্তারিত জানতে নিবন্ধের আলাপ পাতায় দেখুন। (অক্টোবর ২০২২) |


বড় গুই সাপ দেখতে গাঢ় বাদামি বা কালচে বর্ণের। এদের সারা শরীরে চামড়ার ওপরের ত্বকে হলুদ রঙের রিং বিদ্যমান। পা ও নখ লম্বাটে। লেজ চ্যাপ্টা ও শিরযুক্ত। এরা দ্রুত গাছে উঠতে এবং সাঁতরে খাল-বিল-পুকুর সহজেই পাড়ি দিতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার কোমোডো ড্রাগন হল বৃহত্তম গুই সাপ। সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে কোমোডো ড্রাগনেরও বিষ আছে।[২]
Remove ads
প্রজাতি
গোসাপ বিভিন্ন প্রকার হয়:
- জলগোধিকা (water monitor)
- স্থলগোধিকা (land monitor)
- স্বর্ণগোধিকা (yellow monitor)
গঠন
এই প্রাণী গিরগিটি প্রজাতির । লম্বায় সর্বাধিক ১০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকলেও বেশিরভাগ দেখা মেলে ২-৪ ফুট এবং প্রস্থে ১১ ইঞ্চির মত হয়। এরা স্থলে বা জলে বাস করে এবং এদের সাতার কাটা ও গাছে চড়তেও দেখা যায়। বড় গুইসাপ দেখতে গাঢ় বাদামি বা কালচে হয়। এদের সারা শরীরে চামড়ার ওপরের ত্বকে হলুদ রঙের রিং বিদ্যমান। পা ও নখ লম্বাটে হয়। লেজ চ্যাপ্টা ও শিরযুক্ত।
প্রাপ্তিস্থান
দেশের সর্বত্র গৃহস্থের বাড়ির আঙিনায়, কৃষি ক্ষেতে, বনে–জঙ্গল ও জলাভূমিতে বিচরণ করতে দেখা যেতো পরিচিত প্রাণী গুই সাপ। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির গুইসাপ দেখা যায়। এগুলো হলো সোনা গুই, কালো গুই এবং রামগাদি বা বড় গুই।
খাবার
কাঁকড়া, শামুক, ইঁদুর, হাঁস-মুরগির ডিম, পচা-গলা প্রাণীদেহ ,বড়রা মাছ, সাপ, ব্যাঙ ছোট কুমির, কুমিরের ডিম ও কচ্ছপসহ নানান পশু-পাখি ও উচ্ছিষ্ট খেয়ে এরা জীবন ধারণ করে থাকে।
উপকারী
প্রকৃতি, পরিবেশের ও কৃষকের বন্ধু এই গুইসাপ ফসলের ক্ষেতের পোকাপতঙ্গ ও ধেনো ইঁদুর খেয়ে উপকার সাধিত করে।
বিলুপ্তির কারণ
ক্রমশ: নগরায়ণের বিস্তার, অন্য দিকে চোরাশিকারীদের দাপটে এই প্রাণীটি বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে অবাধে এদের হত্যা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ইউনিয়ন (আইইউসিএন)[৩] ২০০০ সালে প্রাণীটিকে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য মতে, ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার চামড়া রপ্তানি হয়। গুই সাপের চামড়া রপ্তানির কারণে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবের বিবেচনায় ১৯৯০ সালে সরকারের পক্ষ থেকে এদের হত্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
Remove ads
চিত্রশালা
গ্রামাঞ্চলে এদের এখনও দেখা মেলে । মানুষের রোষানলে বেঘোরে প্রাণ হারায় । কারো ক্ষতি সাধণের দৃষ্টান্ত না করলেও সমাজে এদেরকে ক্ষতিকারক ভাবা হয়। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী গুইসাপ সংরক্ষিত।[৪]
- গুই সাপ
- Varanus jobiensis, ২০১৭
- Varanus jobiensis, ২০১৭
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads