শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

গ্রাহাম অনিয়ন্স

ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

গ্রাহাম অনিয়ন্স
Remove ads

গ্রাহাম অনিয়ন্স (ইংরেজি: Graham Onions; জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২) গেটসহেড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবেই দলে খেলছেন। এছাড়াও নিচের সারিতে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...

২০০৯ মৌসুমে চমৎকার সূচনা করেন। ফলশ্রুতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্য মনোনীত করা হয়। ঐ সিরিজে ভালো ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করায় তাকে ২০০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এপ্রিল, ২০১০ সালে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক কর্তৃক তাকে ২০০৯ সালের পাঁচ বর্ষসেরা ক্রিকেটারের একজনরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু পিঠের আঘাতের কারণে তাকে ২০১১ সালের পর্যন্ত মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়। ঐ মৌসুমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসেন ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৫০ উইকেট নেন। এরফলে বছরের শেষদিকে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে তাকে নেয়া হয়।

Remove ads

প্রারম্ভিক জীবন

রিচার্ড ও মরিন দম্পতির সন্তান তিনি। ক্রিস্টিন নাম্নী এক জ্যেষ্ঠা ভগ্নী রয়েছে তার। ব্লেডনের সেন্ট টমাস মোর ক্যাথলিক স্কুলে অধ্যয়ন করেন। এরপর গেটসহেড অবসর কেন্দ্রে চলে যান। এরফলে অনেকধরনের ক্রীড়ার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ ঘটে তার। ব্যাডমিন্টনকে গ্রহণ করে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। শৈশবের দিনগুলোয় রাস্তায় ক্রিকেট খেলতেন। এছাড়াও গেটসহেড ফেল ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ছিলেন তিনি।[]

Remove ads

কাউন্টি ক্রিকেট

ডারহামের তৎকালীন কোচ জিওফ কুক তাকে চিহ্নিত করেন। ১৮ বছর বয়সে ক্লাবের দ্বিতীয় একাদশে অভিষেক ঘটে তার। ক্লাবের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীড়াবিজ্ঞানে অধ্যয়নের চেয়ে পেশাদারী ক্রিকেট জীবনকে বেছে নেন অনিয়ন্স।[] দলের চতুর্থ বোলার হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ঘটে তার। ২০০৬ সালে অটিস গিবসনের সাথে নিয়মিতভাবে বোলিং উদ্বোধনে নামতেন তিনি।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সারাংশ
প্রসঙ্গ

৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ তারিখে ইংল্যান্ডের দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক তিনি আহুত হন। ড্যারেন গফের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়। কিন্তু ঐ সিরিজে তিনি মাঠে নামার সুযোগ পাননি।[]

ঐ মৌসুমে সফলতম সময় কাটায় ২০০৬ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৩০-সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় তাকে ঠাঁই দেয়া হয়। ভবিষ্যতের ইংরেজ কোচ পিটার মুরেসের তত্ত্বাবধানে ইংল্যান্ড এ দলের সদস্যরূপে বাংলাদেশ সফরে প্রেরণ করা হয়। জুলাই, ২০০৭ সালে সফরকারী ভারতীয় দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে একদিনের খেলায় ৭/৩৯ লাভ করেন যা অদ্যাবধি তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যানরূপে বিবেচ্য।[]

জানুয়ারি, ২০০৯ সালে আঘাত থেকে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আসেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস কান্ট্রি কাপ প্রতিযোগিতায় টমওয়ার্থ দলের বিপক্ষে পরাজিত হওয়া স্টকটন (নিউক্যাসল) দলের পক্ষে খেলেন। [] ২৯ এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্য ডারহামের দলীয় সঙ্গী স্টিভ হার্মিসনের ইংল্যান্ড দলের সদস্য মনোনীত হন।[] সমারসেটের বিপক্ষে ৬/৩১ নিয়ে দলে অন্তর্ভুক্তির যথার্থতা তুলে ধরেন তিনি।[] এরপরই লর্ডসে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। প্রথম ইনিংসে ৫/৩৮ লাভ করেন ও খেলায় তিনি ৭ উইকেট পান।[] দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি আরও তিন উইকেট সংগ্রহ করেন।[] জুলাই, ২০০৯ সালে অ্যাশেজ সফরে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মোকাবেলা করার জন্য প্রাথমিক তালিকার ষোল সদস্যের দলে অন্তর্ভুক্ত হন। স্টিভ হার্মিসনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। কিন্তু, প্রথম টেস্টে তাকে নেয়া হয়নি। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪১ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফগ্রেইম সোয়ানের অবিস্মরণীয় নৈপুণ্যে জয়ী হওয়া ইংল্যঅন্ডের পক্ষে তাকে আর বোলিংই করতে হয়নি।[১০] এজবাস্টনের তৃতীয় টেস্টে ৪/৫৮ ও ১/৭৪ নিয়ে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। [১০] তন্মধ্যে, দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রথম দুই বলে দুই উইকেট পান। [১১] চতুর্থ টেস্টে ২/৮০ পেলেও অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। [১০]

দলে প্রত্যাখ্যান

নভেম্বর, ২০০৯ থেকে জানুয়ারি, ২০১০ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সিরিজে খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন অনিয়ন্স। সিরিজে তার বোলিং গড় ৪০-এর কোঠায় হলেও দুইবার তার ব্যাটিংয়ের ফলে পঞ্চম দিনে দল পরাজয় থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে দল থেকে বাদ পড়েন ও রায়ান সাইডবটম তার স্থলাভিষিক্ত হন। অনিয়ন্সের মতে তাকে উপযোগী পিচে বোলিং করতে দেয়া হয়নি ও তাকে প্রত্যাখ্যাত করায় বিস্মিত হন। তিনি মন্তব্য করেন যে, স্ট্রসি তাকে এ খবর জানালে আমি বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করি। আমি জানি যে, আমার বোলিং পরিসংখ্যান তেমন ভালো নয়; কিন্তু সফল প্রত্যাবর্তনের জন্য আমি আরও ভালো বোলিং করতে চেষ্টা করতাম। [১২] দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, অনিয়ন্সকে বাদ দেয়ায় তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তিনি এ উইকেটের জন্য উপযোগী। স্ট্যাম্প বরাবর বোলিং করে ব্যাটসম্যানদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়ার সক্ষমতা তার রয়েছে। নিঃসন্দেহে অনিয়ন্স আমাদের ব্যাটসম্যানদেরকে সমস্যার মুখে ঠেঁলে দিয়েছে। এরফলে দল বিপদ থেকে মুক্তি পেয়েছে।[১৩]

Remove ads

প্রত্যাবর্তন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

মার্চ, ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ডের সদস্য হন। কিন্তু পিঠের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে দেশে ফেরৎ আসতে হয়। ইংরেজ অধিনায়ক অ্যালাস্টেয়ার কুক বলেন যে, অনিয়ন্স ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলতে পারছেন না। দক্ষিণ আফ্রিকায় তেমন উইকেট না পেলেও আমি আশাবাদী ছিলাম যে, তিনি এ পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরবেন।[১৪]

আঘাতের কারণে ইংরেজ ক্রিকেট মৌসুমে অধিকাংশ সময়ই মাঠের বাইরে অবস্থান করেন। এছাড়াও, বাম হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে তাকে।[১৫] এপ্রিল, ২০১০ সালে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক কর্তৃক ২০০৯ সালের পাঁচ ক্রিকেটারের অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন।[১৬] তবে, ২০১০-১১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে তিনি শারীরিক সক্ষমতা দেখাতে পারেননি।[১৭] মার্চে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে ২৭-সদস্যের প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।[১৮]

আঘাত থেকে সুস্থ হবার পর কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের ১১ খেলায় অংশ নিয়ে ২৬.৮২ গড়ে ৫০ উইকেট পান।[১৯]

আগস্টে চার টেস্টের সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে ভারতের বিপক্ষে জেমস অ্যান্ডারসনের বিপরীতে খেলেন। ঐ মৌসুমে নয়টি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় ২৮.৮২ গড়ে ৩৯ উইকেট নেন।[২০] ২০১১-১২ মৌসুমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অংশ নেয়ার জন্য জানুয়ারি, ২০১২ সালে সহায়ক খেলোয়াড়রূপে তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু ফাস্ট বোলার ও অল-রাউন্ডার টিম ব্রেসনানের কনুইয়ের অস্ত্রোপচারে ব্যস্ত থাকায় তাকে পূর্ণাঙ্গ সদস্য করা হয়।[২১][২২] কিন্তু শীত মৌসুম পর্যন্ত দল থেকে উপেক্ষিত হন। ২০০৯ সালের পর এপ্রিলের নিজস্বসেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে মিডলসেক্সের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬/৪৫ লাভ করেন ও ৩০০ প্রথম-শ্রেণীর উইকেটের সন্ধান পান। ইংরেজ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রসকে দুইবার আউট করেন।[২৩][২৪]

জুন, ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন খেলার সিরিজে প্রথম দুই টেস্ট জয়ের পর শীর্ষসারির ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছাড়াই তৃতীয় টেস্টে মাঠে নামে। ফলশ্রুতিতে ২০১০ সালে আঘাতের কবল থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। ঐ টেস্টের প্রথম তিনদিন বৃষ্টিতে খেলা না হলেও অনিয়ন্স ৪/৮৮ পান ও টেস্ট ড্র হয়।[২৫][২৬]

Remove ads

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads