শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
আফ্রিকা মহাদেশের একটি রাষ্ট্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
গণতান্ত্রিক গণরাষ্ট্র কঙ্গো (ফরাসি: République démocratique du Congo), যা ডিআরসি, ডিআর কঙ্গো, কঙ্গো–কিনশাসা বা স্রেফ কঙ্গো নামেও পরিচিত, হল মধ্য আফ্রিকার একটি দেশ। ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে ডিআর কঙ্গো আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ এবং বিশ্বে একাদশ বৃহত্তম। প্রায় ১১ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে এটি বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল নামমাত্র ফরাসিভাষী দেশ। ফরাসি ভাষা দেশটির সরকারি ও সবচেয়ে ব্যবহৃত ভাষা, যদিও এখানে ২০০টিরও বেশি আদিবাসী ভাষা প্রচলিত রয়েছে। জাতীয় রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর কিনশাসা, যা দেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। দেশটি পশ্চিমে গণরাষ্ট্র কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলার ক্যাবিন্ডা অঞ্চল এবং দক্ষিণ অতলান্তিক মহাসাগর; উত্তরে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও দক্ষিণ সুদান; পূর্বে উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি এবং লেক তাঙ্গানিকাকে অতিক্রম করে তানজানিয়া; এবং দক্ষিণে জাম্বিয়া ও অ্যাঙ্গোলার সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে। কঙ্গো অববাহিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই দেশের বেশিরভাগ এলাকা ঘন জঙ্গলে আবৃত এবং বহু নদ-নদী দ্বারা প্রবাহিত, তবে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশ পার্বত্য এলাকা।
কঙ্গো ভূখণ্ডে প্রথম বসতি স্থাপন করে মধ্য আফ্রিকার খাদ্য সংগ্রাহকরা প্রায় ৯০,০০০ বছর আগে, এবং প্রায় ২,০০০–৩,০০০ বছর আগে এখানে বান্টু সম্প্রসারণ ঘটে। পশ্চিম অংশে ১৪শ থেকে ১৯শ শতাব্দী পর্যন্ত কঙ্গো নদীর মোহনায় কঙ্গো রাজ্য শাসন করত। কেন্দ্র এবং পূর্বাংশে ১৫শ থেকে ১৯শ শতাব্দী পর্যন্ত মুয়েনে মুজি, লুবা এবং লুন্ডা সাম্রাজ্য বিদ্যমান ছিল। ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তির আগমনে এসব রাজ্য ভেঙে যায়। ১৮৮৫ সালে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড কঙ্গো ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ লাভ করেন এবং এটিকে "কঙ্গো ফ্রি স্টেট" নামে ঘোষণা করেন। ১৯০৮ সালে ব্যাপক নিপীড়নের কারণে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে লিওপোল্ড ভূখণ্ডটি বেলজিয়াম সরকারের হাতে তুলে দেন এবং এটি একটি উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৬০ সালে কঙ্গো বেলজিয়ামের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, প্রধানমন্ত্রী পাত্রিস লুমুম্বার হত্যাকাণ্ড, এবং ১৯৬৫ সালে মোবুতু সেসে সেকোর ক্ষমতা দখলের মতো সংকটের মুখোমুখি হয়। মোবুতু ১৯৭১ সালে দেশের নাম পরিবর্তন করে “জাইর” রাখেন এবং একব্যক্তিক শাসন কায়েম করেন।
১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডার গৃহযুদ্ধের কারণে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে আশ্রয় নেওয়ায় দেশটি অস্থির হয়ে পড়ে এবং ১৯৯৬–৯৭ সালে প্রথম কঙ্গো যুদ্ধ শুরু হয়, যা মোবুতুর পতনের মাধ্যমে শেষ হয়। এরপর দেশের নাম পুনরায় গণতান্ত্রিক গণরাষ্ট্র কঙ্গো রাখা হয় এবং ১৯৯৮–২০০৩ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধ চলে, যেখানে ৫৪ লাখ মানুষ মারা যায় এবং রাষ্ট্রপতি লরঁ-দেজিরে কাবিলা নিহত হন। এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যুদ্ধ শেষে যোসেফ কাবিলা রাষ্ট্রপতি হন এবং তিনি দেশের অধিকাংশ অংশে আপেক্ষিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনেন, যদিও পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা কম মাত্রায় চলতে থাকে। মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত খারাপ — গুম, নির্যাতন, স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তার এবং নাগরিক স্বাধীনতার ওপর কড়া বিধিনিষেধ ছিল ব্যাপকভাবে প্রচলিত। ২০১৮ সালের বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনে ফেলিক্স চিসেকেদি বিজয়ী হন এবং ২০১৯ সালে যোসেফ কাবিলা পদত্যাগ করলে এটি কঙ্গোর স্বাধীনতার পর প্রথম শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০০০ সালের পর থেকে কঙ্গোতে ১০০টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, যাদের বেশিরভাগ কিভু অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত। ২০১২ সালে এবং আবার ২০২৫ সালে এম২৩ বিদ্রোহীরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর গোমা দখল করে। ২০২৫ সালের শুরুর দিকে এম২৩ বিদ্রোহ আরও জোরদার হয়, যখন তারা একাধিক শহর দখল করে এবং রুয়ান্ডার সামরিক সহায়তা পায়, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২৭ জুন ২০২৫ সালে রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গোর মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অবিশ্বাস্য পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও, ডিআর কঙ্গো বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল অবকাঠামো, ব্যাপক দুর্নীতি এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বাণিজ্যিক ও ঔপনিবেশিক শোষণ এবং স্বাধীনতার পরের ৬০ বছরেরও বেশি সময়ে সীমিত উন্নয়নের কারণে দেশটি "সম্পদ অভিশাপের" ধ্রুপদী উদাহরণ। রাজধানী কিনশাসা ছাড়াও, লুবুম্বাশি এবং ম্বুজি-মাই দেশের দুটি প্রধান শহর এবং খনিশিল্প নির্ভর। কঙ্গোর প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো কাঁচা খনিজ ও ধাতু, যা ২০২৩ সালে রপ্তানির ৮০% অংশ ছিল; চীন দেশটির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে কঙ্গোর অবস্থান ছিল ১৯৩ দেশের মধ্যে ১৮০তম, এবং জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর একটি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। ২০২২ সালের হিসাবে, দুই দশকের গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতার কারণে প্রায় ১০ লাখ কঙ্গোলীয় শরণার্থী পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় ২০ লাখ শিশু অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে, এবং সহিংসতার কারণে ৭৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ডিআর কঙ্গো জাতিসংঘ, জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন, আফ্রিকান ইউনিয়ন, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার সাধারণ বাজার (কমেসা), দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকান উন্নয়ন সম্প্রদায়, অর্গানিজাসিওঁ আঁতেরনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনি এবং মধ্য আফ্রিকান অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য।
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
তৎকালীন কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ১৯৬০ সালের ৩০ জুন বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং জাতীয়তাবাদী পাত্রিস লুমুম্বা প্রথম কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কঙ্গো সঙ্কটের সময় জোসেফ-ডিসিরে মোবুতু (পরবর্তীতে নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন মোবুতু সেসে সেকো) আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে এবং রাজনীতিগত দ্বন্দের কারণে লুমুম্বাকে গ্রেপ্তার করে লিওপোডভিল থেকে ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দূরে Thysville military barracks Camp Hardy তে চালান করে দেয়। ক্যাম্প হারডির পরিচালনা ব্যাবস্থা খুবই নিম্নমানের এবং কর্মচারীরা বেতন না পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করলে ১৯৬১ সালের ১৭ জানুয়ারি বেলজিয়ান কলোনি মন্ত্রী Harold Charles d'Aspremont Lynden লুমুম্বাকে জোরপূর্বক কাতাঙ্গাতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি Tshombe এবং তার মন্ত্রীপরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী লুমুম্বাকে একটি গোপন স্থানে নিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মোবুতু ১৯৭১ সালে দেশটির নাম পরিবর্তন করে জাইর রাখে। কিন্তু মোবুতু দেশের একমাত্র জাতীয় দল হওয়ায় দেশটি একটি স্বৈরাচারী একদলীয় রাষ্ট্র হিসাবে পরিচালিত হচ্ছিলো। ফলে ১৯৯০ এর প্রথম দিকে, মোবুতুর সরকার দুর্বল হতে শুরু করে। ১৯৯৪-এ রুয়ান্ডার গণহত্যা এবং পূর্বের অস্থিতিশীলতা ১৯৯৬ সালে রুয়ান্ডার নেতৃত্বে একটি আগ্রাসনের দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে পরের বছর প্রথম কঙ্গো যুদ্ধে মোবুতুকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
Remove ads
ভূগোল
সারাংশ
প্রসঙ্গ

অবস্থানঃ দেশটির উত্তরে রয়েছে 'কেন্দ্রীয় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র'(Central African Republic) এবং দক্ষিণ সুদান। এর পূর্বে রয়েছে উগান্ডা,বুরুন্ডি এবং তানজানিয়া। দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে জাম্বিয়া,দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে অ্যাঙ্গোলা। দেশটির পশ্চিমে রয়েছে সীমিত সমুদ্রসীমা।
ভৌগোলিক স্থানাঙ্কঃ ০ ডিগ্রি ০০ মিনিট উ. ২৫ ডিগ্রি ০০ মিনিট পূ.
মহাদেশঃ আফ্রিকা ক্ষেত্রফলঃ মোট: ২,৩৪৪,৮৫৮ বর্গ কিমি ভূমি: ২,২৬৭,০৪৮ বর্গ কিমি পানি: ৭৭,৮১০ বর্গ কিমি প্রাকৃতিক সম্পদঃ কোবাল্ট,তামা,পেট্রোলিয়াম,ডায়মন্ড,সোনা,রুপা,জিংক/দস্তা,টিন,ইউরেনিয়া,কয়লা,নিয়োবিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ
আবাদী জমিঃ ৩.০৯ শতাংশ
সেচসম্পন্ন ভূমিঃ ১০৫ বর্গ কিমি (২০০৩)
মোট ব্যবহারযোগ্য পানিসম্পদঃ ১২৮৩ ঘন কিমি (২০১১)
আবহাওয়া ও জলবায়ুঃ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র নিরক্ষরেখার উপর অবস্থিত। এর এক-তৃতীয়াংশ দেশের উত্তরে এবং দুই-তৃতীয়াংশ দক্ষিণে রয়েছে। নদীর অববাহিকায় জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র এবং দক্ষিণের উঁচু অঞ্চলগুলো শীতল ও শুষ্ক। রেনজুরি পাহাড়ে আল্পাইন জলবায়ু বিদ্যমান।
নিরক্ষরেখার দক্ষিণে বর্ষাকাল অক্টোবর-মে এবং উত্তরে তা এপ্রিল-নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পুরোদেশে গড় বৃষ্টিপাত ১০৭০ মিমি (৪২ ই)।
এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সরাসরি পরে এবং সমুদ্রের পানি দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় বলে এখানকার জলবায়ু 'নিরক্ষীয় জলবায়ু' নামে পরিচিত।
মিঠাপানি উত্তোলনঃ (দেশীয়/শিল্পজাত/কৃষিজ) মোট উত্তোলন - ০.৬৮ ঘন কিমি/বছর (৬৮℅/২১℅/১১℅)
মাথাপিছু উত্তোলন- ১১.২৫ ঘন কিমি/বছর (২০০৫)
প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ দেশটির দক্ষিণে নির্দিষ্ট সময় পর পর খরা হয়। মৌসুমি কঙ্গো নদীর বন্যা সংঘটিত হয় এবং পূর্বদিকে আলবার্টিনের ফাটলে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
পরিবেশগত বর্তমান সমস্যাঃ - শিকারী বন্যপ্রাণীরা (যেমনঃ শিকারী কুকুর/lycon pictus) বসবাসরত মানুষদের কাছে হুমকিস্বরূপ; ফলে বর্তমানে এসব প্রাণী নির্মূলিত। -পানি দূষণ -বন উজাড় (কৃষিকাজের জন্য আদিবাসীরা বন কেটে ধ্বংস করছে) -উদ্বাস্তু কর্তৃক পরিবেশ দূষণ -খনিজগুলো খননও পরিবেশগত ক্ষতির কারণ।
পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহঃ জীববৈচিত্র্য,মরুভূমি,বিপন্ন প্রজাতি,হানিকর বর্জ্য,সামুদ্রিক আইন,সমুদ্র দিয়ে পাচার নিষিদ্ধকরণ,পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ,ওজোন স্তর সুরক্ষা,ক্রান্তীয় কাঠ ৮৩,ক্রান্তীয় কাঠ ৯৪,জলাভূমি সংরক্ষণ ইত্যাদি স্বাক্ষরিত। কিন্তু পরিবেশগত পরিবর্তন চুক্তিটি এখনও অনুমোদিত নয়।
প্রান্তবিন্দুসমূহঃ (extreme points) প্রান্তবিন্দু হলো এমন স্থানসমূহ যা অন্যান্য সব স্থান থেকে সবচেয়ে উত্তর,দক্ষিণ,পূর্ব,পশ্চিমে অবস্থিত।
উত্তরতম বিন্দুঃ ওরিয়েন্টাল অঞ্চলের 'কেন্দ্রীয় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের' এমবাগা শহরের পশ্চিমে বোমু নদীর মধ্যে অবস্থিত একটি নামহীন স্থান।
পূর্বতম বিন্দুঃ স্থানটি উগান্ডার সীমান্তে ওরিয়েন্টাল প্রদেশের মহাগি বন্দরের পশ্চিমে অ্যালবার্ট হ্রদের প্রবেশ অংশে অবস্থিত।
দক্ষিণতম বিন্দুঃ স্থানটি জাম্বিয়ার সীমান্তে কাটাঙ্গা প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
পশ্চিমতম বিন্দুঃ স্থানটি আটলান্টিক মহাসাগরে ক্যাবিন্ডার সীমান্তে 'বাস-কঙ্গো' প্রদেশে অবস্থিত।
Remove ads
সামরিক বাহিনী
গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর নাম ফরাসিতে Forces Armées de la République Démocratique du Congo (FARDC) ফর্স আর্মে দ্য লা রেপ্যুব্লিক দেমোক্রাতিক দ্যু কঙ্গো। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধের অবসানের পর এটিকে শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
সামরিক বাহিনীর বেশির ভাগ সেনাই স্থল সেনাবাহিনীর সদস্য। তবে একটি ক্ষুদ্র বিমান বাহিনী এবং ক্ষুদ্রতর নৌবাহিনীও বিদ্যমান। সব মিলিয়ে এই তিন বাহিনীতে সদস্যসংখ্যা প্রায় ১,৩০,০০০। এছাড়া রিপাবলিকান গার্ড নামের একটি রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা বাহিনী আছে।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads