শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
এশিয়া মহাদেশের একটি উপঅঞ্চল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এশিয়া মহাদেশের একটি অঞ্চল যা গণচীনের দক্ষিণে, ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বে ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত দেশ ও অঞ্চলগুলি নিয়ে গঠিত।[৫] দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তর সীমানায় পূর্ব এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ওশেনিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগর অবস্থিত। অঞ্চলটির সিংহভাগ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত হলেও এর কিয়দংশ দক্ষিণ গোলার্ধেও অবস্থিত, যা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একমাত্র এশীয় মহাদেশীয় অংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে দুইটি ভৌগোলিক অঞ্চলের সমষ্টি হিসেবে গণ্য করা হয়:
- মহাদেশীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, যা এশিয়া মহাদেশের মূল ভূ-খণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় অবস্থিত একটি উপদ্বীপ। একে ঐতিহাসিকভাবে ইন্দোচীন নামেও ডাকা হয়। এটি কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম রাষ্ট্রগুলি নিয়ে গঠিত। এখানে মূলত তাই ও অস্ট্রো-এশীয় জাতির লোকেরা বাস করে।
- সামুদ্রিক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, যা এশিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সমুদ্রে অবস্থিত বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জ ও একটি বৃত্তচাপাকৃতি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে নুসান্তারা, পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, কিংবা মালয় দ্বীপপুঞ্জ নামেও উল্লেখ করা হয়। অঞ্চলটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (ভারত), অ্যাশমোর ও কার্টিয়ার দ্বীপপুঞ্জ (অস্ট্রেলিয়া), ব্রুনাই, ক্রিসমাস দ্বীপ (অস্ট্রেলিয়া), কোকোস দ্বীপপুঞ্জ (অস্ট্রেলিয়া), পূর্ব মালয়েশিয়া, পূর্ব তিমুর, ইন্দোনেশিয়া ( পশ্চিম নতুন গিনি ব্যতীত, যাকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়), ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর। এখানে মূলত অস্ট্রোনেশীয় জাতির লোকেরা বাস করে।[৬]
অঞ্চলটি অনেকগুলি ভূত্বক-গঠনকারী মহাদেশীয় পাত সংযোগস্থলে অবস্থিত বলে এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাত হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মূলত চারটি ধর্মের মানুষ বসবাস করে: বৌদ্ধ ধর্ম (মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম), ইসলাম ধর্ম (মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই) ও খ্রিস্টধর্ম (ফিলিপাইন এবং পূর্ব তিমুর) এবং হিন্দু ধর্ম (ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ও অন্যত্র)।
Remove ads
আবহাওয়া ও জলবায়ু
মৌসুমী ও সামুদ্রিক জলবায়ু বিরাজমান।
আদি সংস্কৃতি
জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্য সত্ত্বেও এ অঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের সাংস্কৃতিক জীবনে অনেক মিল ছিল। আদিতে সংস্কৃতি ছিল মেসোলিথিক। খ্রিস্টপূর্ব দুই বা তিন হাজার বছর আগে ইন্দোনেশীয় নরগোষ্ঠীর মানুষ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আসার পর তাদের মধ্যে নব্য প্রস্তর যুগের চতুষ্কোণ বাটালির প্রচলন দেখা গেছে। তাছাড়া নব্য প্রস্তর যুগের মৃৎপাত্র বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে পাওয়া গেছে। ব্রোঞ্জ-লৌহ যুগের ডোংসন সংস্কৃতির নিদর্শন ব্রোঞ্জের ড্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রায় সর্বত্র দেখা গেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
Remove ads
ইতিহাস
নামকরণঃ
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া (Southeast Asia) কথাটি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ১৮৩৯ সালে আমেরিকার একজন ধর্মযাজক হাওয়ার্ড ম্যালকমের(Howard Malcom) এর একটি ভ্রমণ বৃত্তান্তে।যিনি আমেরিকার ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি সোসাইটির উদ্যোগে নানা অজানা তথ্য আহরণের জন্য এই অঞ্চলে এসেছিলেন। তার বিবরনীটির শিরোনাম ছিলো ট্রাভেলস ইন সাউথ ইস্টার্ন এশিয়া এম্ব্রেসিং হিন্দু স্থান,মালয়,শ্যাম এন্ড চায়না এন্ড দ্যা বার্মা এম্পায়ার (Travels in south eastern Asia embracing Hindustan,Malay,Shyam and চীন and the Burma Empire)।
মূলত এ বিবরনেই প্রথম সাউথ ইষ্ট এশিয়া অর্থ্যাৎ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া কথাটির সচেতন উল্লেখ পাওয়া যায়।[৭]
প্রাক ইউরোপীয় যুগ
ইউরোপীয় যুগ
আধুনিক যুগ
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads