শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ফারুক আহমেদ
বাংলাদেশী ক্রিকেট প্রশাসক, সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ফারুক আহমেদ (জন্ম ২৪ জুলাই ১৯৬৬) ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি।[১] তিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ মেয়াদকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন। ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হলেও দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং উদ্বোধনেও তিনি মাঠে নামতেন। এছাড়া তিনি জাতীয় নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[২]
Remove ads
খেলোয়াড়ী জীবন
২৯ অক্টোবর, ১৯৮৮ তারিখে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতার ৪র্থ খেলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়াহিদুল গণি ও আকরাম খানের সাথে তারও একযোগে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। খেলায় তার দল ১৭৩ রানে পরাজিত হয়েছিল।[৩]
১৯৯০ সালে চন্ডিগড়ে তিনি তার সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ভারতের বিরুদ্ধে। এ খেলায় তৃতীয় উইকেট জুটিতে আতহার আলী খানের সাথে ১০৮ রান করেন।[৪]
খেলোয়াড়ী জীবনের প্রথমদিকে ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেট খেলায় ফারুক নিজেকে সফলতম অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তোলেন। এরফলে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মনোনীত করে। কিন্তু তার অধিনায়কত্বে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ দল সেমি-ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি; যদিও বাংলাদেশ দলকে প্রতিযোগিতার পূর্বেই শ্রেষ্ঠতর দল হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। এ প্রতিযোগিতার পর অধিনায়কত্বসহ দল থেকে বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। এরপর তিনি নবোদ্দ্যমে দলে ফিরে আসেন ও শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[৫]
Remove ads
ক্রিকেট প্রসাশক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন বিভাগের স্নাতক ডিগ্রীধারী ফারুক আহমেদ ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসাবে অবসর পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাতীয় দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ২১ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. তিনি বিসিবি’র সভাপতি নির্বাচিত হন।[৬] ২৯ মে ২০২৫ খ্রি. তাকে বোর্ড কতৃক সভাপতি মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
বিতর্ক
এফডিআর বিতর্ক
ফারুক আহমেদ বিসিবি'র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিসিবির স্থায়ী আমানত (এফবিআর) থেকে ১২০কোটি টাকা সরানোর অভিযোগ উঠে। অভিযোগ করা হয় যে, ফারুক অন্যান্য বোর্ড সদস্যদের সাথে পরামর্শ না করেই তার ঘনিষ্ঠদের ব্যাংকে এই টাকা স্থানান্তর করেন।[৭] তবে, বিসিবি'র পক্ষ থেকে বলা হয় যে, “ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল”।[৮] আরও বলা হয় যে, অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়। বাকি ১২ কোটি পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়াও বলা হয় যে, বোর্ড সভাপতি একক সিদ্ধান্তবলে পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাংক পরিবর্তনের অথবা লেনদেনসংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করেন না, ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিকবিষয়ক লেনদেনে বোর্ডের ফিন্যান্স কমিটি চেয়ারম্যান এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান করে থাকেন।[৮]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads