শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বন্ধন এক্সপ্রেস
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী এক্সপ্রেস ট্রেন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বন্ধন এক্সপ্রেস একটি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ট্রেন যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনা শহরের মধ্যে যাতায়াত করে। এটিই দ্বিতীয় ট্রেন যা এই দুই দেশের মধ্যে চলাচল করে। এটি চালু হয় ৫২ বৎসর পর। বন্ধন শব্দের অর্থ হল সংযোগ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর, এই ট্রেন পরিষেবা চালু হয়।[১][২] ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন হিসেবে দুই দেশের মধ্যে উভয় দেশের বগি ও ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে এর ফলে যাত্রীদের সীমান্তে ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে না। ভারত থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে, এখানে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়, যদিও ভিসা সংগ্রহ করতে হয় ভারতীয় দূতাবাস থেকে আগে থেকেই। বাংলাদেশের খুলনা স্টেশন থেকে কলকাতা গামী বন্ধন এক্সপ্রেস ছাড়ে। উপযুক্ত এবং সঠিক কাগজপত্র সহকারে খুলনা স্টেশনের কাউন্টারে উপস্থিত হয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে খুলনার যাত্রীদের। এটি ১৭ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে বন্ধ আছে ।
Remove ads
ইতিহাস
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি; বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন কলকাতা থেকে ৯ নভেম্বর ২০১৭ সালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকাঙ্কিত করেছিলেন।[৩]
নামকরণ
কলকাতা-ঢাকার পর কলকাতা-খুলনা রুটে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিতীয় মৈত্রী ট্রেনটির নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছিল ‘সোনারতরী’। কিন্তু উভয় দেশের রেলে একই নাম ব্যবহৃত হওয়ায় তা বাদ দেওয়া হয়। এরপর প্রস্তাব দেওয়া হয় ‘সম্প্রীতি’ ও ‘বন্ধন’। পরে বন্ধন নামটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পর শেষ পর্যন্ত বন্ধন চলাচল শুরু করে।[৪]
Remove ads
সময় সূচি
কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত পৌনে দুশ’ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে কলকাতার চিৎপুর থেকে যাত্রী নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্ধন পৌছায় খুলনায়। এরপর দুপুর দেড়টায় খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিট নাগাদ ফের কলকাতায় পৌছায়।
Remove ads
রুট
ট্রেনটি কলকাতা থেকে দমদম–বনগাঁ–পেট্রাপোল–বেনাপোল–ঝিকরগাছা–যশোর হয়ে খুলনা পর্যন্ত চলাচল করে। [৭]
কোচের গঠন
ভারতে উৎপাদিত ধূসর-লাল (রাজধানী প্রকাশ দ্বারা পূর্বে ব্যবহৃত) এবং আকাশি ধূসর-নীল (শতাব্দী প্রকাশ দ্বারা পূর্বে ব্যবহৃত) বিশুদ্ধ এলএইচবি কোচ ব্যবহার করা হয় এই ট্রেনের জন্য।
- ট্রেনে মোট ১০ টি কোচ রয়েছে। যার মধ্যে ৪ টি এক্সিকিউটিভ চেয়ার (ইসি), ৪ টি এসি চেয়ার গাড়ি (সিসি) এবং ২ টি জেনারেটরের সহ লাগেজ ও গার্ড ভ্যান।
- কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত ১৩১২৯ রেকের সংকলন
- কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত ১৩১২৯ রেক পৌঁছানোর পর একই রেক ১৩১৩০ রেক হিসাবে একি সংকলনে কলকাতা ফিরে আসে।
Remove ads
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads