শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বলিভিয়া
দক্ষিণ আমেরিকার একটি রাষ্ট্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বলিভিয়া (স্পেনীয়: Bolivia বোলিব্য়া, কেচুয়া: Bulibya বুলিব্য়্যা, আইমারা: Wuliwya উলিউয়া) দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যভাগের একটি দেশ। আন্দেস পর্বতমালায় অনেক উঁচুতে অবস্থিত বলে দেশটিকে পৃথিবীর ছাদ নামেও অনেক সময় ডাকা হয়। বলিভিয়াতে আছে বরফাবৃত বহু পর্বতশৃঙ্গ, আর দেশটির উন্মুক্ত মালভূমির উপর দিয়ে বয়ে যায় দুরন্ত হাওয়া। পর্বতমালার পূর্বে রয়েছে সবুজ তৃণভূমি এবং তারও নিম্নে আছে ক্রান্তীয় বনাঞ্চল।
সরকারীভাবে বলিভিয়ার রাজধানীর নাম সুক্রে। তবে লা পাজ দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী ও সরকারের প্রধান কর্মস্থল। ৩,৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত লা পাজ বিশ্বের উচ্চতম রাজধানী।
বলিভিয়া দক্ষিণ আমেরিকার দরিদ্রতম দেশগুলির একটি। দেশের অধিকাংশ লোক আদিবাসী আমেরিকান। কিন্তু একটি ক্ষুদ্র স্পেনীয়ভাষী অভিজাত শ্রেণী ঐতিহ্যগতভাবে দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে এসেছে এবং দেশের বেশির ভাগ সম্পদ এদের হাতে কুক্ষিগত। প্রথমে আন্দেস পর্বতমালায় প্রাপ্ত খনিজ ছিল এই সম্পদের উৎস। ১৯৯০-এর দশকে শেষের দিকে এসে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস বলিভিয়ার প্রধান খনিজ সম্পদ। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে দেশটি কোকেনের উপকরণ কোকা পাতাও রপ্তানি শুরু করে।
বলিভিয়ার বেশির ভাগ লোক আন্দেস পর্বতমালার দুইটি পর্বতশ্রেণীর মাঝখানে অবস্থিত একটি মালভূমিতে বাস করেন। দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা জুড়ে আন্দেস পর্বতমালা অবস্থিত। তবে ১৯৫০-এর দশক থেকে পূর্বের নিচু সমভূমিগুলিতে ধীরে ধীরে ঘনবসতিপূর্ণ জনপদ গড়ে উঠেছে। বিশেষত ঐ এলাকায় খনিজ তেল ও গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হবার পর এটি ঘটেছে। এছাড়াও দেশটির উর্বর খামারভূমিগুলি বসতির জন্য খুলে দেওয়া হয়। ২০০০-এর দশকের শুরুতে এই অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র সান্তা ক্রুজ দে লা সিয়েরা লা পাজকে ছাড়িয়ে বলিভিয়ার বৃহত্তম শহরে পরিণত হয়।
১৬শ শতক থেকে ১৯শ শতকের শুরু পর্যন্ত বলিভিয়া স্পেনের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৮২৫ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫২ সালে এখানে একটি রাজনৈতিক বিপ্লব ঘটে যার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। বিপ্লবী নেতারা আদিবাসী আমেরিকানদের অধিকতর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের প্রকল্প গ্রহণ করেন। সরকার তাদের ভোট দেবার সুযোগ দেন, এবং পল্লী এলাকাগুলিতে শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বড় বড় জমিদারীগুলি ভেঙে দেয়া হয় এবং আদিবাসী আমেরিকান চাষীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমি দেওয়া হয়। তবে এই সংস্কারগুলি বলিভিয়ার অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। পরবর্তী সরকারগুলি অর্থনীতির বড় অংশ বেসরকারীকরণের চেষ্টা করলেও এখনও বলিভিয়া সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র।
Remove ads
ইতিহাস
রাজনীতি
ডিপার্টমেন্ট ও প্রদেশসমূহ

বলিভিয়া মোট ৯টি ডিপার্মেন্টে (departamentos) বিভক্ত। এর রাজধানীগুলোকে বন্ধনীর মধ্যে দেখানো হয়েছে:
- Beni (ত্রিনিদাদ)
- Chuquisaca (সুক্রে)
- Cochabamba (Cochabamba)
- La Paz (লা পাজ)
- Oruro (Oruro)
- Pando (Cobija)
- Potosí (Potosí)
- Santa Cruz (সান্তা ক্রুজ দে লা সিয়েরা)
- Tarija (Tarija)
ভূগোল



বলিভিয়ার এলাকার ক্ষেত্রফল ১,০৯৮,৫৮০ বর্গকিলোমিটার। এলাকার দিক থেকে এটি পৃথিবীতে ২৮তম। [৭]
১৮৭৯ হতে বলিভিয়া একটি ভূবেষ্টিত (land-locked) দেশ। ঐ বছর চিলির সাথে প্রশান্ত মহাসাগরের যুদ্ধে বলিভিয়া উপকূলবর্তী আন্তোফাগাস্তা এলাকাটির দখল হারায়। তবে প্যারাগুয়ে নদীর মাধ্যমে বলিভিয়া অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত।
বলিভিয়ার পরিবেশে ব্যাপক বৈচিত্র রয়েছে। পশ্চিমের পাহাড়ী এলাকা আন্দেজ পর্বতমালায় অবস্থিত। এখানে বলিভীয় আলতিপ্লানো এলাকা রয়েছে। পূর্বের সমতলভূমিতে আমাজন বনাঞ্চল এর চিরহরিৎ (??) বৃক্ষরাজি রয়েছে। বলিভিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশিখর হলো নেভাদো সাজামা যার উচ্চতা ৬৫৪২ মিটার। টিটিকাকা হ্রদ বলিভিয়া ও পেরুর সীমান্তে অবস্থিত। পৃথিবীর বৃহত্তম লবণাক্ত ভূমি সালার দি উইয়ুনি বলিভ্যার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ অবস্থিত।
বলিভিয়ার বৃহৎ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে লা পাজ, এল্ অল্টো, সান্তা ক্রুজ দে লা সিয়েরা, এবং কোচাবাম্বা।
Remove ads
অর্থনীতি
মাথাপিছু আয় ৪,৪৪৪ মা,ডলার
জনসংখ্যা
বলিভিয়ার মোট জনসংখ্যা
- ১ কোটি ২ লক্ষ
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৬%
সংস্কৃতি
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads