শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ভক্তামর স্তোত্র
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ভক্তামর স্তোত্র হল একটি বিখ্যাত জৈন প্রার্থনা। এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত। খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে এটি রচনা করেছিলেন আচার্য মনতুঙ্গ।[১] ‘ভক্তামর’ শব্দটি সংস্কৃত ‘ভক্ত’ ও ‘অমর’ শব্দ দুটি থেকে এসেছে।
এই প্রার্থনায় প্রথম জৈন তীর্থংকর ঋষভনাথের স্তুতি করা হয়েছে। এই স্তোত্রে মোট ৪৮টি শ্লোক রয়েছে। শেষ শ্লোকে মনতুঙ্গার নাম উল্লিখিত হয়েছে।
Remove ads
বিবরণ
ভক্তামর একটি স্তোত্রের আকারে পঠিত ও স্তবনের আকারের গীত হয়। অন্যান্য জৈন প্রার্থনাগুলি (যেমন পার্শ্বনাথের প্রতি উৎসর্গিত কল্যাণমন্দির স্তোত্র ও সকল তীর্থঙ্করের প্রতি উৎসর্গিত স্বয়ম্ভু স্তোত্র) এই স্তোত্রটির পরে পঠিত বা গীত হয়।[২][৩] এই ধরনের ভক্তিমূলক সাহিত্য রচনার উদ্দেশ্য জৈন মতবাদকে জনসাধারণের বোধগম্য করে তোলা।[৪]
ইতিহাস
মনতুঙ্গের কিংবদন্তিটি ভোজ নামে এক রাজার সঙ্গে যুক্ত। যদিও মনতুঙ্গ সম্ভবত ধরার রাজা ভোজের কয়েক শতাব্দী আগের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কোনও কোনও গবেষক তাকে কিংবদন্তি রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজসভার নবরত্নের অন্যতম ক্ষপণক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি এবং সংগীত তত্ত্বমূলক "বহদ্দেশী" গ্রন্থের রচয়িতা সংস্কৃত কবি মাতঙ্গ সম্ভবত একই ব্যক্তি ছিলেন। ভক্তামর স্তোত্র গুপ্ত বা গুপ্তোত্তর যুগে কোনও এক সময়ে রচিত হয়। সেই ক্ষেত্রে মনতুঙ্গ কালিদাস ও বরাহমিহিরের সমসাময়িক ছিলেন। ভোপাল ও ধরার নিকটবর্তী অনেক স্থান প্রথানুসারে মনতুঙ্গের সঙ্গে যুক্ত।[৫]
Remove ads
শিল্পকলা
ভক্তামর স্তোত্র চিত্রকলায় বহুল অলংকৃত হয়েছে।[৬][৭] সঙ্গনেরের সংঘিজি মন্দিরে প্রত্যেকটি শ্লোকের প্যানেল চিত্র দেখা যায়। ভারুচের একটি মন্দিরের একাংশ ভক্তামর ও এর রচয়িতা মনতুঙ্গের প্রতি উৎসর্গিত।[৮]
টীকা
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads