শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী

বাঙালি কবি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

Remove ads

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (আনু. ১৫০০–১৫৫১ খ্রিষ্টাব্দ) একজন মধ্যযুগীয় বাঙালি কবি।

দ্রুত তথ্য কবিঙ্করণ কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, জন্ম ...

আনুমানিক ১৫৭৫ সালে বর্ধমান রাজের ডিহিদার মামুদ শরিফের অত্যাচারের কারণে মুকুন্দরাম তাঁর পৈতৃক নিবাস ত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং ব্রাহ্মণ শাসক বীর বাঁকুড়া রায়ের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা পান, যিনি মেদিনীপুরের ব্রাহ্মণভূম এলাকায় শাসন করতেন এবং দেবী চণ্ডীর ভক্ত ছিলেন।[] বাঁকুড়া রায় মুকুন্দরামকে তাঁর পুত্রের গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করেন। পরবর্তীতে আড়রার জমিদার রঘুনাথ রায়ের সভাকবিরূপে চণ্ডীমঙ্গল কাব্য রচনা করেন, যার জন্য তিনি 'কবিকঙ্কণ' উপাধিতে ভূষিত হন।[] কবিকঙ্কণ অর্থ যে কবি হাতে অথবা পায়ে ঘুঙুর পরে গান করতেন, অর্থাৎ মঙ্গলকাব্যের পেশাদার গায়ক।[]

তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা চণ্ডীমঙ্গল মধ্যযুগীয় বাংলার সামাজিক-রাজনৈতিক পটভূমির একটি ভাষ্য। সেখানে তিনি একজন দরিদ্র শিকারী কল্লাকেতু ও একজন ধনী বণিক ধনপতি এবং তাঁদের স্ত্রীদের কাহিনির আশ্রয়ে নিজের জীবনের ভ্রমণ ও কষ্টগুলোকে বর্ণনা করেছেন, যাঁদের উভয়েই বিপদে আটকা পড়ে এবং পরবর্তীকালে দেবী অভয়া বা চণ্ডী উদ্ধার তাঁদের উদ্ধার করেন, তাঁরা উভয়ই লোকদেবদেবী। চণ্ডীমঙ্গল মধ্যযুগীয় বাংলায় বিদ্যমান জটিল সামাজিক কাঠামোর একটি সমৃদ্ধ ও বিশদ বিবরণ প্রদান করে।[]

তিনি তার কাব্যে উপন্যাসের বীজ বপন করেছেন। আধুনিক যুগের সাহিত্য সমালোচকগণ[কে?] তার সম্পর্কে বলেছেন - ' মুকুন্দরাম চক্রবর্তী মধ্যযুগে জন্মগ্রহণ না করে আধুনিক যুগে জন্মগ্রহণ করলে কাব্য না লিখে উপন্যাস লিখতেন'। যদি এমন কোন গ্রন্থের নাম করতে হয় যাতে আধুনিক কালের, উপন্যাসের,রস কিছু পরিমাণে মেলে যেমন- নিপুণ পর্যবেক্ষণ, সহৃদয়তা, জীবনে আস্থা, ব্যাপক অভিজ্ঞতা সবই যথোচিত পরিমাণে বর্তমান।

Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads