শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বর্ধমান
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাসদর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বর্ধমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি শহর ও পৌরসভা। এটি বর্ধমান বিভাগ, পূর্ব বর্ধমান জেলা ও বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমার সদর। রাঢ় অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে দামোদর নদের তীরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ মিটার উচ্চতায় বর্ধমান শহরটি অবস্থিত। বর্ধমান পৌরসভা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একাধিক বিভাগ এই শহরের প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। এখানকার শীতকালীন তাপমাত্রা প্রায় ১০°সে ও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা ৪৫°সে ছুঁয়ে যায়। একাধিক ঐতিহাসিক মন্দির ও স্মারকের উপস্থিতির কারণে বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র।
এছাড়া বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বর্ধমান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স সহ একাধিক আধুনিক উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র অবস্থিত।
Remove ads
ব্যুৎপত্তি
"বর্ধমান" নামটির উৎপত্তি প্রসঙ্গে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। কোনো কোনো মতে জৈন তীর্থঙ্কর বর্ধমান মহাবীরের নামে এই শহরের নামকরণ করা হয়। আবার অন্যমতে পূর্ব ভারতে আর্যীকরণের সময় গড়ে ওঠা এই জনপদটির বর্ধিষ্ণুতার কারণে এটিকে বর্ধমান নামে অভিহিত করা হয়।
ইতিহাস
একাধিক প্রাচীন সংস্কৃত, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মগ্রন্থে বর্ধমান শহরের নাম উল্লিখিত হয়েছে। মুঘল যুগে এই শহরটি ছিল মুঘল বর্ধমান জেলার রাজধানী। তখন শহরের নাম রাখা হয়েছিল "শরিফাবাদ"। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় বর্ধমান "বদে দেওয়ান" নামে পরিচিত ছিল। ১৬৮৯ সালে কৃষ্ণচন্দ্র রাই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বর্ধমানের জমিদার ও চৌধুরী নিযুক্ত হন। ১৭৪০ সালে বর্ধমানের জমিদার চিত্র সেন রাই মুঘল সম্রাট কর্তৃক রাজা উপাধিতে ভূষিত হন। এর ফলে বর্ধমান রাজের সূচনা ঘটে। ১৭৬০ সালে মীরকাশিম বর্ধমান জেলা ব্রিটিশদের হস্তান্তরিত করলে এই শহর জেলার জেলাসদরে পরিণত হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই শহরের যোগদানের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়। ১৯৫৫ সালে জমিদারি উচ্ছেদ হলে বর্ধমান রাজের অবলুপ্তি ঘটে। বর্তমানে বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গের একটি দ্রুত উন্নয়নশীল বাণিজ্যকেন্দ্র। শহরের উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্থাপিত বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
Remove ads
ভূগোল
বর্ধমান শহরের অবস্থান ২৩.২৫° উত্তর ৮৭.৮৫° পূর্ব। এটি নয়াদিল্লি থেকে ১,১০০ কিলোমিটার (৬৮০ মাইল) আর কলকাতা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) দূরে অবস্থিত। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড, জাতীয় সড়ক ১৯ ও হাওড়া–দিল্লি মেন রেলপথ এই তিন শহরকে সংযুক্ত করে। দামোদর ও বাঁকা এই শহরের প্রধান নদী।[৭]
থানা
বর্ধমান পৌরসভা এবং বর্ধমান ১ ও বর্ধমান ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক বর্ধমান থানা ও বর্ধমান মহিলা থানার অন্তর্গত, যার মোট আয়তন ১৯২.১৫ বর্গকিলোমিটার (৭৪.১৯ বর্গমাইল)। এছাড়া বড়বাজার, মুরাদপুর, কেশবগঞ্জ, নতুনগঞ্জ ও বীরহাটায় পুলিশ ফাঁড়ি আছে।[৮][৯]
জনপরিসংখ্যান
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে বর্ধমান পৌরপিণ্ডের জনসংখ্যা ৩,১৪,২৬৫। এর মধ্যে পুরুষ ৫২% এবং নারী ৪৮%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮৮.৬২%, পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৯১.৭৭% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮৪.৭৪%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৭৯.৫%, তার চাইতে বর্ধমান এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।[১২]
Remove ads
জলবায়ু
Remove ads
পরিবহন
রেলপথ
বর্ধমান জংশন রেলওয়ে স্টেশন বর্ধমান শহরের একমাত্র রেলওয়ে স্টেশন, যা হাওড়া–দিল্লি মেন রেলপথ ও বর্ধমান–কাটোয়া রেলপথের সংযোগস্থল। হাওড়া–দিল্লি রেলপথের বেশিরভাগ এক্সপ্রেস ট্রেন এখানে থামে, তবে শহীদ এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া–পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ইত্যাদি রেলগাড়ি এখানে থামে না।
সড়কপথ
গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড (জিটি রোড) এই শহর দিয়ে যায়, আর জাতীয় সড়ক ১৯ এই শহরকে পাশ কাটিয়ে যায়। জাতীয় সড়ক ১১৪এ বর্ধমানকে মঙ্গলকোট, আরামবাগ, পাঁশকুড়া ইত্যাদি শহরের সাথে সংযুক্ত করে। বর্ধমান রেল ওভারব্রিজ শহরকে কালনা, কাটোয়া ইত্যাদি শহরের সাথে সংযুক্ত করে।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থা আরামবাগ, আসানসোল, করুণাময়ী, কীর্ণাহার, তারকেশ্বর, ধর্মতলা, পুরুলিয়া ইত্যাদি জায়গা থেকে বাস পরিষেবা প্রদান করে। বেশিরভাগ বাস বর্ধমানের নবাবহাট ও আলিশা বাস স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ে।
Remove ads
দর্শনীয় স্থান

উইকিভ্রমণে বর্ধমান সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads