শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (২৯ নভেম্বর ১৯৫৩ - ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪)[২] ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের দিনাজপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০২৪ সালে অষ্টম বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩][৪] তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।[১] ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা (এফ.এফ) হিসেবে তালিকাভুক্ত হন, এবং সেক্টর-৭ এর অধীনে যুদ্ধ করেন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৫]
Remove ads
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
মোস্তাফিজুর রহমানের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৯ নভেম্বর দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার জামগ্রাম গ্রামে। তার বাবার নাম মোবারক হোসেন এবং মায়ের নাম শাহেদা খাতুন। তিনি ১৯৬৮ সালে সুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৭০ সালে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে তিনি ফুলবাড়ি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৭ সালে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে আইন বিষয়েও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
Remove ads
রাজনৈতিক জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
১৯৭৭ সালে মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য হন এবং ফুলবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৯২ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে মোস্তাফিজুর রহমান দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মত দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ি- পার্বতীপুর) থেকে জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই ২০০৯ থেকে ২১ নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে ৭ জানুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] তিনি ১৫ বছর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এবং ১০ বছর পাবলিক অ্যাকাউন্টস্ কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।[৬]
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৭][৮][৯]
Remove ads
মৃত্যু
তিনি ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[১০][১১]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads