শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
রমেশ চন্দ্র মিত্র
ভারতীয় বাঙালী বিচারক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
রমেশ চন্দ্র মিত্র (১৮৪০- ১৩ জুলাই, ১৮৯৯) ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বাঙালি বিচারপতি ও খ্যাতনামা সমাজসেবী।[১] তিনি ১৮৮৬ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতের প্রথম কার্যধারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচাপতি ছিলেন।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
রমেশ চন্দ্র মিত্র ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার রাজারহাট-বিষ্ণুপুরে জন্মগ্রহণ করেন, তার পিতার নাম ছিল রামচন্দ্র মিত্র। হেয়ার স্কুল ও প্রেসিডেন্সী কলেজে শিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি। বি এ ও বি এল পাশ করে ২১ বছর বয়েসে ওকালতি শুরু করেন সদর দেওয়ানী আদালতে। বিচারপতি অনুকূল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর কলকাতা হাইকোর্টে তার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। উচ্চপদস্থ ইংরেজ রাজপুরুষরা বিচারপতি মিত্রের আইন জ্ঞান ও রায়কে কদর করতেন।[৩]
Remove ads
কৃতিত্ব
রমেশ চন্দ্র সম্মানের সাথে বিচারপতির কাজ করেছেন প্রায় কুড়ি বছর। তিনি ১৮৮৭ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন। ১৮৮৩ সালে আদালত অবমাননার মামলায় রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাজা দেওয়ার সময় অন্যান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ইংরেজ বিচারপতির সাথে মতানৈক্য প্রকাশ করেছিলেন। রিপন কলেজের উন্নতি, শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার করে জনপ্রিয় হন। 'এজ অফ কনসেন্ট' বিলের বিরোধীতা করেছিলেন তিনি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলে যোগ দিয়ে ১৮৯৬ সালে কলকাতা অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হন। সংস্কৃত শাস্ত্রের অধ্যাপনার জন্যে কলকাতার ভবানীপুরে প্রতিষ্ঠা করেন চতুষ্পাঠী।[৩] তিনি তার জন্মস্থানে বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুরে ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে একটি বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ হতে এটি তার নামে অর্থাৎ বিষ্ণুপুর স্যার রমেশ ইনস্টিটিউশন নামে পরিচিত হয়। [৪]
Remove ads
সম্মান
তার কৃতিত্বের জন্যে তাকে নাইট উপাধি প্রদান করা হয়।
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads