শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
রশ্মিকা মন্দানা
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
রশ্মিকা মন্দানা (/rəʃmɪkɑː
মন্দানা কন্নড় ভাষায় নির্মিত প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক কিরিক পার্টি (২০১৬)–এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন, এবং অঞ্জনি পুত্র ও চমক (উভয়ই ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সফলতা অর্জন করেন। তেলুগু চলচ্চিত্রে তিনি সফলতা অর্জন করেন প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক গীতা গোবিন্দম (২০১৮) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে; এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সমালোচক) – তেলুগু বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তেলুগু মারপিটধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র দেবদাস (২০১৮) ও সারিলেরু নিকেব্বেরু (২০২০), প্রণয়ধর্মী ভীষ্ম (২০২০), এবং তামিল মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র সুলতান (২০২১) ও বারিসু (২০২৩)–এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবুও, নায়ক–কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রে তার ঝোঁক সমালোচিত হয়েছিল, কারণ এটি তার অভিনয় প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ ও প্রদর্শনের সুযোগকে সংকুচিত করেছে।
মন্দানা মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র পুষ্পা: দ্য রাইজ (২০২১)–এর প্যান-ইন্ডিয়া সাফল্যের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেন। ঐতিহাসিক নাট্য চলচ্চিত্র সীতা রামম (২০২২)–এ একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের পর, তিনি দু’টি অনুল্লেখ্য হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার সর্বাধিক আয় করা চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে মারপিটধর্মী নাট্য এনিম্যাল (২০২৩) ও পুষ্পা ২: দ্য রুল (২০২৪)। অভিনয়ের পাশাপাশি, মন্দানা বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যের অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও কাজ করেন।
Remove ads
প্রারম্ভিক ও ব্যক্তিগত জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
রশ্মিকা মন্দান্না ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল ভারতের কর্ণাটকের কোড়গু জেলার শহর বিরাজপেটে একটি কোডব হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২] তার বাবা সুমন মন্দানা বিরাজপেটে একটি কফি বাগান ও একটি অনুষ্ঠান ভবনের মালিক এবং তার মা মদন মন্দানা একজন গৃহকর্মী।[৩] শিমান নামে তার ছোট বোন রয়েছে, যাকে তিনি লালন-পালনে সাহায্য করেছেন এবং মায়ের মতো যত্ন ও স্নেহ দিয়েছেন।[৩][৪] শিশুকালে তার পরিবার আর্থিক সংকটে ছিল এবং বাড়ি খুঁজে পেতে ও ভাড়া দিতে কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হয়েছিল। মন্দান্নার মতে, তার বাবা-মা তাকে খেলনা কিনতে পারতেন না, আর এই অভিজ্ঞতা টাকার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করেছে।[৫]
মন্দানা গোনিকোপ্পালের একটি বোর্ডিং স্কুল, কোড়গু পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন।[৬] এই সময়ে, তিনি ভাষাগত সমস্যার কারণে প্রায়শই ভুল বোঝাবুঝির শিকার হন, যা তার সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্র কঠিন করে তোলে।[৭]
মন্দানা বেঙ্গালুরুর এম. এস. রামাইয়াহ কলেজ অফ আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্স–এ মনোবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রির জন্য অধ্যয়ন করেছেন।[৮] ২০১৪ সালে মন্দানাকে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’র ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেশ ফেস পুরস্কারে ভূষিত করা হয়;[৯] পুরস্কারটি অক্ষয় কুমার তাকে প্রদান করেন এবং বিজয়ী পুরস্কারের অংশ হিসেবে তাকে পরবর্তীকালে ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়।[১০][১১] এরপর তিনি স্বল্প সময়ের জন্য মডেলিং শুরু করেন, এবং তিনি বিশ্বাস করতেন এটি তার অভিনয়ে পদার্পণে সহায়ক হবে।[১১] অভিনয়ের ব্যপারে তার বাবা-মা প্রথমে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা মেনে নেন।[১২]
মন্দনা কিরিক পার্টি চলচ্চিত্রের শুটিং চলাকালীন রক্ষিত শেঠির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এবং ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তার নিজ শহর বিরাজপেটে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে তাদের বাগদান ঘোষণা করেন।[১৩] তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তারা নিজেদের মধ্যে মতভিন্নতার সমস্যা উল্লেখ করে বাগদান ভেঙে দেন।[১৪]
Remove ads
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
প্রারম্ভিক কাজ ও সাফল্য (২০১৬–২০২০)
২০১৫ সালে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পর ঋষব শেঠি রশ্মিকাকে রক্ষিত শেঠির বিপরীতে তার কন্নড় হাস্যরসাত্মক প্রণয়ধর্মী কিরিক পার্টি (২০১৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন।[১৫] তার অভিষেক চলচ্চিত্রটিতে তিনি সানভী নামের কলেজ ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যার স্বপ্ন ছিল একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।[১৬][১৭] কিরিক পার্টি কন্নড়ের অন্যতম শীর্ষ আয়ের চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠে, এবং এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে সাইমা পুরস্কার অর্জন করেন।[১৮][১৯] মন্দানা পরে প্রকাশ করেন, যদি এই চলচ্চিত্রটি সফল না হতো, তবে তিনি বাড়ি ফিরে তার বাবার ব্যবসা দেখাশোনার পরিকল্পনা করেছিলেন।[২০] তার বাণিজ্যিক সাফল্য ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া অঞ্জনি পুত্র[২১] ও চমক[২২] চলচ্চিত্রের সাথে অব্যাহত থাকে।[২৩] চমক চলচ্চিত্রের জন্য তিনি প্রথমবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার ও সাইমা পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন।[২৪][২৫]

মন্দানা ২০১৮ সালে তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন; তিনি তেলুগু হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র চলো–এ নাগা শৌর্যের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।[২৬] শুরুর দিকে তেলুগু ভাষা শিখতে কঠিন পরিস্থিতিতে পরলেও, সহকারী পরিচালকের থেকে নির্দেশনা পেয়ে তার উচ্চারণ ও সংলাপ উপস্থাপনায় উন্নতি করেন।[২৭][২৮][২৯] চলো তার দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ ধারাবাহিক বক্স-অফিস সাফল্য ছিল।[৩০] এরপর মন্দনা বিজয় দেবরকোন্ডার বিপরীতে প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র গীতা গোবিন্দম–এ অভিনয় করেন।[৩১] চলচ্চিত্রটি স্বল্প ব্যয়ে নির্মিত হলেও দেশীয় বক্স-অফিসে ₹১ বিলিয়ন ($১৩ মিলিয়ন) আয় করে।[৩২] চলচ্চিত্রটির সমালোচকরা প্রধান জুটির মধ্যে রসায়ন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও গল্পের কাঠামোকে একঘেয়ে বলে মনে করছিলেন।[৩৩][৩৪][৩৫] তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সমালোচক) বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার – তেকুগু অর্জন করেছিলেন।[৩৬] মন্দনা বছরের শেষ অংশে তেলুগু চলচ্চিত্র দেবদাস–এ অভিনয় করেছিলেন।[৩৭][৩৮]
তিনি ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কন্নড় চলচ্চিত্র ইয়াজামানা–তে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল, যেখানে কার্তিক কেরামলু মন্দানা ও দর্শনের মধ্যে বয়সের উল্লেখযোগ্য ব্যবধানের বিষয়ে বিশেষভাবে সমালোচনা করেছিলেন।[৩৯][৪০] মন্দানা তার অভিনয়ের জন্য আবারও সাইমা শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী’র পুরস্কার অর্জন করেন এবং চলচ্চিত্রটিও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল।[৪১][৪২] তিনি এরপর দেবরকোন্ডার সঙ্গে ডিয়ার কমরেড চলচ্চিত্রে পুনরায় কাজ করেন, যেখানে তিনি একজন সম্ভাবনাময় ক্রিকেট খেলোয়াড়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[৪৩] এই চরিত্রটি তার পূর্বে অভিনীত চরিত্রগুলো থেকে ভিন্ন ছিল। তাই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি শুটিং শুরু হওয়ার আগে পাঁচ মাস "কঠোর শারীরিক প্রশিক্ষণ" গ্রহণ করেন, যাতে একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের প্রকৃত শরীরী ভাষাকে সঠিকভাবে তিনি অনুকরণ করতে পারেন।[৪৪] তবে, এই জুটি তাদের পূর্ববর্তী চলচ্চিত্রের সাফল্য পুনরাবৃত্তি করতে ব্যর্থ হয় এবং এটি বক্স-অফিসে বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হয়।[৪৫][৪৬] দেবরকোন্ডা ও মন্দানা মধ্যে চুম্বনের একটি দৃশ্যের জন্য চলচ্চিত্রটি দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল।[৪৭] রশ্মিকা মন্দানাকে যখন দৃশ্যটি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন যে, চিত্রনাট্যে যা বলা হয়েছিল তিনি তা অনুসরণ করেছেন এবং একক দৃশ্য পুরো চলচ্চিত্রের জন্য নির্ধারক হতে পারে না।[৪৮] তিনি পরে স্বীকার করেন যে, চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর তিনি অনলাইনে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন, যা মোকাবেলা করা তার জন্য কঠিন ছিল।[৪৯]
মন্দানা নতুন দশক শুরু করেছিলেন মহেশ বাবুর বিপরীতে মারপিটধর্মী হাস্যরসাত্মক সারিলেরু নিকেব্বেরু চলচ্চিত্র দিয়ে, যেটি তেলুগু চলচ্চিত্রের একটি অন্যতম সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।[৫০] তবে, তার চরিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল।[৫১][৫২][৫৩] এরপর তিনি নিতিনের বিপরীতে প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক ভীষ্ম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৫৪][৫৫] সমালোচকদের কাছ থেকে চলচ্চিত্রটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও বক্স–অফিসে সফলতা অর্জন করে।[৫৬]
কর্মজীবনে অগ্রগতি (২০২১–বর্তমান)
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মারপিটধর্মী নাট্য কন্নড় চলচ্চিত্র পোগারু (২০২১)–এ মন্দানা একজন সদয় প্রকৃতির অধ্যাপকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন ধ্রুব সারজা।[৫৭] একই বছরে তিনি কার্তির বিপরীতে মারপিটধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র সুলতান–এ অভিনয় করে তামিল চলচ্চিত্রে বাণিজ্যিকভাবে সফল অভিষেক করেন।[৫৮] রশ্মিকা ব্যক্ত করেন, কাজের ক্ষেত্রে ভাষাকে বাধা মনে না করে বরং তিনি নিজেকে বিভিন্ন শিল্পে প্রতিষ্ঠিত করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখেন।[৫৯] ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত পুষ্পা: দ্য রাইজ শিরোনামে তেলুগু মারপিটধর্মী চলচ্চিত্রে তিনি অল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি সমালোচক ও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল।[৬০] এই চলচ্চিত্রে তার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি একজন শিক্ষকের সহায়তায় তেলুগুর চিত্তুর উপভাষা শিখেছিলেন।[৬১] এই চলচ্চিত্রটি মন্দানার কর্মজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং তিনি প্যান-ইন্ডিয়া স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন।[৬২][৬৩] এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার জন্য পুষ্পা: দ্য রাইজ–এর সাফল্যকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।[৬৪]

পরের বছর মন্দানা বিভিন্ন ধরণের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি বছর শুরু করেন সর্বানন্দের বিপরীতে "আডাভাল্লু মীকু জোহার্লু" চলচ্চিত্র দিয়ে, যা বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়নি।[৬৫] এছাড়াও, তিনি প্রণয়ধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র সীতা রামম–এ দুলকার সলমান ও ম্রুণাল ঠাকুরের সাথে একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।[৬৬] চলচ্চিটিত্রটিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং এটি তার কর্মজীবননের অন্যতম সেরা কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।[৬৭][৬৮] মন্দানা বিকাস বহল পরিচালিত পারিবারিক নাট্য চলচ্চিত্র গুডবাই– অভিনয়ের মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন, যেখানে অমিতাভ বচ্চন তার সহশিল্পী ছিলেন।[৬৯][৭০] যদিও চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে সফল হয়নি, তবে তার অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল[৭১][৭২] এবং তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে জি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[৭৩]
২০২৩ সালে মন্দানা তিনটি মারপিটধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে— বারিসু, মিশন মজনু ও এনিম্যাল। বারিসু চলচ্চিত্রে তিনি বিজয়ের বিপরীতে কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৭৪][৭৫] সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে নেটফ্লিক্সের হিন্দি চলচ্চিত্র মিশন মজনু–তে তিনি দৃষ্টিহীন নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৭৬][৭৭][৭৮]
সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত চলচ্চিত্র এনিম্যাল–এ মন্দানা রণবীর কাপুরের বিপরীতে একজন নিবেদিতপ্রাণ গৃহিণীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৭৯] চিত্রগ্রহণ চলাকালীন তিনি পরিণীতি চোপড়ার স্থলাভিষিক্ত হন, কারণ পরিচালক বঙ্গা’র মনে হয়েছিল যে তিনি চরিত্রটির জন্য অধিক উপযুক্ত।[৮০] বারিসু ও এনিম্যাল উভয় চলচ্চিত্রই বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিল এবং সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান অর্জন করে নিয়েছিল।[৮১][৮২][৮৩]
২০২৪ সালে মন্দানা মারপিটধর্মী ধারাবাহিক চলচ্চিত্র পুষ্পা ২: দ্য রুল–এ শ্রীভাল্লী চরিত্রে পুনরায় অভিনয় করেন। পুষ্পা ২: দ্য রুল ভারতীয় চলচ্চিত্রে বেশ কয়েকটি বক্স-অফিস রেকর্ড গড়ে, ছয় দিনের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ₹ ১২ বিলিয়ন (ইউএস$ ১৪৬.৬৮ মিলিয়ন) আয় করে এবং এটি সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্রের তালিকায় পায়।[৮৪][৮৫]
আসন্ন প্রকল্প
মন্দানা পরবর্তীতে দু’টি তেলুগু এবং তিনটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন: তিনি ধনুষের বিপরীতে তামিল–তেলুগু দ্বিভাষিক চলচ্চিত্র কুবেরা–তে অভিনয় করবেন এবং নারী কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র দ্য গার্লফ্রেন্ড–এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকবেন; ঐতিহাসিক নাট্য চলচ্চিত্র ছাবা–তে ভিকি কৌশলের সম্ভাজি’র বিপরীতে মহারাণী যেসুবাই ভোঁসলে চরিত্রে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি, এ. আর. মুরুগাদোসের মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র সিকান্দার–এ তিনি সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন।[৮৬] তিনি ম্যাডক সুপারন্যাচারাল ইউনিভার্সেও যোগ দেবেন, যেখানে তিনি আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে প্রণয়ধর্মী লোমহর্ষক চলচ্চিত্র থামা–তে অভিনয় করবেন।[৮৭]
Remove ads
গণমাধ্যমে ভাবমূর্তি
সারাংশ
প্রসঙ্গ

২০২৪ সালে মন্দানা ফোর্বস ইন্ডিয়া–এর "থার্টি আন্ডার থার্টি" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন এবং ভারতীয় সংস্করণের জিকিউ তাকে দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হিসেবে উল্লেখ করেছিল।[৮৮][৮৯] তিনি ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরু টাইমস–এর "মোস্ট ডিজায়ারেবল উইমেন" তালিকায় ২৫ জনের মাঝে ২৪তম স্থান অর্জন করেছিলেন এবং ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরু টাইমস–এর "মোস্ট ডিজায়ারেবল উইমেন" তালিকাতেও ৩০ জনের মাঝে তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৯০][৯১] ২০২১ সালের অক্টোবরে ফোর্বস ইন্ডিয়া–এর দক্ষিণী চলচ্চিত্রে ইনস্টাগ্রামের সর্বাধিক প্রভাবশালী তারকাদের তালিকায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।[৯২] ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত, মন্দানা ইনস্টাগ্রামে সর্বাধিক অনুসরণকৃত কন্নড় অভিনেত্রী।[৯৩]
মন্দানা বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারণা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাকডোনাল্ড’স,[৯৪] ডাবর হানি,[৯৫] ক্যাশিফাই,[৯৬] কল্যাণ জুয়েলার্স[৯৭] ও বিস্ক ফার্ম।[৯৮] ২০২৩ সালে তিনি জাপানি ফ্যাশন ব্র্যান্ড অনিতসুকা টাইগারের প্রথম ভারতীয় অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। মার্কিন স্ট্রিমিং পরিষেবা ক্রাঞ্চিরোল ভারতে তাদের সম্প্রসারণ প্রচেষ্টায় রশ্মিকা ও টাইগার শ্রফকে "কৌশলগত অংশীদার" হিসেবে মনোনীত করেছিল।[৯৯][১০০] অনিতসুকা টাইগারের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে মন্দান্না মিলান ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণ করে রানওয়েতে হেঁটেছিলেন, এবং ক্রাঞ্চিরোলের পক্ষ থেকে তিনি জাপানের ৮ম ক্রাঞ্চিরোল অ্যানিমে অ্যাওয়ার্ডসে একটি পুরস্কার প্রদান করেছিলেন।[১০১][১০২] তিনি প্লাম ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর ও বিনিয়োগকারী উভয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১০৩]
চলচ্চিত্রের তালিকা
সঙ্গীত ভিডিও
Remove ads
পুরস্কার ও মনোনয়ন
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads