শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের রাজশাহীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
Remove ads

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে: রুয়েট) বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং উত্তরাঞ্চলের একমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত রুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষা অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বর্তমানে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে রুয়েটে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আনুমানিক ৩০,০০০ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয় ।

দ্রুত তথ্য নীতিবাক্য, ধরন ...
Remove ads

ইতিহাস

এটি ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রকৌশল বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১২২ জন ছাত্র নিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তখন এখানে যন্ত্রকৌশল, পুরকৌশল এবং তড়িৎকৌশল বিভাগের অধীনে সম্মান ডিগ্রী প্রদান করা হত। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। কারণ এর প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করত শিক্ষা মন্ত্রণালয়; একাডেমিক ক্যারিকুলাম ঠিক করত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করত পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৭৩ সালে কয়েকটি কমিশন ও কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিশন ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের চারটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় কে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ডঃ ওয়াহিদ উদ্দীনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়।এই কমিটি দেশের চারটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় কে একত্রে নিয়ে ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠন করে। কিন্তু সীমিত স্বায়ত্তশাসন এবং বিআইটি অধ্যাদেশের কিছু সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছিল। তখনই বিআইটি গুলিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপন্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর ফলশ্রুতিতে জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি পাশের মাধ্যমে ২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এটিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল, স্থাপত্যবিদ্যা এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। মোট শিক্ষকের সংখ্যা তিন শতাধিক।

Remove ads

অনুষদ ও বিভাগ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েটে বর্তমানে ৪ টি পূর্নাঙ্গ অনুষদের অধীনে মোট ১৪ টি ডিগ্রী প্রদানকারী বিভাগ আছে।

অনুষদের নাম বিভাগ সমূহ আসনসংখ্যা
পুরকৌশল অনুষদ পুরকৌশল বিভাগ
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ
স্থাপত্য বিভাগ
বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
১৮০
৬০
৩০
৩০
যন্ত্রকৌশল অনুষদ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও প্রোডাকশন কৌশল বিভাগ

যন্ত্রকৌশল বিভাগ
গ্লাস ও সিরামিক কৌশল বিভাগ
মেকাট্রোনিক্স বিভাগ
ম্যাটেরিয়াল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

কেমিকৌশল বিভাগ

৬০
১৮০
৬০
৬০
৬০

৩০

তড়িৎ এবং কম্পিউটার কৌশল অনুষদ তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিভাগ
ইলেক্ট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন কৌশল বিভাগ
১৮০
১৮০
৬০
৬০
অ্যপ্লাইড সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ পদার্থ বিভাগ
মানবিক বিভাগ
রসায়ন বিভাগ
গণিত বিভাগ
Only Postgraduate (M.Sc/M Phil,PhD)
Remove ads

ভর্তি প্রক্রিয়া (স্নাতক)

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ভর্তির প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠিন এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ, যা উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।[] দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।

1. প্রাথমিক বাছাই: এইচএসসি ফলাফল অনুসারে প্রাথমিক বাছাই সম্পন্ন করা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পরে, নির্দিষ্ট সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে একটি লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।

2. লিখিত পরীক্ষা: সাধারণত প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভর্তির আবেদন শুরু হয় এবং অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ভর্তি পদ্ধতি ও নম্বর বণ্টন:

রুয়েট-এর ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি ২০২৪ সালের পাঠ্যসূচির উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে।

এমসিকিউ পরীক্ষা:

  • পদার্থবিজ্ঞান: ৩০
  • রসায়ন: ৩০
  • গণিত: ৩০
  • ইংরেজি: ১০

লিখিত পরীক্ষা:

আরও তথ্য বিষয়, প্রশ্ন সংখ্যা ...

ক গ্রুপের জন্য ৩৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং খ গ্রুপের জন্য ৩৫০ নম্বরের লিখিত ও ১০০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা নেয়া হয়। []

গবেষণাগারসমুহ

আরও তথ্য পুরকৌশল অনুষদ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক অনুষদ ...
Remove ads

ক্যাম্পাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ
Thumb
শহীদ মিনার

রুয়েট ক্যাম্পাস রাজশাহী শহর থেকে ৩ কি.মি. পূর্বে বহমান পদ্মার তীর ঘেষে অবস্থিত। তার পূর্বেই রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। রুয়েট ক্যাম্পাসের আয়তন ১৫২ একর। এতে ডিপার্টমেন্ট ভবন, ল্যাবেরেটরি, ওয়ার্কশপ, লাইব্রেরী, জিমনেশিয়াম, কেন্দ্রীয় সাধারণ কক্ষ, ক্যাফেটেরিয়া, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, শিক্ষক ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা অবস্থিত। রুয়েটগেট থেকে পাঁচ কিমি পশ্চিমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কাঁটাখালী নর্দার্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র অবস্থিত।

সুযোগ-সুবিধা সমুহ

লাইব্রেরী

এখানে ৫ তলা বিশিষ্ট লাইব্রেরী ভবন আছে। লাইব্রেরীতে সকল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সহায়ক বই সমুহ রয়েছে।

চিকিৎসা কেন্দ্র

শহীদ লেফটেন্যান্ট সেলিম হলের সম্মুখে মেডিক্যাল সেন্টারটি অবস্থিত। দুইজন এমবিবিএস ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে মেডিক্যাল অফিসার ও কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে উঠা মেডিক্যাল সেন্টারটি ছাত্রদের সকল শারীরিক অসুস্থতার আরোগ্যসাধন করে থাকে। এখানে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনের জন্য মেডিক্যাল সেন্টারের নিজস্ব একটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

কম্পিউটার সেন্টার

প্রত্যেক বিভাগীয় ভবনে একটি করে অত্যন্ত আধুনিক কম্পিউটার সেন্টার রয়েছে।

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক

ছাত্র-ছাত্রীদের যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনার জন্যে রয়েছে ছাত্র কল্যাণ পরিচালক।

বর্তমানে এই বিভাগ পরিচালনায় আছেনঃ

১। অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আওয়াল

২। মো. মামুনুর রশিদ

৩। আবু সাঈদ

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং সুবিধা অসুবিধা লক্ষ্য রাখাই এই বিভাগের কাজ।

মিলনায়তন

রুয়েট প্রশাসনিক ভবনের পাশেই ৭০০ আসনবিশিষ্ট শীতাতপনিয়ন্ত্রিত একটি আধুনিক মিলনায়তন রয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব সেমিনার রুম ও কনফারেন্স হল রয়েছে।

আবাসিক হল[]

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ছাত্রদের জন্য ৭ টি এবং ছাত্রীদের জন্য ১টি আবাসিক হল আছে। ছাত্রদের হলগুলোর নামকরনে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্যতীত বাকি সবাই অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।

হলের নাম বর্তমান প্রভোস্ট আসনসংখ্যা
শহীদ প্রেসিডেণ্ট জিয়াউর রহমান হল ড. তানভির আহমেদ ৫০০
শহীদ আব্দুল হামিদ হল ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন মোল্লা ২২০
শহীদ শহিদুল ইসলাম হল ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ২২০
টিনশেড হল মোঃ সানোয়ার হোসেন ১০০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হল। মোঃ রবিউল হাসান ২৫০
শহীদ লেঃ সেলিম হল মোঃ আবু বকর সিদ্দীক ৩৫০
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল[][] ড. শাইলা আহমেদ ১৫০

এছাড়া ছাত্রীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন ৩ টি আবাসিক হল নির্মিতব্য

রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ইনডোর গেম্‌স খেলার সুবিধার্থে শহীদ শহিদুল ইসলাম হলের সামনে একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত ব্যায়ামাগার রয়েছে।

মসজিদ

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সুদৃশ্য একটি জামে মসজিদ রয়েছে। রাজশাহী নগরীতে রুয়েটের এই মসজিদ বহুল আলোচিত। দুই ঈদেই এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট এবং হল গুলোতে আলাদা মসজিদ আছে।

পানি সংগ্রাহাগার ও ওয়াটার ট্রিটমেণ্ট প্লাণ্ট

বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে রুয়েট ক্যাম্পাসে একটি বিশাল পানি সংগ্রাহাগার ও একটি ওয়াটার ট্রিটমেণ্ট প্লাণ্ট স্থাপিত হয়েছে।

ক্যাফেটেরিয়া

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে চমৎকার একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। এখানে কমদামে বেশ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাওয়া যায়।

সংগঠন এবং সহ-শিক্ষা কার্যক্রম

Remove ads
Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads