শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

রুনা লায়লা

বাংলাদেশি গায়িকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

রুনা লায়লা
Remove ads

রুনা লায়লা (জন্ম: ১৭ নভেম্বর ১৯৫২)[] একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। বাংলাদেশের তিনি 'গানের রাণী', 'সুরসম্রাজ্ঞী' এবং 'সুরের দেবী' হিসেবে সমধিক পরিচিত। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ, আধুনিক ও উচ্চাঙ্গ সংগীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল শিল্পী হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার সুনাম আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাতি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, লাতিনইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১৩ হাজারেরও বেশি গান করেছেন।[][] ভারত ও পাকিস্তানে তার গান দমাদম মাস্ত কালান্দার অত্যন্ত জনপ্রিয়।[]

দ্রুত তথ্য রুনা লায়লা, প্রাথমিক তথ্য ...
Remove ads

প্রাথমিক জীবন

রুনা লায়লা তৎকালীন পাকিস্তান অধিরাজ্যের পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা অনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীত শিল্পী। তার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। তার বাবার পৈতৃক বাড়ী ছিল রাজশাহীতে[]

Remove ads

কর্মজীবন

১৯৬৪ সালে লায়লা উর্দু ভাষার 'জুগনু' চলচ্চিত্রে "গুড়িয়াসি মুন্নি মেরি” গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৬০-এর দশকে তিনি নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে পরিবেশনা করতে থাকেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তিনি জিয়া মহিউদ্দিন শো-তে গান পরিবেশন করতেন। ১৯৭৪ সালে তিনি কলকাতায় তার বিখ্যাত বাংলা গান “সাধের লাউ" এর রেকর্ড করেন। একই বছর মুম্বাইয়ে তিনি প্রথমবারের মত কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এসময়ে দিল্লিতে তার পরিচালক জয়দেবের সাথে পরিচয় হয়, যিনি তাকে বলিউড চলচ্চিত্রে এবং দূরদর্শনের উদ্বোধনী আয়োজনে গান পরিবেশনের সুযোগ করে দেন। এক সে বাড়কার এক চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানের মাধ্যমে তিনি সংগীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সাথে প্রথম কাজ করেন। এই গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি "ও মেরা বাবু চেল চাবিলা" ও "দামা দম মাস্ত কালান্দার" গান দিয়ে ভারত জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

রুনা লায়লা চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শিল্পী নামক চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক আলমগীরের বিপরীতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিল্পী চলচ্চিত্রটি ইংরেজি চলচ্চিত্র দ্য বডিগার্ড-এর ছায়া অবলম্বনে চিত্রিত হয়েছে।

Remove ads

ব্যক্তিগত জীবন

রুনা লায়লা তিনবার বিয়ে করেন। প্রথমবার তিনি খাজা জাভেদ কায়সারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয়বার তিনি সুইস নাগরিক রন ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাংলাদেশি অভিনেতা আলমগীরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[] তার এক কন্যা—তানি লায়লা। তার দুই নাতি জাইন এবং অ্যারন।[]

ডিস্কোগ্রাফি

স্টুডিও অ্যালবাম

  • আই লাভ টু সিং ফর ইউ
  • সিনসিয়ারলি ইয়োরস রুনা লায়লা
  • গীত/গজলস (১৯৭৬)
  • রুনা ইন পাকিস্তান (গীত) (১৯৮০)
  • রুনা ইন পাকিস্তান (গজল) (১৯৮০)
  • রুনা গোজ ডিসকো (১৯৮২)
  • রুনা সিংস শাহবাজ কালান্দার (১৯৮২)
  • সুপার রুনা (১৯৮২)
  • গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
  • দ্য লাভারস অব রুনা লায়লা
  • বাজম-এ-লায়লা
  • রুনা লায়লা-মুডস অ্যান্ড ইমোশনস (২০০৮)
  • রুনা লায়লা-কালা শাহ কালা (২০১০)[]

একক সঙ্গীত

আরও তথ্য বছর, গান ...

চলচ্চিত্রের গান

Remove ads

টেলিভিশন

আরও তথ্য বছর, অনুষ্ঠান ...
Remove ads

পুরস্কার ও সম্মাননা

বাংলাদেশ
ভারত
পাকিস্তান
  • নিগার পুরস্কার (১৯৬৮, ১৯৭০)
  • ক্রিটিক্স পুরস্কার
  • গ্র্যাজুয়েট পুরস্কার (২ বার)
  • জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক
Remove ads

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads