শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

শ্রীবিদ্যা

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

শ্রীবিদ্যা
Remove ads

শ্রীবিদ্যা (অর্থাৎ, আধ্যাত্মিক বিদ্যা[]) হল একটি হিন্দু তান্ত্রিক মত, যে মতে মহাশক্তিকে ললিতা ত্রিপুরাসুন্দরী, ভুবনেশ্বরী ইত্যাদি রূপে পূজা করা হয়। এই রূপটির এক হাজার নাম পাওয়া যায় ললিতা সহস্রনাম স্তোত্রে। এই স্তোত্রটি শ্রীবিদ্যা ধারণার অন্তর্গত।[] এই মহান সাধনা জাগতিক সমৃদ্ধি ও আত্ম-অনুসন্ধান উভয়ের উপরই জোর দিয়ে থাকে। শ্রীবিদ্যার সাহিত্য বেশ সমৃদ্ধ।[] ঋকবেদে শ্রীসূক্তে শ্রীদেবী বা মহালক্ষী যিনি সৃষ্টিকর্তা সেই পরমেশ্বরীর উপাসনা করা হয় যা বৈদিক শ্রীবিদ‍্যাসাধনা।[] এই সাধনায় বামাচারী ও দক্ষিণাচারী শাখা দেখা যায়। এইসাধনা বাস্তবে গুরুমুখী।

Thumb
শ্রীযন্ত্র (এখানে ত্রিমাত্রিক শ্রীমেরুচক্র বা মহামেরু আকৃতিবিশিষ্ট, যা মূলত শ্রীবিদ্যা শাক্ত সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়) হল শাক্ত তান্ত্রিক রূপগুলির অন্যতম।

শ্রীবিদ্যা দর্শন অনুসারে, দেবী হলেন সর্বোচ্চ উপাস্য।[] তাকে শ্রীযন্ত্র বা শ্রীচক্র নামে একটি ছবিতে পূজা করা হয়।[] শ্রীযন্ত্রের ত্রিমাত্রিক রূপটি হল মেরুচক্র। এটি পাথর, স্ফটিক বা ধাতুতে নির্মিত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সোনায় মোড়া অষ্টধাতুর শ্রীযন্ত্রও পূজা করা হয়। শ্রীযন্ত্রের উল্লেখ বেদে আছে।[]

শ্রীবিদ্যা সাধনায় মন্ত্র গুরু, দেবতা ও শিষ্যকে এক করে। এই সাধনায় প্রথমে বাল-ত্রিপুরাসুন্দরী মন্ত্রে দীক্ষা দেওয়া হয়। এই মতে দেবী একটি শিশুকন্যা। এরপর পঞ্চদশাক্ষরী এবং শেষে ষোড়শী মন্ত্রে দীক্ষা হয় ও বৈদিকমতে শ্রীদেবীর দীক্ষা দেওয়া হয়।

Remove ads

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads