শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
প্রগতিশীল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে একটি প্রগতিশীল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। ১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারি সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনের সময়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করে।[১] বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর এটি অঙ্গ সংগঠন। এই সংগঠনের মূলমন্ত্রঃ ঐক্য, সংগ্রাম, প্রগতি এবং মুখপত্রঃ অভিমত।[২]
![]() | এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
কোন সমস্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি। সমস্যা নির্দিষ্ট করুন, অথবা এই টেমপ্লেট মুছে ফেলুন। |
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরের বছর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি বড় র্যাডিক্যাল অংশ ‘আমরা লড়ছি শ্রেণী সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে ছাত্রলীগ থেকে বেরিয়ে আসে।[৩] ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর তাদের সমন্বয়ে যাত্রা শুরু করে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জাসদ।[৪] তারা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ১২ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় সর্বপ্রথম স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ৪৫ ভোটের মধ্যে ৩৬ ভোট পেয়ে যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।[৫]
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বেরিয়ে আসা এই লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত হয় জাসদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এটি সারাদেশে সংক্ষেপে জাসদ ছাত্রলীগ নামে পরিচিত হয়।[৬]
এর ৮ বছর পরে জাসদের জাতীয় কমিটির তথ্য ও গণ-সংযোগ বিষয়ক সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল - বাসদ প্রতিষ্ঠিত হয়।[৭][৮] তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাসদ থেকে আলাদা হয়ে বাসদের ছাত্র সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। দেশে তারা পরিচিত হয় বাসদ ছাত্রলীগ নামে। ১৯৮০ এবং ১৯৮২ সালে পরপর দুইবার বাসদ ছাত্রলীগের প্যানেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ - ডাকসু’র নির্বাচনে ভিপি এবং জিএস পদে জয়ী হয়।[৯] ১৯৮৩ সালে এই ছাত্রলীগের অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে পৃথক ও স্বতন্ত্র সাংগঠনিক অস্তিত্ব চিহ্নিত করার জন্য সংগঠনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৯৮৪ সালের ২১ ও ২২ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নাম পরিবর্তন করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নামে নামকরণ করা হয়।[২]
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠালগ্নে ঘোষণা দিয়েছিল শোষণ মুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, সেক্যুলার, বিজ্ঞানভিত্তিক, একই পদ্ধতির গণতান্ত্রিক শিক্ষার দাবিতে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন পরিচালনা করবে।[১০][১১]
২০১৩ সালের এপ্রিলে মতাদর্শিক বিতর্কের কারণে বাসদের ভাঙ্গনের ফলে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট দুইভাগে বিভক্ত হয়।[১২][১৩] এদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মূলধারা বাসদের ছাত্র সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে, বিছিন্ন একাংশ তখন নবগঠিত বাসদ (মার্কসবাদী) এর অধীনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নাম বহাল রেখেই ছাত্র রাজনীতি চলিয়ে যেতে থাকে।[১৪]
পরে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বাসদ (মার্কসবাদী) এর পুনরায় ভাঙ্গনের ফলে এর অন্তর্ভুক্ত ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আবারও দুই অংশে বিভক্ত হয়। সেসময় শুভ্রাংশু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নবগঠিত বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন (সিএমবি) অংশে যুক্ত হয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের তৃতীয় অংশ। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি এই অংশ নিজেদের সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল নামে আত্মপ্রকাশ করে। [১৫][১৬]
Remove ads
কেন্দ্রীয় কমিটি
সারাংশ
প্রসঙ্গ
সর্বশেষ ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঊনবিংশ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত ১৮ সদস্যবিশিষ্ট বিংশ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত হয়।[১৮] কাউন্সিলে মুক্তা বাড়ৈ সভাপতি, রায়হান উদ্দীন সাধারণ সম্পাদক ও সুহাইল আহমেদ শুভ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তারা যথাক্রমে ইডেন মহিলা কলেজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ১৯তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা হলেনঃ
- সভাপতি- মুক্তা বাড়ৈ
- সহ-সভাপতি- সুস্মিতা মরিয়ম
- সাধারণ সম্পাদক- রায়হান উদ্দিন
- সাংগঠনিক সম্পাদক- সুহাইল আহমেদ শুভ
- দপ্তর সম্পাদক- অনিক কুমার দাস
- অর্থ সম্পাদক- সুলতানা আক্তার
- প্রচার সম্পাদক- হারুন অর রশিদ
- স্কুল সম্পাদক- বিশ্বজিৎ নন্দী
- আন্তর্জাতিক সম্পাদক - রিনা মুরমু
সদস্য: ১.যুগেশ ত্রিপুরা, ২.ধনঞ্জয় বর্মন, ৩.লাবণী সুলতানা, ৪.আনোয়ারুল ইসলাম, ৫.ঋজু লক্ষী অবরোধ, ৬.বিজন সিকদা, ৭.মিরাজ উদ্দিন, ৮.রিদম শাহরিয়ার, ৯.খালেদা আক্তার।

Remove ads
ছাত্র রাজনীতিতে ভূমিকা

- ১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারি সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র গণআন্দোলনের সময় আত্নপ্রকাশ ও অংশগ্রহণ।[২০][২১]
- ১৯৮৬ সালে শিক্ষা রক্ষার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন
- ১৯৮৭ সালে সরকারি স্কুল কলেজে ছাত্র বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলন, বর্ধিত বাসভাড়াবিরোধী আন্দোলন, ২৮ জানুয়ারি সংগঠনের প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজন, ২২ ছাত্র সংগঠনের ঐক্য গড়া
- ১৯৮৮ সালের ২২ জুন ১০ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ পুনর্গঠন , স্বৈরশাসক এরশাদকর্তৃক সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর বিরোধিতা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্রীয় ধর্ম শীর্ষক সেমিনার আয়োজন
- ১৯৮৯ সালে ৯টি ছাত্র সংগঠনের ঐক্য গড়া
- ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠন, ২৮ জানুয়ারি সংগঠনের দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজন
- ১৯৯১ সালে ছাত্র আন্দোলনের নতুন জোট- গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্য গঠন
- ১৯৯২ সালে একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনের সম্পূরক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা এবং দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস প্রতিরোধে ইস্যুভিত্তিক ঐক্য- সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ছাত্রসমাজ গঠন , এপ্রিলে সংগঠিত প্রলয়ংকরী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
- ১৯৯৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সংগ্রামের প্রথম দশক এর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন
- ১৯৯৫ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন
- ১৯৯৯ সালের ১৬-২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি মিলনায়তনে ১০টি অধিবেশনে ১২৯ জন আলোচকের অংশগ্রহণে ৬ দিনব্যাপী শিক্ষা সম্মেলন আয়োজন
- ২০০০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও
- ২০০১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ৬ দফার ভিত্তিতে ঢাবিতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংহতি সমাবেশ, ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ইউজিসি ঘেরাও
- ২০০২ সালের ২০ জুলাই ৮ দফা দাবির সমর্থনে দেশের সমস্ত কলেজে প্রথম সফল ছাত্র ধর্মঘট পালন, বুয়েট ছাত্র আন্দোলন
- ২০০৩ সালের ২ এপ্রিল ঢাকার পল্টন ময়দানে জাতীয় কনভেনশন আয়োজন, ২৪ জুলাই ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় ছাত্র ধর্মঘট
- ২০০৪ সালের বন্যায় কেন্দ্রীয়ভাবে মোট দেড় লক্ষাধিক স্যালাইন প্রস্তুত করে দুর্গত এলাকায় বিতরণ এবং বন্যাপরবর্তীতে শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বিপন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ
- ২০০৬ সালে কৌশলপত্র বাতিলের দাবিতে ইউজিসি ঘেরাও , একমুখী শিক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন
- ২০০৭ সালে সিডর ও বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ-কার্যক্রম ও মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা, দু'লাখ প্যাকেট স্যালাইন তৈরি ও বিতরণ এবং বন্যাপরবর্তীতে শিক্ষা-উপকরণ সংগ্রহ ও বিতরণ ও কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ
- ২০০৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের রজতজয়ন্তী উদ্যাপন , ১২ মে ঢাবির টিএসসিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন আয়োজন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বিরোধী আন্দোলন , খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় জলোচ্ছ্বাস আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা, ত্রাণ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ
- ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত বেতন - ফি বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন , ৩০ মার্চ রজতজয়ন্তী বর্ষের সমাপনী কর্মসূচি পালন
- ২০১২ জাতীয় সংসদ ঘেরাও
- ২০১৩ সালে দেশব্যাপী গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে সক্রিয় অবস্থান, রানা প্লাজা ধ্বসে হতাহত শ্রমিকদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, ২৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও
- ২০১৪ সালে লড়াই সংগ্রামের তিন দশক পালন , ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণবিরোধী জাতীয় কনভেনশন আয়োজন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত বেতন - ফি বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ১০ জুলাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে মঞ্জুরী কমিশন ঘেরাও
- ২০১৬ সালের ২১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আয়োজন।[২২]
- ২০২২ সালের ২৬শে জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অষ্টাদশ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত ২২ সদস্যবিশিষ্ট ঊনবিংশ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত হয়।
- ২০২৩ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঊনবিংশ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
Remove ads
গণসংগঠন
শিশু কিশোর গণসংগঠন
- শিশু কিশোর মেলা
শিশু কিশোর মেলা নামে ত্রৈমাসিক সাময়িকী প্রকাশিত হয়।
বিজ্ঞান বিষয়ক গণসংগঠন
- বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ
বিজ্ঞান নামে ত্রৈমাসিক সাময়িকী প্রকাশিত হয়।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads