শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
সাতকানিয়া উপজেলা
চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
সাতকানিয়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা। এই উপজেলা ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।
Remove ads
অবস্থান ও আয়তন
সাতকানিয়া উপজেলার আয়তন ২৮২.৪০ বর্গ কিলোমিটার। ২২°০১´ থেকে ২২°১৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৭´ থেকে ৯২°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে এ উপজেলার অবস্থান।[৩] সাতকানিয়া উপজেলার উত্তরে চন্দনাইশ উপজেলা দক্ষিণে লোহাগাড়া উপজেলা এবং পূর্বে বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা, পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলা ও আনোয়ারা উপজেলা। সমতল ভূমি, পাহাড় ও সাঙ্গু নদী ও ডলু নদী দ্বারা বেষ্টিত সাতকানিয়া উপজেলা চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[৪]
Remove ads
নামকরণ ও ইতিহাস
ব্রিটিশ শাসনামলে প্রশাসনিক ও বিচার কাজের সুবিধার্থে এখানে আদালত ভবন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় বর্তমানে অবস্থিত সাতকানিয়া-বাঁশখালী আদালত ভবনের নামে জনৈক পেঠান নামক এক জমিদার ৭ কানি ভূমি (২৮০ শতক) সরকারকে দান করেন। তখন থেকে এ উপজেলার নাম সাতকানিয়া হয় মর্মে জনশ্রুতি আছে। উল্লেখ্য তখন থেকে বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত অংশ সাতকানিয়া সার্কেল নামে পরিচিত ছিল। সার্কেলকে উন্নীত করে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের স্বার্থে আলাদা উপজেলা তৈরি করা হয়। এর ফলে ১৯৮৩ সালে সাতকানিয়া উপজেলা একটি স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে পরিগণিত হয়।[৫]
Remove ads
প্রশাসনিক এলাকা
১৯১৭ সালে সাতকানিয়া থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।[৩] সাতকানিয়া উপজেলার আংশিক এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওতাভুক্ত।
এ উপজেলা ১টি পৌরসভা, ১৭টি ইউনিয়ন, ৭৫টি গ্রাম ও ৭৩টি মৌজার সমন্বয়ে গঠিত।[৪] সম্পূর্ণ সাতকানিয়া উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সাতকানিয়া থানার আওতাধীন।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাতকানিয়া উপজেলার লোকসংখ্যা ৪,৫৪,০৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,১৫,৮৪৭ জন এবং মহিলা ২,৩৮,২০৪ জন।[২] ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭%। মোট জনসংখ্যার ৮৯% মুসলিম, ১০% হিন্দু এবং ১% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ উপজেলায় মগ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা
সাতকানিয়া উপজেলার সাক্ষরতার হার ৮০.৮৪%।[২] এ উপজেলায় ৫টি কলেজ, ১টি কামিল মাদ্রাসা, ৪টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৫টি আলিম মাদ্রাসা, ২১টি দাখিল মাদ্রাসা, ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫টি রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৭টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪টি কওমী মাদ্রাসা ও ৪৪টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।[৪][৭]
স্বাস্থ্য
সাতকানিয়া উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১৩টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ৬টি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১টি দাতব্য চিকিৎসালয় ও ৪টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে।[৪]
অর্থনীতি
সারাংশ
প্রসঙ্গ
- প্রধান কৃষি ফসল
- শিল্প
আইস ফ্যাক্টরী (২৬টি), কাঠ শিল্প (১টি), চাল কল (১৯০টি), আটা কল (২০টি) এবং কল ঢালাই (৩৫টি)
- কুটিরশিল্প
বাঁশের (১৭৬৪টি), সেলাই (৫০০টি), পাট কাজ (৩০০টি), কাঠের কাজ (২৫৩টি), স্বর্ণকার (১৮০টি), কুমার (১৭৭টি), কামার (১৪৫টি), বয়ন (১৩১টি), কারচুপি কাজ (২৫টি), উলের কাজ (২০টি), থ্রেড (৩০টি), নকশী কণ্ঠ, মাছ ধরার জাল বুনন ইত্যাদি।
ব্যাংক
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জীবনীশক্তি হলো ব্যাংক এবং এই ব্যাংকগুলো দেশের মুদ্রাবাজারকে রাখে গতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে করে পরিশীলিত। সাতকানিয়া উপজেলায় অবস্থিত ব্যাংকসমূহের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো:
Remove ads
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সাতকানিয়া উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। এছাড়া এ উপজেলায় ১১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ১৩৪ কিলোমিটার আধা পাকা রাস্তা, ৪৫৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ও ৩৯ নটিক্যাল মাইল নৌপথ রয়েছে।[৪]
ধর্মীয় উপাসনালয়
সাতকানিয়া উপজেলায় ১০২৫টি মসজিদ, ১৮টি মাজার/দরগাহ, ৬১টি মন্দির ও ৮টি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে।[৩]
নদ-নদী
সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে সাঙ্গু নদী।[৩] এছাড়া রয়েছে ডলু নদী সহ আরো ৮টি ছোট-বড় নদী ও খাল৷
দর্শনীয় স্থান



- দর্শনীয় স্থানসমূহ হলো
- [৩৪]
- ডলু নদী
- মির্জাখীল দরবার শরীফ
- মক্কার বলীখেলার মাঠ
- সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- ছদাহা শৈলকূপ
- বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার
- উপজেলা শিশু পার্ক
- হলুদিয়া প্রান্তিক লেক
- আলিশা ডেসটিনি প্রজেক্ট
- কেঁওচিয়া বন গবেষণা প্রকল্প
- দরবারে আলিয়া গারাংগিয়া
- সাঙ্গু নদীর পাড় ও বৈতরণী-শীলঘাটার পাহাড়ী এলাকা
- আমিলাইশ বিল ও চরাঞ্চল
- মাহালিয়া জলাশয়
- সত্যপীরের দরগাহ
- ন্যাচারাল পার্ক
- দারোগা মসজিদ ও ঠাকুর দীঘি
- আনিস বাড়ি জামে মসজিদ
- তালতল নলুয়া রোড
- সোনাকানিয়া মঞ্জিলের দরগাহ
- মাদার্শা ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা
- মাঝের মসজিদ
- কাজীর জামে মসজিদ
- প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ[৩]
- দারোগা মসজিদ (সাতকানিয়া) (পঞ্চদশ শতাব্দী)
- ডেপুটি মসজিদ (সোনাকানিয়া) (পঞ্চদশ শতাব্দী)
- মূর্তি সংবলিত মুদ্রা ও ঠাকুর দীঘি (সাতকানিয়া) (ত্রয়োদশ শতাব্দী)
- কোতওয়াল দীঘি (সোনাকানিয়া) (ত্রয়োদশ শতাব্দী)
- শিবমন্দির (ঢেমশা)
- বোমং হাট গির্জা (বাজালিয়া)
- হিন্দুপাড়া মন্দির (কাঞ্চনা)
- আকবরবাড়ী জামে মসজিদ (১৬৮০সাল)
Remove ads
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী
- আশার প্রতীক
- মাসিক সাতকানিয়া লোহাগাড়া বার্তা
- সাপ্তাহিক মাইনী
- সাপ্তাহিক পূর্ববাংলা[৩]
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা
১৯৭১ সালে যুদ্ধের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান হানাদার মুক্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাতকানিয়া উপজেলাও পাকিস্তানি সেনা মুক্ত হয়। যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাতকানিয়ার ১৭৯জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে সাতকানিয়ার ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেন।[৩৫] ১৯৭১ সালের ৮ আগস্ট পাকিস্তানিরা সাতকানিয়া বাজার ও সতীপাড়া থেকে ১৭ জন লোককে ধরে নিয়ে হত্যা করে এবং দক্ষিণ সাতকানিয়ার বণিকপাড়ায় লুটপাট করে। এছাড়া, বেশকিছু বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগ করে। পরবর্তীতে পাকিস্তানি সেনারা ২৪ জন লোককে হত্যা করে।[৩]
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে এখানে রয়েছে একটি স্মৃতিফলক।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- আফজল আলী –- মধ্যযুগের বাঙালি কবি।
- ব্রজ বিহারী বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক।
- আ ফ ম খালিদ হোসেন –- ইসলামি পণ্ডিত, ধর্ম উপদেষ্টা।
- আবু ছালেহ –- সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা।
- আবুল ফজল –– প্রাক্তন উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
- আবুল মোমেন –- একুশে পদক প্রাপ্ত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
- আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন –– রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য।
- আব্দুল মোতালেব—রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য।
- আনোয়ারুল আজিম আরিফ –– শিক্ষাবিদ ও উপাচার্য
- আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন –- একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য
- আসিফ ইকবাল –- বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব।
- আস্কর আলী পণ্ডিত - বাঙালি লোককবি, প্রাচীন পুঁথি রচয়িতা ও গীতিকার
- ইব্রাহিম বিন খলিল –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা।
- এম. সিদ্দিক –- রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।
- কামিনীকুমার ঘোষ –– শিক্ষাবিদ।
- ডাঃ বি এম ফয়েজুর রহমান –- রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।
- বিমল গুহ –– কবি ও লেখক।
- মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ – ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাক্তন উপাচার্য
- মো. আবু তাহের - বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ
- শামসুল ইসলাম –– রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
- শাহজাহান চৌধুরী –– রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
- সুকোমল বড়ুয়া –– একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ।
জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন
- উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads