শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
বাংলাদেশি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (জন্ম: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯, যিনি ব্যারিস্টার সুমন নামে অধিক পরিচিত) একজন বাংলাদেশী আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তিনি হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।[৩] তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ সালে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পীরবাজার নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ এরশাদ আলী ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং তার মা আম্বিয়া বেগম চৌধুরী হলেন গৃহিণী। বাবা-মায়ের ৬ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
স্থানীয় কেজি স্কুলে তার শিক্ষার হাতে খড়ি। তারপর দক্ষিণা চরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (ডিসিপি হাইস্কুল) থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ (অনার্স) ও এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।পরবর্তীতে ইংল্যান্ডে গিয়ে আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন এবং লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার এট ল' ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার একজন আইনজীবী, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। এই দম্পতির ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
Remove ads
কর্মজীবন
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটর ছিলেন, এই পদ থেকে তিনি ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলীকে ৯৯ হাজার ৫৫৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিজয়ী হন।[৪][৫]
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৬][৭][৮]
সমালোচনা
শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগের কয়েকদিন ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিরুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিশেষ করে ৪ আগস্ট ২০২৪ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের উদ্দেশে দেওয়া সুমনের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সুমন নিজেকে নিজেকে শেখ হাসিনার দালাল বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন।[৯]
আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে ৫০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন।[১০]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মিরপুর মডেল থানার মামলায় মামলায় সুমনকে ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলায় তিনি ৫ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।[১১][১২] বিদেশ থেকে মানুষজনের কাছ থেকে টাকা এনে এলাকায় কয়েকটা ব্রিজ বানিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।[১৩] সুমনের জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় আয় ৭ লাখ হলেও ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার গাড়ি কেনেন।[১৩]
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads