শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

হুয়ান মাতা

স্প্যানিশ ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

হুয়ান মাতা
Remove ads

হুয়ান মানুয়েল মাতা গার্সিয়া (স্পেনীয়: Juan Mata, স্পেনীয় উচ্চারণ: [xwam ˈmata]; জন্ম: ২৮ এপ্রিল ১৯৮৮; হুয়ান মাতা নামে সুপরিচিত) হলেন একজন স্পেনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...

১৯৯৮–৯৯ মৌসুমে, মাত্র ১০ বছর বয়সে, স্পেনীয় ফুটবল ক্লাব রেয়াল ওভিয়েদোর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে মাতা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৬–০৭ মৌসুমে, স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি মাত্র এক মৌসুম অতিবাহিত করেছেন। অতঃপর ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি বিনামূল্যে ভালেনসিয়ায় যোগদান করেছেন, এই দলের হয়ে তিনি ২০০৭–০৮ কোপা দেল রেই-এর শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ভালেনসিয়ার হয়ে প্রথম মৌসুমেই তিনি ক্লাবের সেরা যুব খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। ভালেনসিয়ায় ৪ মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইংরেজ ক্লাব চেলসির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ১৩৫ ম্যাচে ৩৩টি গোল করেছেন। ২০১৩–১৪ মৌসুমে, তিনি প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে চেলসি হতে আরেক ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।

২০০৪ সালে, মাতা স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে স্পেনের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৪ বছর যাবত স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৯ সালে স্পেনের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; স্পেনের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৪১ ম্যাচে ১০টি গোল করেছেন। তিনি স্পেনের হয়ে এপর্যন্ত ২টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১০ এবং ২০১৪), উয়েফা ইউরো ২০১২ এবং ২টি ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে (২০০৯ এবং ২০১৩) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০১০ এবং ২০১২ সালে ভিসেন্তে দেল বোস্কের অধীনে ফিফা বিশ্বকাপ এবং উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন।

ব্যক্তিগতভাবে, মাতা বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় এবং টানা দুই মৌসুম চেলসির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অন্যতম।[][] দলগতভাবে, মাতা এপর্যন্ত ১২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১টি ভালেনসিয়ার হয়ে, ৩টি চেলসির হয়ে, ৪টি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এবং ৪টি স্পেনের হয়ে জয়লাভ করেছেন।

Remove ads

প্রারম্ভিক জীবন

হুয়ান মানুয়েল মাতা গার্সিয়া ১৯৮৮ সালের ২৮শে এপ্রিল তারিখে স্পেনের বুর্গোসে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবল

সারাংশ
প্রসঙ্গ

মাতা স্পেন অনূর্ধ্ব-১৬, স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭, স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯, স্পেন অনূর্ধ্ব-২০, স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ এবং স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে তিনি পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০০৬ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন,[] উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে তার দল স্কটল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উক্ত প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।[][] এই আসরে তিনি ৫ ম্যাচে ৪ গোল করেছেন।[] এক বছর পর তিনি ২০০৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন,[] তবে উরুগুয়ে এই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল। মাতা এই আসরে ৪ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন।[] ২০১১ সালে তিনি স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে হয়ে ২০১১ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন,[] উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে তার দল সুইজারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলকে ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উক্ত প্রতিযোগিতার ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।[১০][১১] এই আসরে তিনি ৫ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন।[১২] মাতা লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য ২০১২ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে স্থান পেয়েছিলেন;[১৩][১৪][১৫] যেখানে তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।[১৬] স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৪৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ২৩টি গোল এবং ২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন।

২০০৯ সালের ২৮শে মার্চ তারিখে, মাত্র ২০ বছর ১১ মাস বয়সে, বাম পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী মাতা তুরস্কের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে স্পেনের হয়ে অভিষেক করেছেন।[১৭] উক্ত ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় দাভিদ ভিয়ার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন; ম্যাচে তিনি ৬ নম্বর জার্সি পরিধান করেছেন।[১৮] ম্যাচটি স্পেন ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[১৯] জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ৫ মাস ১২ দিন পর, স্পেনের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ৯ই সেপ্টেম্বর তারিখে, এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।[২০][২১][২২] স্পেনের হয়ে অভিষেকের বছরে মাতা সর্বমোট ৭ ম্যাচে ৩টি গোল করেছেন।

মাতা দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ভিসেন্তে দেল বোস্কের অধীনে ঘোষিত স্পেন দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[২৩][২৪] ২০১০ সালের ২১শে জুন তারিখে, তিনি হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন,[২৫][২৬][২৭] যা উক্ত বিশ্বকাপে তার একমাত্র ম্যাচ ছিল।[২৮] এই আসরের ফাইনাল স্পেন নেদারল্যান্ডসকে অতিরিক্ত সময়ে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে।[২৯] অতঃপর মাতা ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য প্রকাশিত স্পেনের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[৩০][৩১][৩২] ২০১৪ সালের ২৩শে জুন তারিখে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি ফিফা বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলটি করেছেন।[৩৩][৩৪][৩৫] বিশ্বকাপের এই আসরেও তিনি মাত্র এক ম্যাচে অংশগ্রহণ করলেও ১টি গোল করেছেন।[৩৬]

Remove ads

পরিসংখ্যান

আন্তর্জাতিক

২৮ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
আরও তথ্য দল, সাল ...

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads