শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপ
সুইডেনের আয়োজিত ৬ ষ্ঠ তম ফিফা বিশ্বকাপ আসর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: 1958 FIFA World Cup) সুইডেনে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ৬ষ্ঠ আসর যা ১৯৫৮ সালের ৮ থেকে ২৯ জুন তারিখ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চূড়ান্ত খেলায় স্বাগতিক সুইডেনকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে পরাভূত করে ব্রাজিল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ বিজয়ী হয়।
স্মর্তব্য যে, এ জয়ের ফলে অদ্যাবধি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের কোন দল ইউরোপ থেকে বিশ্বকাপ জয় করে; কিন্তু ইউরোপের কোন দল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বিশ্বকাপ জয় করতে পারেনি। এরপরও ব্রাজিল ফুটবল দলটি আরও চারবার - ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
Remove ads
স্বাগতিক দেশ নির্ধারণ
আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো এবং সুইডেন প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক দেশ হবার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করে।[১] সুয়েডীয় প্রতিনিধি দল অন্যান্য দেশসমূহের সাথে আলোচনা করে ১৯৫০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতাকালীন অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসে তাদের দেশে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ব্যক্ত করে।[১] ২৩ জুন, ১৯৫০ সালে অন্য কোন দলের তরফে বাঁধা না পাওয়ায় ফিফা কর্তৃপক্ষ সুইডেনকে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[২]
Remove ads
অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
স্বাগতিক সুইডেন এবং পূর্বতন চ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানি বিশ্বকাপের মূল খেলায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বাকী ১৪ দল নির্ধারণে - ইউরোপ থেকে ৯টি, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৩টি, উত্তর/মধ্য আমেরিকা থেকে ১টি এবং এশিয়া/আফ্রিকা থেকে ১টি করে বরাদ্দ রাখা হয়।
প্রথমবারের মতো সোভিয়েত ইউনিয়ন অংশগ্রহণ করে। যুক্তরাজ্যের ৪টি দেশ - ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড অংশ নেয়। ইউরোপীয় অঞ্চলের গ্রুপ খেলায় ওয়েলস চেকোস্লোভাকিয়ার পরের স্থান দখল করে। ফলে প্লে-অফ ম্যাচে তাদেরকে ইসরায়েলের মুখোমুখি হতে হয়। অন্যদিকে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং সুদান তাদের গ্রুপে ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ইসরায়েল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। কিন্তু ফিফার নিয়মে তাদেরকে কমপক্ষে একটি খেলায় অংশ নিতে হয় যা পূর্বেকার বেশ কয়েকটি বিশ্বকাপ ফুটবলে এ ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ওয়েলস প্লে-অফ ম্যাচে ইসরায়েলকে হারিয়ে মূল পর্বে উত্তরণ ঘটায়।
৮ ফেব্রুয়ারি সোলেনায় লেনার্ট হেল্যান্ড এবং সেন জেরিং যোগ্যতা অর্জনকারী দলগুলোকে নিয়ে ৪ গ্রুপে বিভক্ত করে দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরেন। এতে কোন বাছাই ছিল না। প্রত্যেক গ্রুপেই একটি করে - পশ্চিম ইউরোপ, পূর্ব ইউরোপ, ব্রিটিশ দল এবং আমেরিকা মহাদেশের দল অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৩]
ভৌগোলিকভিত্তিতে বিভাগ করায় কর্তৃপক্ষকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে অস্ট্রিয়ার পক্ষ থেকে এ দাবী উত্থাপন করা হয়। দলটিকে অন্যান্য তিনটি বিভাগের শক্তিশালী দলের বিপক্ষে অংশ নিতে হয়।[৪]
Remove ads
মাঠ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
সফলভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্যে স্বাগতিক দেশের ১২টি শহর নির্ধারিত হয়। ফিফার গঠনতন্ত্রে প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্যে কমপক্ষে ২০,০০০ আসনবিশিষ্ট ৬টি স্টেডিয়ামের প্রয়োজন।[৫] যদি ডেনমার্ক দল খেলায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারতো, তাহলে আয়োজকরা ডেনমার্কের গ্রুপ পর্যায়ের খেলাগুলো কোপেনহেগেনের ইডরায়েতস্পার্কেন এলাকায় আয়োজনের চিন্তাধারা করেছিলেন।[৫] কিন্তু দলটি বাছাই-পর্বেই বাদ পড়ে যায়।[৫] উল্লেভি এবং মালমো স্ট্যাডিওন পুণঃনির্মাণে অর্থসঙ্কট পড়ায় আয়োজকরা কোপেনহেগেন এবং অসলোতে স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।[৬]
- কিছু খেলায় মাঠের প্রকৃত ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত আসন ছিল।
ফলাফল
সারাংশ
প্রসঙ্গ
গ্রুপ পর্ব
গ্রুপ-১
- উত্তর আয়ারল্যান্ড প্লে-অফ ম্যাচে চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে জয়লাভ করে
আর্জেন্টিনা পোশাক পরিবর্তন করতে ভুলে যায় এবং স্বাগতিক দেশের আইএফকে মালমো দলের হলুদ পোশাক পরিধান করে খেলতে নামে।[১১]
প্লে-অফ
গ্রুপ-২
- গোল পার্থক্যে ফ্রান্স যুগোস্লাভিয়াকে পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করে।
ইদ্রোতস্পার্কেন, নরকপিং
দর্শক সংখ্যা: ১৬,৫০০
রেফারি: গার্দিয়াজাবাল (স্পেন)
আইরাভলেন, ওরব্রো
দর্শক সংখ্যা: ১৩,৫০০
রেফারি: ব্রোজ্জি আর্জেন্টিনা)
টুনাভলেন, এসকিলস্তুনা
দর্শক সংখ্যা: ১২,০০০
রেফারি: ম্যাকো (চেকোস্লোভাকিয়া)
গ্রুপ-৩
- ওয়েলস প্লে-অফ ম্যাচে হাঙ্গেরীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করে পরবর্তী পর্বে উত্তীর্ণ হয়।
জার্নভ্যালেন, স্যান্ডভিকেন
দর্শক সংখ্যা: ২০,০০০
রেফারি: কোডস্যাল উরুগুয়ে)
প্লে-অফ
রাসুন্দা স্ট্যাডিয়াম, সোলনা
দর্শক সংখ্যা: ২০,০০০
রেফারি: লাতিচেভ সোভিয়েত ইউনিয়ন)
গ্রুপ-৪
- ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচে জয়ী হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী পর্বে উঠে।
রিমনার্সভ্যালেন, ওদ্দেভালা
দর্শক সংখ্যা: ১৭,৭৭৮
রেফারি: গুইগ (ফ্রান্স)
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম গোলবিহীন ড্র হয়।[১৩]
রিয়াভ্যালেন, বোরাস
দর্শক সংখ্যা: ১৫,৮৭২
রেফারি: ব্রোঙ্কহর্স্ট (নেদারল্যান্ড)
প্লে-অফ
নক আউট পর্ব
কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||||
১৯ জুন – মালমো | ||||||||||
![]() |
১ | |||||||||
২৪ জুন - গোটেনবার্গ | ||||||||||
![]() |
০ | |||||||||
![]() |
১ | |||||||||
১৯ জুন - সোলনা | ||||||||||
![]() |
৩ | |||||||||
![]() |
২ | |||||||||
২৯ জুন – সোলনা | ||||||||||
![]() |
০ | |||||||||
![]() |
২ | |||||||||
১৯ জুন - নরকপিং | ||||||||||
![]() |
৫ | |||||||||
![]() |
৪ | |||||||||
২৪ জুন – সোলনা | ||||||||||
![]() |
০ | |||||||||
![]() |
২ | তৃতীয় স্থান | ||||||||
১৯ জুন - গোটেনবার্গ | ||||||||||
![]() |
৫ | |||||||||
![]() |
১ | ![]() |
৩ | |||||||
![]() |
০ | ![]() |
৬ | |||||||
২৮ জুন - গোটেনবার্গ | ||||||||||
কোয়ার্টার-ফাইনাল
সেমি-ফাইনাল
রাসুন্দা স্ট্যাডিয়াম, সোলনা
দর্শক সংখ্যা: ২৭,০০০
রেফারি: বেঞ্জামিন গ্রিফিথস (ওয়েলস)
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী
ফাইনাল
রাসুন্দা স্ট্যাডিয়াম, সোলনা
দর্শক সংখ্যা: ৫১,৮০০
রেফারি: মরিস গুইগ (ফ্রান্স)
Remove ads
শীর্ষ গোলদাতা
- ১৩
জ্য ফন্তেইন
- ৬
পেলে;
হেলমুট রন
- ৫
ভাভা;
পিটার ম্যাকপারল্যান্ড
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads