শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ২৩ মার্চ ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্নেসবার্গের ওয়ান্ডারারস স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৪৮ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কেনিয়াকে ৯১ রানে হারিয়ে ভারত ফাইনালে পৌছায়। ফাইনাল ম্যাচের দিন ভারতের অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি টস জিতে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেন। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিং-এর অপরাজিত ১৪০ এবং ডেমিয়েন মার্টিনের অপরাজিত ৮৮ রানে ২৩৪ রানের পার্টনারশিপে অস্ট্রেলিয়া করে ৩৫৯ রান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩৯.২ ওভারে ২৩৪ রান করতেই ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এতে অস্ট্রেলিয়া ভারতে ১২৫ রানে হারিয়ে জিতে নেয় তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি। এটা তাদের পর পর দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি। পন্টিং ম্যান অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হোন আর ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হোন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান তোলা শচীন টেন্ডুলকার ( ভারত)।
Remove ads
বিন্যাস
২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছিল ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত অষ্টম বিশ্বকাপ। ২০০৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি- ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত এই ওডিআই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। এটা আফ্রিকায় প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ।[১] এ বিশ্বকাপেই সর্বোচ্চ ১৪ টি দল অংশগ্রহণ করে যার ১০ টি টেস্ট মর্যাদার দেশ আর বাকী ৪টির মধ্যে ৩টি দল সহযোগী দেশগুলো থেকে ২০০১ আইসিসি ট্রফি খেলে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করা দেশ। আর কেনিয়া ওডিআই মর্যাদের কারণে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[২]
১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফরম্যাটেই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হয়। ১৪টি দলকে সাতটি করে ২টি পুলে ভাগ করা হয়। প্রত্যেক পুলের সেরা তিন দল নিয়ে ছয় দলের সুপার সিক্স পর্ব আয়োজন করা হয় যা ১৯৯৯ বিশ্বকাপেই প্রথম চালু হয়। আগের ২ পুল থেকে সুপার সিক্সে আসা প্রত্যেক দল অন্য পুলের ৩ টি দলের প্রত্যেকের সাথে একটি করে ম্যাচ খেলে। এখান থেকে সেরা চারটি দল সেমিফাইনালে যায় এবং সেমিফাইনালের বিজয়ী দল দুইটি নিয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টে সর্বোমোট ৫৪ ম্যাচ খেলা হয়।[৩]
Remove ads
ফাইনালের পথে
সারাংশ
প্রসঙ্গ
গ্রুপ পর্ব

অস্ট্রেলিয়া ও ভারত দুই দলই টুর্নামেন্টে ছিল পুল-"এ"তে । অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ পর্বের ইংল্যান্ড বিপক্ষে ছাড়া সব ম্যাচ সহজেই জিতে নেয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৫ রানেই ৮ উইকেট চলে গিয়েছিল।[৪] অন্য ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারালেও এন্ড্রু সাইমন্ডসের ১২৫ বলে ১৪৩ রানের সুবাদে ৩১০ রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া।[৪] অপরদিকে ভারতের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। প্রথম ম্যাচেই হল্যান্ডের বিপক্ষে শচীনের অর্ধশতের পরেও ২০৪ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে হল্যান্ড ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায়।[৫] ম্যাচ জিতেও ভারতীয় ব্যাটিং সমালোচিত হয়।[৬] পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় এবং ৮ উইকেটে হেরে যায় ম্যাচটি। এতে ক্ষুদ্ধ ভারতীয়রা মোহাম্মদ কাইফের বাড়িতে এবং রাহুল দ্রাবিডের গাড়ি ভাংচুর করে। এতে শচীন সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে শান্ত হতে ও ধৈর্য ধরতে বলেন। ভারত পরের চারটি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, নামিবিয়া ও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে পুলের দ্বিতীয় দল হয়ে সুপার সিক্স পর্বে উঠে।[৭] পুল "বি" থেকে, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া ও নিউজিল্যান্ড সুপার সিক্সের যোগ্যতা অর্জন করে।[৪]
সুপার সিক্স পর্ব
সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া রিকি পন্টিং-এর অপরাজিত ১১৪ এবং গিলক্রিস্টের ৯৯ রানে ৫ উইকেটে ৩১৯ রান তুলে। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৭.৪ ওভারে ২২৩ রান তুলতে পারে। ডি সিলভা ৯২ রান করেন এবং ব্রেট লি ৩ উইকেট নেন।[৮] পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। এ ম্যাচে শন বন্ড ২৩ রানে ৬ উইকেটে নিলে এক পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৮৪। তারপরেও মাইকেল বেভান ও এন্ড্রু বিকেল অস্ট্রেলিয়াকে ২০৮ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। জবাবে ব্রেট লিয়ের ৪২ রানে ৫ উইকেটের সুবাদে নিউজিল্যান্ড ১১২ রান করে। অস্ট্রেলিয়া ৯৬ রানে জিতে যায়।[৯] এ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কেনিয়াকে ১৭৪ রানে অলআউট করে দিয়ে ৫ উইকেটে জিতে যায়।[১০]
ভারত প্রথম ম্যাচে কেনিয়াকে হারায়। কেনিয়া টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২২৫ করে। জবাবে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারালেও গাঙ্গুলীর অপরাজিত ১০৭ এবং যুবরাজ সিংহের অপরাজিত ৫৮ রানে ম্যাচ জিতে যায়।[১১] পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৮৩ রানের ব্যবধানে হারায়।[১২] নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে বোলিং নেয় এবং জহির খানের ৪২ রানে ৪ উইকেটের সুবাদে ১৪৬ রানে আটকে রাখে নিউজিল্যান্ডকে। জবাবে ২১ রানে ৩ উইকেট ভারত। পরে দ্রাবিড ও কাইফ জুটি ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে আসে।[১৩]
সেমিফাইনাল
প্রথম সেমিফাইনাল
১৮ মার্চের পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্ক-এ অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কার। অস্ট্রেলিয়া টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১২ রান করতে পারে। সাইমন্ড করে অপরাজিত ৯১ এবং চামিন্দা ভাস ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন।[১৪] ২১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায়। এরপর বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৮.১ ওভারে ১৭২। কিন্তু সাংগাকারা ও ভাসের অষ্টম উইকেটে ৪৭ রানের জুটির পরেও ১২৩ রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জিতে গিয়ে ফাইনালে উঠে।[১৫]
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল
২০ মার্চের ডারবানের কিংসমেড স্টেডিয়ামে ভারত ও কেনিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। কেনিয়া প্রথম অ-টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলতে নামে।[১৬][১৭] ভারত টস জিতে ৪ উইকেটে ২৭০ করতে পারে। গাঙ্গুলী করেন অপরাজিতে ১১১ এবং শচিন করে ৮৩।[১৮] জবাবে কেনিয়া ৪৬.২ ওভারে ১৭৯ রান করে। অধিনায়ক স্টিভ টিকলো করেন সর্বোচ্চ ৫৬ রান। জহির খান নেন ১৪ রানে ৩ উইকেট। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হোন সৌরভ গাঙ্গুলী।[১৯]
Remove ads
ফাইনালের পূর্বের হিসেব-নিকাশ
টুর্নামেন্টের পূর্বে নিজেদের ১৮ ম্যাচের ১৫টিই জেতা অস্ট্রেলিয়াই ছিল ট্রফির জন্য ফেভারিট।[২০] এছাড়া তারা আগের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ জয়ী দল। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ছাড়াও ১৯৮৭ বিশ্বকাপেও জয়ী দল অস্ট্রেলিয়া। ভারত এর আগে ১৯৮৩ তে একবার বিশ্বকাপ জেতে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারত ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে এবং নিউজিল্যানড সফরেও বাজেভাবে হারে।[৭][২১] অস্ট্রেলিয়া টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত অপরাজিত এবং ভারত টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে গ্রুপ পর্বে হেরে যায়।[২২]
এ ফাইনালের আগে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়া ৮ ম্যাচের ছয়টিতেই অস্ট্রেলিয়া জেতে।[২৩] ফাইনালের আগেরদিন পন্টিং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, "তারা আরেক ধাপ উপরে উঠার চেষ্টা করবেন"।[২২] টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের মালিক শচীনের উপর ভারতীয়দের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি।[৪]
ফাইনাল
সারাংশ
প্রসঙ্গ
সারসংক্ষেপ
২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ২৩ মার্চ ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্নেসবার্গের ওয়ান্ডারারস স্টেডিয়ামে। গাঙ্গুলী টস জিতে প্রথমে বোলিং নেয়। সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামে ভারত। একাদশ থেকে বাদ পড়েন লেগ স্পিনার কুম্বলে।[৭] জহির খান ও শ্রীনাথ ওপেনিং-এ বল করেন। অস্ট্রেলিয়া ওপেনাররা আক্রমণাত্বকভাবেই শুরু করেন। প্রথম ওভারেই নেন ১৫ রান।[২৪] বিশেষ করে গিলক্রিস্ট জহির ও শ্রীনাথ দুজনের উপরই চড়াও হন। মাত্র ৪০ বলে ৫০ রান করে ফেলেন। গাঙ্গুলী ১০ম ওভারেই স্পিনার নিয়ে আসেন। গিলক্রিস্ট কিছুটা ধীরে খেলেন এরপরে। চতুর্থ ওভারে হরভজন সিং এর বলে গিলক্রিস্ট অতিরিক্ত বাউন্সে পরাজিত হয়ে শেভাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।[২৪] এর আগেই হেইডেনকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়েন।[২৫] কিছু পরে হেইডেন ৫৪ বলে ৩৭ করে হরভজনের বলে আউট হন। ২০ ওভারে সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেতে ১২৫।[২৪] হেইডেনের আউটে ক্রিজে মার্টিনের সংগে যোগ দেন পন্টিং। বলে বলে রান নিয়ে মার্টিন ৪৬ বলে ৫০-এ পৌঁছালেও[২৫] পন্টিং কিছুটা ধীরে খেলেন এবং অর্ধশত পূর্ণ করতে খেলেন ৭৪ বল। এরপরেই পন্টিং আক্রমণ করেন ভারতীয় বোলারদের। হরভজনের ওভারে মারেন ২টি ছয় এবং আশিস নেহরার বলে এক হাতেই ছয় মারেন।[২৫] এ জুটি ১০৯ বলে ১০০ রান যোগ করেন। পন্টিং পরের অর্ধশত পূর্ণ করেন মাত্র ২৯ বলে এবং সেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৫৯ রান। পন্টিং ১২১ বলে আট ছয় ও চার চারের মাধ্যমে ১৪০ করে অপরাজিত থাকেন। পন্টিং-এর এ ইনিংস ফাইনালে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।[২৬] মার্টিং ৮৪ বলে সাত চার ও ১ ছয়ে ৮৪ বলে ৮৮ করে অপরাজিত থাকেন। আর এটাই ফাইনালে ২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। পন্টিং ও মার্টিনের ২৩৪ রানের জুটিই তখন পর্যন্ত ওডিআইতে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড জুটি।ভারতীয় বোলাররা অতিরিক্ত ৩৭ রান দেয়। শ্রীয়াথ ৮৭ রান দিয়েও উইকেটশূন্য থাকেন এবং এটাই ছিল তার শেষ ম্যাচে।[২৪]
জবাবে ভারতের হয়ে ব্যাট করতে আসেন শচীন ও শেভাগ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং শুরু করেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মারলেও পরেও বলেই আউট হয়ে যান শচীন।[২৪] ক্রিজে আসেন গাঙ্গুলী। দশম ওভারে গাঙ্গুলী ব্রেট লির বলে আউট হওয়ার আগে গাঙ্গুলী-শেভাগ জুটি করেন ৫৪ রান। এরপর ব্যাট করতে আসেন কাইফ। একই ওভারে কাইফও আউট হয়ে গেলে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেতে ৫৯ রান। তারপর দ্রাবিড় ও শেভাগ ১৭ ওভার পর্যন্ত ধীরেই রান তোলেন।[২৭] ১৭ ওভারে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০৩।[২৪] এসময় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার খেলা শুরু হলে পন্টিং স্পিন এটাক নিয়ে আসেন- ব্রাড হজ ও ডেরেন লেহম্যানকে দিয়ে। শেভাগ দুজনের উপরেই চড়াও হন। অন্যদিক থেকে শেভাগকে সংগ দিতে থাকেন দ্রাবিড়। তবে ৮১ বলে ৮২ রান তুলেই শেভাগ আউট হলে পরপরই দ্রাবিড়ও আউট হয়ে যান ৫৭ বলে ৪৭ করে।[২৪] এরপর ভারত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩৯.২ ওভারে ২৩৪ রান করতে পারে। যুবরাজ সিং( ২৪) ও দিনেস মংগিয়া(১২) ছাড়া কেউই আর দুই অঙ্কের ঘরে পৌছাতে পারে নি।[২৪] ভারতকে বিশাল ১২৫ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতে নেয়[২৮] আর এটা সব মিলিয়ে তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়।[২৯] অপরাজিত ১৪০ রানের জন্য ম্যান অব দ্য ফাইনাল হল রিকি পন্টিং।[৩০]
স্কোরকার্ড
- ১ম ইনিংস
উইকেটের পতন: ১–১০৫ (গিলক্রিস্ট, ১৩.৬ ও), ২–১২৫ (হেইডেন, ১৯.৫ ও)
- ২য় ইনিংস
উইকেটের পতন: ১–৪ (শচীন, ০.৫ ও), ২–৫৮ (গাঙ্গুলী, ৯.৫ ও), ৩–৫৯ (কাইফ, ১০.৩ ও), ৪–১৪৭ (শেভাগ ২৩.৫ ও), ৫–১৮৭ (দ্রাবিড় ৩১.৫ ও), ৬–২০৮ (যুবরাজ সিং ৩৪.৫ ও), ৭–২০৯ (মঙ্গিয়া (৩৫.২ ও), ৮–২২৩ (হরভজন ৩৭.১ ও), ৯ –২২৬ (শ্রীনাথ ৩৮.২ ও), ১০–২৩৪ (খান ৩৯.২ ও)
ম্যাচের কর্মকর্তা
- মাঠ আম্পায়ার: স্টিভ বাকনর (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) এবং ডেভিড শেফার্ড (ইংল্যান্ড)
- তৃতীয় আম্পায়ার: রুডি কার্টজেন (দক্ষিণ আফ্রিকা)
- ম্যাচ রেফারি : রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা)
- অতিরিক্ত রেফারি: বিলি বাউডেন (নিউজিল্যান্ড)
Remove ads
ম্যাচ পরবর্তী হিসেবনিকেশ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে, পন্টিং বলেন, ভারত ম্যাচ জেতার মত কোন লক্ষণই দেখাতে পারে নি। নিজেদের জয়ের ব্যাপারে বলেন, "এমন না যে অস্ট্রেলিয়া অন্যদের থেকে এগিয়ে বরং অস্ট্রেলিয়া এভাবেই খেলে"। আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত টুর্নামেন্টের সেরা দুটি দল এবং ভারত ফাইনাল খেলার যোগ্য।[২২]
গাঙ্গুলীর প্রথমে বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্ত মিডিয়া কর্তৃক সমালোচিত হয়; নিউ ইয়র্ক টাইমস, "বুমেরাং"।[২৯][৩২] সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ইমরান খান ভারতের একাদশ নিয়েও সমালোচনা করেন। ভারতের কুম্বলেকে খেলানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন।[৩৩] নিজের সিদ্ধান্তের সমর্থনে বলতে গিয়ে গাঙ্গুলী বলেন, "পিচ দেখে বোলারদের সহায়ক মনে হয়েছিল কিন্তু তারা তা ব্যবহার করতে পারে নি"। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে কৃতিত্ব দেন এবং বলেন,"তারা চ্যাম্পিয়নের মতই খেলেছে"।[৩৪]
চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অস্ট্রেলিয়া পায় $২,০০০,০০০ ইউএস ডলার আর রানারআপ ভারত পায় $৮০০,০০০ ইউএস ডলার।[১৬][৩৫] শচীন সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৬৭৩ রান করে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হন।[৪] পন্টিং-এর ১৪০ রানের ইনিংসটি রেডিফ-এর বিবেচনায় টুর্নামেন্টের সেরা ইনিংস নির্বাচিত হয়।[৩৬] শচীন ও হেইডেন উইজডেন ক্রিকেটার্স এলমানাকের ভারতীয় সংস্করণের সেরা বিশ্বএকাদশে জায়গা করে নেন।[৩৭] ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া এবং ফাইনালে ৮৭ রান দেয়া শ্রীনাথ কয়েকমাস পরেই অবসর নিয়ে নেন।[৩৮] এই ম্যাচ ভারতের কোচ জন রাইটের সাথে বোর্ডের চুক্তির অবসান ঘটায়।[৩৯] তবে তার অনুরোধে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাকে ফিরিয়ে আনে এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[৪০][৪১]
Remove ads
আরও দেখুন
- ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত
- ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকা
তথ্যসূত্র
উৎস
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads