শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ভারতের জাতীয় প্রতীক
ভারত জাতীয় প্রতীক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ভারতের জাতীয় প্রতীক, হল অশোকের সিংহচতুর্মুখ স্তম্ভশীর্ষের একটি রূপান্তর। আনুমানিক ২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, সম্রাট অশোকের শাসনকালে বারাণসীর কাছে সারনাথে একটি অশোক স্তম্ভের শীর্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। অশোক স্তম্ভটি স্বস্থানে রাখা হলেও স্তম্ভশীর্ষটিকে বর্তমানে সারনাথ সংগ্রহালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।[১] ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে, অশোকের সিংহচতুর্মুখ স্তম্ভশীর্ষের একটি প্রতিরূপ প্রথমে ভারত অধিরাজ্যের প্রতীক হিসাবে গৃহীত হয়েছিল।[২] প্রতীকটির বর্তমান প্রতিরূপটি ২৬শে জানুয়ারী ১৯৫০ সালে, আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছিল। সেদিন ভারত প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র ঘোষিত হয়েছিল।[৩]

Remove ads
ইতিহাস
ভারতের সংবিধানের মূল অনুলিপিটি সুন্দর করার কাজের দায়িত্বটি কংগ্রেস নন্দলাল বসুকে (সেই সময় শান্তিনিকেতনের কলা ভবনের অধ্যক্ষ ছিলেন) দেয়। [৪][৫] নন্দলাল বসু তাঁর ছাত্রদের সহায়তায় এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুত হন, এদের মধ্যে একজন দীননাথ ভার্গব ছিলেন একুশ বছরের এক ছাত্র।[৬] সংবিধানের শুরুর পাতায় সারনাথের অশোকের সিংহচতুর্মুখ স্তম্ভশীর্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে নন্দলাল বসু খুব আগ্রহী ছিলেন। তিনি আরও চেয়েছিলেন, সিংহদের যেন খুব বাস্তব দেখায়। সুতরাং, সিংহগুলির নকশা করার জন্য তিনি ভার্গবকে বেছে নিয়েছিলেন। সিংহ এবং তাদের বিশেষ ধরন সম্পর্কে অধ্যয়ন করার জন্য ভার্গব এক মাস ধরে প্রতিদিন শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতা চিড়িয়াখানায় যাতায়াত করতেন। এরপরে তিনি নন্দলালকে তাঁর প্রাথমিক আঁকাগুলি দেখিয়েছিলেন। নন্দলাল এরপর সংবিধানে সিংহচতুর্মুখ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[৭] ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসাবে গৃহীত হয়েছিল।[৮]
Remove ads
ব্যবহার এবং বিবরণ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ভারত সরকারের দাপ্তরিক নামাঙ্কপত্রে, ভারতীয় মুদ্রায়, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পাসপোর্টে এবং আরও বহুক্ষেত্রে এই প্রতীক ব্যবহৃত হয়। প্রতীকের অশোকচক্রটি ভারতের জাতীয় পতাকার কেন্দ্রে স্থান পেয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক (অনুপযুক্ত ব্যবহারের নিষিদ্ধকরণ) আইন, ২০০৫ এর অধীনে এই প্রতীকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত এবং সীমাবদ্ধ করে রাখা আছে। কোনও ব্যক্তিগত বা বেসরকারী সংস্থার পত্রব্যবহারে এই প্রতীকটি ব্যবহার করার অনুমতি নেই। আসল সারনাথ রাজধানীতে চারটি এশীয় সিংহ পরস্পরের দিকে পিঠ করে একট গোলাকার ভিত্তির ওপর বসে আছে, এরা শক্তি, সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং গর্বের প্রতীক। এর নিচে একটি ঘোড়া এবং একটি ষাঁড় রয়েছে, এবং এর কেন্দ্রে একটি চক্র (ধর্ম চক্র) রয়েছে। অ্যাবাকাস অংশটি বেষ্টন করে উপস্থাপনার মধ্যাংশে খোদাই করা আছে কিছু ভাষ্কর্য। উত্তরদিকে আছে সিংহ, পশ্চিমে ঘোড়া, দক্ষিণে ষাঁড় এবং পূর্বদিকে হাতি, এগুলি আবার ধর্মচক্র বা অশোকচক্র দ্বারা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন। সমগ্র স্থাপত্যটি একটি উলটানো ঘণ্টার আকারবিশিষ্ট প্রস্ফুটিত পদ্মের উপর স্থাপিত। এটি জীবনের উৎস এবং সৃজনশীল অনুপ্রেরণার উদাহরণস্বরূপ। এই স্থাপত্যটি পালিশকরা একটি একক বেলেপাথর খোদাই করে নির্মিত হয়েছিল। সম্ভবত এই স্তম্ভশীর্ষের ওপর একটি ধর্মচক্র ছিল, যার কিছু টুকরো ঐ স্থানে পাওয়া গেছে।[৯] গৃহীত প্রতীকটিতে কেবল তিনটি সিংহই দৃশ্যমান, চতুর্থ সিংহটি দেখা যায় না (কারণ এটি পিছনে অবস্থিত ও সামনে থেকে দৃষ্টিগোচরে আসে না)। চক্রটি প্রতীকে অ্যাবাকাসের কেন্দ্রস্থলে দেখা যায়, ডানদিকে অবস্থান একটি ষাঁড়ের এবং বাম দিকে একটি ছুটন্ত ঘোড়ার। দূরতম ডান এবং বামপ্রান্তে ধর্ম চক্রের রূপরেখা দেখা যায়। অ্যাবাকাসে খোদিত দুটি প্রাণী, ঘোড়া এবং ষাঁড়েরও বিরাট তাৎপর্য আছে। ষাঁড়টি কঠোর পরিশ্রম এবং অবিচলতার প্রতিনিধিত্ব করে, ঘোড়াটি আনুগত্য, গতি এবং শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যাবাকাসের নিচে ঘণ্টাকৃতি পদ্মটি প্রতীক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।[১০]
প্রতীকটির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল এর অ্যাবাকাসের নিচে লিখিত নীতিবাক্যটি, যেটি দেবনাগরী লিপিতে লিখিত: সত্যমেব জয়তে सत्यमेव जयते (অর্থাৎ সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী)।[১১] এটি পবিত্র হিন্দু বেদের সমাপ্তি অংশে লেখা মুন্ডক উপনিষদের একটি উক্তি।[১২]
Remove ads
জাতীয় সংস্থার প্রতীক
- ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের প্রতীক
- কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) প্রতীক
- রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং এর প্রতীক
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রতীক
ভারতের বেশিরভাগ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নিজস্ব রাষ্ট্রীয় চিহ্ন, নামমুদ্রা বা কোট অফ আর্ম (অস্ত্রের রক্ষাকবচ) রয়েছে যা আইনত সরকারি প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়, এবং ছয়টি রাজ্য এবং পাঁচটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের জাতীয় প্রতীককে, লেখা সহ, তাদের আইনত সরকারী ছাপ হিসাবে ব্যবহার করে।
ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কিছু স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ একটি নিজস্ব সরকারি প্রতীকও গ্রহণ করেছে।
Remove ads
ঐতিহাসিক মুদ্রাছাপ এবং প্রতীক
প্রাক-ঔপনিবেশিক ভারত
ঐতিহাসিক অগ্রগতি অনুযায়ী মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতীক
- মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতীক
- আওরঙ্গজেবের এর রাজত্বকালে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতীক।
- বাহাদুর শাহ জাফরের রাজত্বকালে মুঘল সম্রাটের সর্বশেষ পরিচিত প্রতীক।
ভারতে ব্রিটিশ শাসন
- ভারতে কোম্পানি শাসন চলাকালীন ব্যবহৃত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কোট অফ আর্ম (১৭৫৭–১৮৫৮)
- যুক্তরাজ্যের কোট অফ আর্ম, ব্রিটিশ রাজ চলাকালীন যুক্তরাজ্যের সংসদ থেকে সরকারি নথি, প্রকাশনা এবং চিঠিপত্রের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল (১৮৫৮–১৯৪৭)
- ভারতের তারকা, ব্রিটিশ রাজত্বে ভারতের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত একটি প্রতীক।
ভারতে পর্তুগীজ শাসন
- পর্তুগীজ ভারতের কোট অফ আর্ম (১৬০০–১৯৩৫)
- পর্তুগীজ ভারতের কোট অফ আর্ম (কম অস্ত্র সহ) (১৯৩৬-১৯৬১)
- পর্তুগীজ ভারতের কোট অফ আর্ম (সম্পূর্ণ অস্ত্র সহ) (১৯৩৫-১৯৫১)
- পর্তুগীজ ভারতের কোট অফ আর্ম (সম্পূর্ণ অস্ত্র সহ) (১৯৫১-১৯৬১)
ভারতে ফরাসী শাসন
- ফরাসি ভারতের কোট অফ আর্ম (১৯১২-১৯৫৪)
ভারত অধিরাজ্য
- ভারত অধিরাজ্য দ্বারা ব্যবহৃত যুক্তরাজ্যের কোট অফ আর্ম (আগস্ট-ডিসেম্বর ১৯৪৭)
- ভারত অধিরাজ্য দ্বারা ব্যবহৃত প্রতীক (ডিসেম্বর ১৯৪৭ - জানুয়ার ১৯৫০)[২]
- ভারতীয় গণপরিষদের এর প্রতীক
Remove ads
আরও দেখুন
- ভারতের জাতীয় পতাকা
- জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে
- বন্দে মাতরম্
- ভারতের জাতীয় প্রতীকসমূহ
- ভারতীয় রাষ্ট্রীয় প্রতীকগুলির তালিকা
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads