শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
মো. হযরত আলী (অধ্যাপক)
কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মো. হযরত আলী (জন্ম: ৯ জুন ১৯৬৪) একজন বাংলাদেশী প্রকৌশলী এবং অধ্যাপক। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১] তিনি পূর্বে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
Remove ads
শিক্ষাজীবন
মো. হযরত আলী ১৯৮৮ সালে তৎকালীন বিআইটি খুলনা (বর্তমান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে পুরকৌশল বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[১] এরপর তিনি থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে পুরকৌশলে মাস্টার্স এবং মালয়েশিয়ার পুত্রা মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[২]
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
মো. হযরত আলী ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট; তৎকালীন বিআইটি চট্টগ্রাম) পুরকৌশল বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যুক্ত হন। এরপর ১৯৯৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০০১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৪ সালে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।[৩] এছাড়া তিনি মালয়েশিয়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল অনুষদের চুক্তিভিত্তিক সহযোগী অধ্যাপক এবং কাসেল বিশ্ববিদ্যালয় ও আইএইচই ডেলফট ইনস্টিটিউট ফর ওয়াটার এডুকেশনের ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন।[৩]
মো. হযরত আলী ২০০৩ থেকে ২০০৫ এবং ২০১১ থেকে ২০১৩ সালে দুই দফায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি চুয়েটের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ এবং ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পুরকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩] এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন।[৩]
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ কামাল ও উপ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি প্রদান করে।[১] এরপর ১ মে মো. হযরত আলীকে পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে ‘রুটিন দায়িত্বে’ নিয়োগ দেওয়া হয়।[১][৪] ৩ মার্চ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পদে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[৫]
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে ৪ মে থেকে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিলেও, আন্দোলনকালীন শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের লাঞ্ছনার অভিযোগে শিক্ষকরা কর্মবিরতি ডাকেন।[৬] ১২ মে তারিখে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।[৭] এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকালীন বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হলেও, আন্দোলনের চাপের মুখে সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছিল।[৮] কারণ দর্শানোর নোটিশের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে[৯] ১৮ মে থেকে শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজেও কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।[১০] ১৯ মে থেকে শিক্ষকরা জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি নিশ্চিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান নেন[১১] এবং ২১ মে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের প্রতি অনাস্থা জানান এবং তার পদত্যাগ দাবি করেন।[১২] এর প্রেক্ষিতে ২২ মে হযরত আলী কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[১৩]
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads