অজৈব যৌগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
অজৈব রসায়ন, অজৈব যৌগের বৈশিষ্ট্য এবং আচরণের সাথে সম্পর্কিত, যার মধ্যে রয়েছে ধাতু, খনিজ এবং অর্গানমেটালিক যৌগ।
অজৈব যৌগ সাধারণত একটি রাসায়নিক যৌগ যাতে কার্বন – হাইড্রোজেন বন্ধন থাকে না, অর্থাৎ এটি একটি যৌগ যা কোনও জৈব যৌগ নয়। তবে, এই পার্থক্য যেমন সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত হয়নি তেমনি একমতও হওয়া যায়নি। অনেক কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে।[1][2][3] অজৈব যৌগের অধ্যয়ন অজৈব রসায়ন হিসাবে পরিচিত।
পৃথিবীর ভূত্বকের বেশিরভাগটাই অজৈব যৌগ নিয়ে গঠিত। যদিও পৃথিবীর ভূগর্ভের অভ্যন্তরের উপাদান নিয়ে নানান অনুসন্ধান চলছে।[4]
কার্বনযুক্ত কিছু সাধারণ যৌগকে প্রায়শই অজৈব যৌগ হিসাবে ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বনেটস্, কার্বাইডস্, সায়ানাইডসস, সায়ানেটস্ এবং থায়োকায়ানেটস্-এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এর মধ্যে বেশিরভাগই জৈব শ্রেণীর বা জীব সম্বন্ধযুক্ত। কোনও রাসায়নিককে অজৈব হিসাবে বর্ণনা করার অর্থ এই নয় যে এটি সজীব পদার্থের মধ্যে ঘটে না।
অজৈব যৌগগুলি খনিজ বা ভূতাত্ত্বিক-ভিত্তিক যৌগ হয়ে থাকে যেগুলিতে কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন থাকে না। সব নয়, তবে বেশিরভাগ অজৈব যৌগে একটি ধাতু থাকে। অজৈব রাজ্যের অধীনে অগণিত যৌগ আছে। প্রকৃতপক্ষে, এই মহাবিশ্বের সমস্ত যৌগগুলির বেশিরভাগই অজৈব প্রকৃতির। এই কারণে, অজৈব যৌগগুলির বাস্তব জগতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োগ এবং ব্যবহারিক ব্যবহার রয়েছে। যেহেতু এই বিশ্বের বেশিরভাগ যৌগগুলি অজৈব, তাই এই যৌগগুলি অনেকগুলি রূপ ধারণ করতে পারে এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারে।