Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্যার ফিলিপ অ্যান্থনি হপকিন্স (ইংরেজি: Sir Philip Anthony Hopkins; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৭) একজন ওয়েলসীয় অভিনেতা, পরিচালক, সুরকার ও চিত্রশিল্পী। তার ব্রিটিশ ও মার্কিন দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি দুটি একাডেমি পুরস্কার, চারটি বাফটা পুরস্কার, দুটি এমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি. ডামিল পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলায় তার অবদানের জন্য ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। ২০০৩ সালে হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয় এবং ২০০৮ সালে ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস থেকে তিনি আজীবন সম্মাননা হিসেবে বাফটা ফেলোশিপ লাভ করেন।
স্যার অ্যান্থনি হপকিন্স | |
---|---|
জন্ম | ফিলিপ অ্যান্থনি হপকিন্স ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩৭ পোর্ট টলবাট, গ্ল্যামারগান, ওয়েল্স্ |
পেশা | অভিনেতা, পরিচালক, সুরকার, চিত্রশিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৬০-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | পেট্রোনেলা বার্কার (বি. ১৯৬৭; বিচ্ছেদ. ১৯৭২) জেনিফার লিন্টন (বি. ১৯৭৩; বিচ্ছেদ. ২০০২) স্টেলা অ্যারোয়েভ (বি. ২০০৩) |
সন্তান | ১ |
বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আবির্ভূত ইংরেজিভাষী চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান এই অভিনেতা ১৯৫৭ সালে রয়্যাল ওয়েলশ কলেজ অব মিউজিক অ্যান্ড ড্রামা থেকে অধ্যয়ন সমাপ্ত করে লন্ডনের রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট (রাডা) ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে হ্যাভ আ সিগারেট নামীয় মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জগতে পদার্পণ। রাডায় প্রশিক্ষণকালীন ১৯৬৫ সালে লরন্স অলিভিয়ে তাকে আবিষ্কার করেন এবং রয়্যাল ন্যাশনাল থিয়েটারে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। ন্যাশনালে তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল কিং লিয়ার, এটি তার প্রিয় শেকসপিয়ারীয় নাটক। তার সর্বশেষ মঞ্চ নাটক হল ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট এন্ডের এম. বাটারফ্লাই।
১৯৬৮ সালে হপকিন্স দ্য লায়ন ইন উইন্টার চলচ্চিত্রে রিচার্ড দ্য লায়নহার্ট চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রিচার্ড অ্যাটনবারা, যিনি হপকিন্সকে নিয়ে পাঁচটি চলচ্চিত্রে নির্মাণ করেন, তিনি তাকে "তার প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা" বলে অভিহিত করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস চলচ্চিত্রে হ্যানিবল লেক্টার চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি এই চলচ্চিত্রের অনুবর্তী পর্ব হ্যানিবল ও পূর্ববর্তী পর্ব রেড ড্রাগন-এ একই চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে (১৯৯৩), নিক্সন (১৯৯৫), অ্যামিস্টাড (১৯৯৭) ও দ্য টু পোপস (২০১৯) চলচ্চিত্রের জন্য আরও চারটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। হপকিন্স ২০২০ সালে দ্য ফাদার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার দ্বিতীয় অস্কার লাভ করেন,[1] এবং এর মধ্য দিয়ে তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেছেন।[2]
ফিলিপ অ্যান্থনি হপকিন্স ১৯৩৭ সালের ৩১শ ডিসেম্বর গ্ল্যামারগানের পোর্ট টলবাটের মারগাম শহরতলীতে জন্মগ্রহণ করেন।[3] তার পিতা রিচার্ড আর্থার হপকিন্স একজন রুটি প্রস্তুতকারক এবং মাতা অ্যানি ম্যুরিয়েল (জন্মনাম ইয়েটস)।[4] ১৯৪৯ সালে তার পিতামাতা তাকে জোন্স ওয়েস্ট মনমাউথ বয়েজ স্কুলে ভর্তি করান। তিনি সেখানে পাঁচ বয়স পাঠ চালিয়ে যাওয়ার পর তাকে গ্ল্যামারগানের কাউব্রিজ গ্রামার স্কুলে ভর্তি করানো হয়।[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.