আর্মেনীয় জাতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
আর্মেনীয়রা (আর্মেনীয়: հայեր, প্রতিবর্ণী. hayer; আ-ধ্ব-ব: [hɑˈjɛɾ]) হল পশ্চিম এশিয়ার আর্মেনীয় পার্বত্য অঞ্চলের একটি জাতিগোষ্ঠী।[26]
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
আনু. ৭[1]–১০ মিলিয়ন[2] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
আর্মেনিয়া ২৯,৬১,৫১৪[3][4] | |
রাশিয়া | ১১,৮২,৩৮৮[5]–২৯,০০,০০০[6] |
যুক্তরাষ্ট্র | ১০,০০,৩৬৬[7]–১৫,০০,০০০[8] |
ফ্রান্স | ২,২৫,০০০[9]–৭,৫০,০০০[10] |
জর্জিয়া • Abkhazia[note 1] | ১,৬৮,১৯১[11] ৪১,৮৬৪[12] |
আজারবাইজান • আর্টসখ প্রজাতন্ত্র[note 2] | ১,৪৬,৫৭৩[13] |
লেবানন | ১,৫০,০০০[14] |
ইরান | ১,২০,০০০[15] |
জার্মানি | ৯০,০০০–১,১০,০০০[16] |
সিরিয়া[note 3] | ১,০০,০০০[17] |
ইউক্রেন | ১,০০,০০০[18] |
ব্রাজিল | ১,০০,০০০[19][20] |
গ্রীস | ৮০,০০০[21] |
আর্জেন্টিনা | ৭০,০০০[22] |
তুরস্ক | ৬০,০০০[23] |
কানাডা | ৫৫,৭৪০[24] |
পোল্যান্ড | ৫০,০০০[25] |
ভাষা | |
আর্মেনীয় | |
ধর্ম | |
খ্রিস্টধর্ম আর্মেনীয় প্রেরিতীয় মণ্ডলী · রোমান ক্যাথলিক · প্রোটেস্ট্যান্ট আর্মেনীয় দেশীয় বিশ্বাস | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
হেমসিন, চেরকোগাই, হায়হুরুম, আর্মেনো-তাতস, অপ্রকাশিত আর্মেনীয় |
আর্মেনীয়রা আর্মেনিয়ার প্রধান জনসংখ্যা এবং প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন আর্টসখ গঠন করে। আধুনিক আর্মেনিয়ার বাইরে বসবাসকারী সম্পূর্ণ বা আংশিক আর্মেনীয় বংশভূত প্রায় ৫ মিলিয়ন লোকের বিস্তৃত প্রবাসী জনসংখ্যা রয়েছে। বৃহত্তম আর্মেনীয় জনসংখ্যা আজ রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ইরান, জার্মানি, ইউক্রেন, লেবানন, ব্রাজিল ও সিরিয়ায় বিদ্যমান। ইরান ও প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্রসমূহ ব্যতীত বর্তমান আর্মেনীয় প্রবাসী জনসংখ্যা মূলত আর্মেনীয় গণহত্যার ফলস্বরূপ গঠিত হয়।[27]
আর্মেনীয় ভাষা হল একটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা।[28] এর দুটি পারস্পরিক স্বচ্ছ কথ্য ও লিখিত রূপ রয়েছে: পূর্ব আর্মেনীয়, বর্তমানে প্রধানত আর্মেনিয়া, আর্টসখ, ইরান এবং প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলিতে কথিত; এবং পশ্চিম আর্মেনীয়, ঐতিহাসিক পশ্চিম আর্মেনিয়া ও আর্মেনীয় গণহত্যার পরে মূলত আর্মেনীয় প্রবাসী সম্প্রদায়সমূহে ব্যবহৃত হয়। মেস্রোপ মাশটটস ৪০৪ খ্রিস্টাব্দে অনন্য আর্মেনীয় বর্ণমালা আবিষ্কার করেন।
বেশিরভাগ আর্মেনীয় আর্মেনীয় প্রেরিতীয় মণ্ডলীকে মেনে চলেন, এটি একটি অ-চ্যালেসেডোনীয় খ্রিস্টান মণ্ডলী, যা বিশ্বের প্রাচীনতম জাতীয় মণ্ডলীও। যীশুর মৃত্যুর পরই, তাঁর দ্বারা প্রেরিত যিহূদা থদ্দেয় ও প্রেরিত বর্থলময়ের প্রচেষ্টার ফলে আর্মেনিয়ায় খ্রিস্টধর্মের বিস্তার শুরু হয়।[29] চতুর্থ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, আর্মেনিয়া রাজ্য খ্রিস্টানকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে গ্রহণকারী প্রথম রাজ্যে পরিণত হয়।[30]