আল-হারিস ইবনে সুরাইজ
From Wikipedia, the free encyclopedia
আবু হাতিম আল-হারিস ইবনে সুরাইজ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে সাওয়া ইবনে ওয়ার্দ ইবনে মুররা ইবনে সুফিয়ান ইবনে মুজাশি[1] (আরবি: أبو حاتم الحارث بن سريج) ছিলেন অষ্টম শতাব্দীর একজন আরব নেতা। তিনি খোরাসান ও মাওয়ারাননহরে সংঘটিত বৃহদাকার উমাইয়া বিরোধী বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭৩৪ খ্রিষ্টাব্দে এই বিদ্রোহ শুরু হয়। আরব ও অনারব উভয় শ্রেণীর মুসলিমদের মধ্যকার ক্ষোভ এই বিদ্রোহ উস্কে দিয়েছিল।
আল-হারিস ইবনে সুরাইজ | |
---|---|
মৃত্যু | মার্চ ৭৪৬ |
কর্মজীবন | ৭২৯–৭৪৬ |
পরিচিতির কারণ | খোরাসান ও মাওয়ারাননহরে উমাইয়া বিরোধী সামাজিক ও ধর্মীয় বিদ্রোহের নেতৃত্বদান |
প্রতিদ্বন্দ্বী | উমাইয়া খিলাফত |
অনারব মুসলিমদেরকে উমাইয়া আমলে সাধারণভাবে আরব মুসলিমদের সমকক্ষ বিবেচনা করা হত না। হারিস তার বিদ্রোহকে ধর্মীয় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আরব ও অনারব উভয় শ্রেণীর জনতার সমর্থন আদায় করতে তিনি সক্ষম হন। তবে তিনি প্রাদেশিক রাজধানী মার্ভ দখলের দুইবার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। শেষপর্যন্ত আসাদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-কাসরি ৭৩৬ খ্রিষ্টাব্দে এই বিদ্রোহ দমন করেন। হারিস তার কিছু সমর্থকসহ পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তিনি তুরগেশ খাগানাতের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। হারিস তুরগেশদের আরব অঞ্চলে অভিযানে সহায়তা করেন। ৭৩৭ খ্রিষ্টাব্দে খারিস্তানের যুদ্ধে এই অভিযানকে প্রতিহত করা হয়। এরপর হারিস মাওয়ারাননহরে স্থানীয় শাসকদের সমর্থন নিয়ে অবস্থান করতে থাকেন। হারিস ও তার স্থানীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে আসাদের উত্তরসুরি নাসের ইবনে সাইয়ার অভিযান চালায়। কিন্তু আরবদের অন্তর্দ্বন্দ্ব্বে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে হারিসকে ব্যবহার করা যেতে পারে বিবেচনা করে নাসের খলিফার কাছ থেকে হারিসের জন্য ক্ষমা মঞ্জুর করিয়ে নেন। হারিস এরপর ৭৪৫ খ্রিষ্টাব্দে মার্ভ’য় ফিরে আসেন। অতঃপর দ্রুত তিনি একটি সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন এবং নাসেরের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠেন। ৭৪৬ খ্রিষ্টাব্দে জুদাই আল-কিরমানির সাথে সংঘর্ষে তিনি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই বৈরীতা বজায় ছিল। তার বিদ্রোহের কারণে মধ্য এশিয়ায় আরব শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আব্বাসীয় বিপ্লব সংঘটনের পথ প্রশস্ত করে দেয় যার; ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে উমাইয়া খিলাফতের যবনিকাপাত হয়েছিল।