![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3b/Assam-Tee_SFTGFOP1.jpg/640px-Assam-Tee_SFTGFOP1.jpg&w=640&q=50)
আসাম চা
From Wikipedia, the free encyclopedia
আসাম চা ভারতের আসামে উৎপাদিত এক প্ৰকারের লাল চা। আসামের চা বিশেষকে Camellia sinensis var. assamica (Masters) নামের এক প্রকার চা গাছ থেকে তৈরী করা হয়।[1][2] এই চা, সমুদ্ৰ পৃষ্ঠের অধিক উচ্চতায় বৃদ্ধি হয়, এর গঠন, স্ফূর্তিদায়ক, সুগন্ধ, এবং অতি উজ্জ্বল রঙ্গের জন্য পরিচিত । আসাম চা, বা অসম নাম সংযোজিত চা, সাধারণত "গরম পানীয়" হিসেবে বিক্ৰী করা হয়। উদাহরণ স্বরুপ, আইরিশ ব্রেকফাস্ট টি, নামের মনোমুগ্ধকর এবং শক্তিশালী পানীয় চা’তে, ক্ষুদ্ৰ-আকৃতির অসম চায়ের পাতা থাকে।[3] বাংলাদেশ এবং মায়ানমার সীমান্তে, ব্ৰহ্মপুত্ৰের দুধারে অবস্থিত, অসম হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সৰ্বাধিক চা-উৎপাদনকারী অঞ্চল। ভারতের এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের হার অনেক বেশি, মৌসুমী জলবায়ুতে দৈনিক সৰ্বাধিক বৃষ্টিপাত ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি (২৫০-৩০০ মিমি) পৰ্যন্ত হতে দেখা যায়। দিনের বেলায় প্ৰায় ১০৩ ফারেনহাইট (৪০°সে) পর্যন্ত উষ্ণতা থাকে, বিরল জলীয় বাষ্প এবং উত্তাপ উপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে। এই বিশেষ জলবায়ুই আসাম চা কে প্ৰসিদ্ধ মনোমুগ্ধকর স্বাদ এবং বৈশিষ্ট প্ৰদান করে।
যদিও আসামে সাধারণত "রং চা" উৎপাদন করা হয়,তবে কিছু পরিমাণ "সবুজ চা",[4] এবং নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের "সাদা চা" ও উৎপাদন করা হয়।[5]
ঐতিহাসিকভাবে, অসম দক্ষিণ চীনের পড়েই দ্বিতীয় সৰ্বাধিক ব্যবসায়িক চা উৎপাদনকারী অঞ্চল ছিল। সমগ্ৰ বিশ্বের মধ্যেই কেবল অসম এবং দক্ষিণ চীনে নিজস্ব প্ৰজাতির চা গাছ পাওয়া যায়।