ইসলামে রাজনীতি
ইসলামী শাসন ব্যবস্থা / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসলামে রাজনীতি (সিয়াসাতুশ শরিয়াহ) মূলত কোরআন, সুন্নাহ (ইসলামী নবী মুহাম্মদের বানী ও জীবনাচরণ), ইসলামের ইতিহাস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম থেকে উদ্ভূত। ঐতিহ্যগতভাবে ইসলামে রাজনৈতিক ধারণাসমূহের মধ্যে নির্বাচিত নেতৃত্ব একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মুহাম্মদের এর পর যারা ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থায় নেতৃত্বদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে খলিফা বলা হয়। ইসলামি রাজনৈতিক চিন্তায় রাষ্ট্র পলিচালনার জন্য ইসলামি আইন বা শরিয়াহ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। শরিয়া আইন অনুসারে নির্বাচিত শাসকবৃন্দ জনগণের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে শুরা বা পরামর্শ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।[1] রাশিদুন খলিফাসহ প্রাথমিক খলিফাদের পর দ্বিতীয় মুয়াবিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মুসলিম রাজা বাদশাহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বা বিজিত অঞ্চলের শাসনকার্য পরিচালনা করেন। আধুনিককালে বিভিন্ন আধুনিক রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচলনের ব্যাপকতার কারণে সেগুলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন অঞ্চলসমূহে ইসলামের প্রভাবে ও সংমিশ্রণে বিভিন্ন মাত্রার মিশ্র রূপ লাভ করেছে। ইসলামী আলেমগণ একমাত্র প্রথমত খেলাফত ও দ্বিতীয়ত মুসলিম রাজতন্ত্রকে ইসলামী বৈধ রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলে দাবি করেন[2] এবং বাকি রাজনৈতিক ব্যবস্থাগুলোকে হারাম বললেও[3] ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিমদের ক্ষমতায় যাবার পথ হিসেবে সেগুলো ব্যবহার করাকে বৈধ বলে রায় দেন।[4]
![]() বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ধারণকৃত ৭ম শতাব্দীর কোরআন পাণ্ডুলিপির খণ্ড। | |
রাষ্ট্রের ধরন | ইসলামী দর্শন |
যার অংশ | *রাজনৈতিক ইসলাম |
১৯২৪ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়।[5] উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বের রাজনীতিতে বিবেচ্য বিষয় ছিলো পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করা এবং ইসলামী রাষ্ট্রসমূহে শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা। ছয় দিনের যুদ্ধে আরব বাহিনীর পরাজয়, স্নায়ু যুদ্ধের সমাপ্তি ও সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার পতন ইত্যাদি রাজনৈতিক ঘটনাবলি ইসলামী আন্দোলন সংগ্রামের আবেদনকে বেগবান করেছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি অনাস্থাস্বরূপ মুসলিম বিশ্বের ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।