উৎসেচক অনুঘটন
From Wikipedia, the free encyclopedia
উৎসেচক ব্যবহার করে কোনো বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বলা হয় উৎসেচক অনুঘটন। অধিকাংশ উৎসেচকই প্রোটিন, আর উৎসেচকের উপস্থিতিতে সংঘটিত অধিকাংশ বিক্রিয়াই রাসায়নিক বিক্রিয়া। উৎসেচকের যে স্থান অনুঘটন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়, তাকে সক্রিয় এলাকা বা অ্যাকটিভ সাইট বলে।
বিশ্বকোষীয় পর্যায়ে যেতে এই নিবন্ধে আরো বেশি অন্য নিবন্ধের সাথে সংযোগ করা প্রয়োজন। |
অধিকাংশ উৎসেচকে এক বা একাধিক প্রোটিন শৃঙ্খল থাকে। এগুলোর মধ্যে অনেক সময় অ-প্রোটিন অংশ; যেমন- ধাতব আয়ন বা অন্যান্য জৈব অণু (উদাহরণস্বরূপ-অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট) , যেগুলো কোফ্যাক্টর নামে পরিচিত। ভিটামিনও অনেক ক্ষেত্রে কোফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে এবং দেহের বিপাকীয় ক্রিয়া সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিপাকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রক্রিয়ার অনুঘটনবিহীন গতি ধীর হওয়ায় গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার অনুঘটন প্রক্রিয়া সম্পাদন অপরিহার্য। এরকম অনুঘটন প্রক্রিয়ার সর্বোত্তম দশায় অনেক সময় প্রোটিনের রূপ পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। তবে সব উৎসেচক অনুঘটন প্রক্রিয়ার সর্বোত্তম দশায় পৌঁছতে পারে না। তবে সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতার কাছাকাছি নৈপুণ্যে উৎসেচকসমূহ ক্রিয়া করলেও তারা সর্বোত্তম দশায় পৌঁছতে পারে না। উৎসেচক অনুঘটন প্রক্রিয়ায় যেসব উপাদান বা ঘটনা নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, সেগুলো হলো- অম্ল ও ক্ষার অনুঘটন, "তালা-চাবি" নীতি ও বিশৃঙ্খলা মাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ। প্রোটিনের গতি সম্পর্কিত নীতিও এতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। [1]
উৎসেচক অনুঘটনের কর্মপদ্ধতি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। অন্যান্য রাসায়নিক অনুঘটন প্রক্রিয়ার মতো এক্ষেত্রেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়, সেটি হলো- বিক্রিয়ক ও উৎপাদকে আলাদা করে রাখা শক্তি প্রতিবন্ধক অপসারণ করা। এখন যেহেতু উৎসেচকসমূহ বিক্রিয়ক ও উৎপাদ উভয়ের মধ্যেই শক্তি প্রতিবন্ধক নির্মূল করে, তাই এরা বিক্রিয়ার বাম ও ডান (বিক্রিয়ক ও উৎপাদের দিক) উভয় দিকেই ক্রিয়া করে। এগুলো বিক্রিয়াকে সম্মুখ বা পশ্চাৎমুখী করে না, অর্থাৎ বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা অপরিবর্তিত রাখে। অনুরূপভাবে উৎসেচকের নিজের রাসায়নিক অবস্থারও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয় না।