![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/92/Skullclose.jpg/640px-Skullclose.jpg&w=640&q=50)
এটারনাল অবলিভিয়ন
মৃত্যুর পর স্থায়ীভাবে ব্যক্তির চেতনা বন্ধ হয়ে যাওয়া / From Wikipedia, the free encyclopedia
দর্শনশাস্ত্রে এটারনাল অবলিভিয়ন (ননএক্সিস্টেন্স বা অনস্তিত্ব এবং নাথিংনেসও বলা হয়)[1][2] হল মৃত্যুর পর স্থায়ীভাবে ব্যক্তির চেতনা বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই ধারণাটিকে প্রায়ই ধর্মীয় সংশয়বাদ এবং নাস্তিক্যবাদের সাথে সম্পর্কিত করা হয়[3] এবং এই ধারণার ভিত্তি হচ্ছে পরকালের সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাব।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/92/Skullclose.jpg/640px-Skullclose.jpg)
চেতনা হল সকল আশেপাশের পরিবেশের ব্যক্তিবাচক অভিজ্ঞতা, এজেন্সি (কার্যক্ষমতা), আত্ম-অবগতি এবং সচেতনতার ভিত্তি। স্নায়ুবিজ্ঞানী গিউলিও তুননির মতে, চেতনা হল "আমরা যা তার সব এবং আমাদের যা আছে তার সব: চেতনা হারানো মাত্রই আপনার নিজের আত্ম এবং সমগ্র জগৎ নাথিংনেস বা অনস্তিত্বে বিলীন হয়ে যাবে।""[4]
ব্রেইন ডেথ এর বেলায় মস্তিষ্কের সকল রকমের কার্যকলাপ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যেসব ব্যক্তি বিশ্বাস করেন যে মৃত্যু হল চেতনার স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া, তারা এও বিশ্বাস করেন যে চেতনা মস্তিষ্কের কার্যকলাপের উপর নির্ভরশীল। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার করা গেছে যে মস্তিষ্কের কিছু স্থান যেমন রেগুলার একটিভেটিং সিস্টেম বা থ্যালামাস চেতনার জন্য প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত, কারণ এসব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা এদের কার্যকলাপে সমস্যা দেখা গেলে চেতনার অভাব দেখা যায়।
এছাড়ায় মনকে মস্তিষ্কের উপর নির্ভরশীল ভাবা হয়, এবং বিভিন্ন ধরনের ব্রেইন ড্যামেজের প্রভাবের দ্বারা এটা এই নির্ভরশীলতা দেখানো যায়।[5] দার্শনিক পল এডোয়ার্ডের কথায়, "মস্তিষ্কে ক্ষতির যত বেশি হবে, মনের ক্ষতিও তত বেশি হবে। এই প্যাটার্ন থেকে স্বাভাবিক এক্সট্রাপোলেশনও খুব পরিষ্কার- মস্তিষ্কের সমস্ত ক্রিয়া একসাথে বন্ধ করে দেয়া হলে, সকল মানষিক বা মনের ক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যাবে।"[6]